পাতানো নির্বাচনের পায়তারা, অবশেষে স্থগিত!
৩ ডিসেম্বর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একক প্রার্থী ছিলেন সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোতালেব মিয়া। তবে তার বিরুদ্ধে পাতানো নির্বাচনের পায়তারায় সাধারণ সদস্য ও আজীবন সদস্য করার বিষয়ে স্বজনপ্রীতি এবং সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে।
এনিয়ে ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি বরগুনা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের বর্তমান সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের দৃষ্টিতে আসে। পরবর্তীতে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ৩ ডিসেম্বরের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনকে স্থগিত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের বর্তমান সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, রেডক্রিসেন্ট একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৭টি মূলনীতি নিয়ে চলে। এই ৭টি মূল নীতির বাইরে যাবার কোন সুযোগ নেই। তাই একাধিক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বরের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনকে স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদস্য না হতে পারা অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে এককভাবে বিজয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের মনগড়া সদস্য করেছেন বরগুনা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোতালেব মিয়া। নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার আগে সদস্য ফরম ক্রয় করতে গিয়ে পাওয়া না গেলেও তফসিল ঘোষণার পরই উন্মুক্ত করা হয় ফরম। এর ফলে নতুন করে সদস্য হওয়া কেউ এখন আর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে বরগুনা জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সবশেষ নির্বাচনে অ্যাড. মোতালেব মিয়া বিজয় লাভ করেন। এরপর থেকেই সদস্য করার বিষয়ে তিনি এককভাবে সিদ্বান্ত দিয়ে আসেন। তার সিদ্বান্তের বাইরে কেউই সদস্য পদ লাভ করতে পারেন না। এমনকি তার সাথে সহযোগী হিসেবে কর্মরত একাধিক আইনজীবী সহকারী (মহরার) সদস্য হয়েছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বর বরগুনা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
রেডক্রিসেন্ট বরগুনা জেলা ইউনিট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণত রেডক্রিসেন্টের তহবিল বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই সাধারণ সদস্য (বার্ষিক) ও আজীবন সদস্য অন্তরভুক্তি করে থাকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। সদস্য হওয়ার জন্য স্ব-স্ব জেলা কার্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সদস্য ফরম সংগ্রহ করার পর যথাযথ নিয়মে পূরন করে জাতীয় পরিচয় পত্র, চারকপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবিসহ বার্ষিক সদস্য পদের জন্য ২৩০ টাকা ও আজীবন সদস্যের জন্য ৩ হাজার ১৩০ টাকা সদস্য চাঁদা দিয়ে সদস্য হতে হয়।
এএজেড