কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এলো মৃত তিমি
স্রোত ও ঢেউয়ের সঙ্গে আবারও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো একটি মৃত ও অর্ধগলিত ব্রাইডস তিমি। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তিমিটি সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সায়মন বীচ পয়েন্টে এসে আটকা পড়ে। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিমিটির অবস্থান ছিল হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তিমিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে এটি লম্বায় ৪২ ফিট, পেটের কাছে ব্যাস ২৪ ফিট, লেজের পাশের ব্যাস ১৪ ফিট। শরীরে পঁচন ধারায় এর লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
বেলাল হায়দার জানান, বোরির গবেষকরা বুধবার রাত ১টা নাগাদ নমুনা সংগ্রহ করছেন। প্রাপ্ত নমুনা বিশ্লেষণ করে এর লিঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে তিমিটির শরীরে পঁচন ধরায় প্রয়োজনীয় তথ্য ,উপাত্ত ও নমুনা সংগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব তা মাটিতে পুতে ফেলা উচিত। ভবিষ্যতে এই তিমির কংকালটি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য প্রদর্শন করা যাবে।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ১৯৭৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সালদানহা উপ-সাগরের ডনকারগাট তিমি স্টেশনে পরিমাপ করা দীর্ঘতম ব্রাইডস তিমির দৈর্ঘ্য ছিল, ১৫.৫১ মিটার (৫০.৯ফুট)। ব্রাইডস তিমির ওজন সাধারণত ১২-২৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত হতে পারে। লিঙ্গ ভেদে ব্রাইডস তিমির আকার ও ওজন কম-বেশী হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়ি পয়েন্টে বিশাল আকৃতির একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং এটিকে গর্ত করে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসআইএইচ