রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ, অন্য কৃষকরাও হচ্ছেন আগ্রহী

দিনাজপুরের হিলিতে এই প্রথম বারেরমত ক্যান্সার প্রতিরোধী ব্ল্যাক রাইসসহ ওষধিগুন সম্পন্ন ৪ জাতের ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন মেহেদী হাসান নামের এক কৃষক। নতুন ও আগাম জাতের এই ধানের ভালো ফলন হলে আগামীতে আরও বেশি পরিমান জমিতে চাষাবাদ করার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে তার এই নতুন ধানের চাষাবাদ দেখে ও লাভজনক শুনে অন্য কৃষকরা এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এদিকে নতুন এই ধান চাষে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সেই সাথে আগামীতে এই ধানের চাষাবাদ বাড়াতে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

হিলি থেকে বোয়ালদাড় গ্রামে যেতে সড়কের পার্শ্বেই চোখে পড়বে কালো ও বেগুনি বর্নের নতুন এই জাতের ধানের ক্ষেত। ধানের এমন রং এর কারনে সড়ক দিয়ে চলাচলরত মানুষসহ অন্যান্য কৃষকদের মনে কৌতুল তৈরি করছে। অনেকেই রাস্তা থেকে জমিতে নেমে ধান ও গাছ নেড়ে চেড়ে দেখছেন আবার কেউবা ছবি তুলছেন। বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান মেহেদি হাসান। বিভিন্ন ব্যাংক ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরি করেছে দীর্ঘ ১৮বছর। পাশাপাশি একটি কলেজের অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এর পাশাপাশি করেছেন কৃষিকাজ এবার ভালোভাবে সেই কৃষিকাজ করতে চাকুরি ছেড়ে গ্রামে এসে শুরু করেছেন কৃষিকাজ। বোয়ালদার মাঠে প্রথমে ফলের বাগান করে সফলতা দেখিয়েছেন। এবার তিনি পরিক্ষামুলক ভাবে এই প্রথম প্রায় ৯ বিঘা জমিতে ক্যানসার প্রতিরোধক চায়না, ফিলিপাইন, ব্ল্যাক রাইস, ফাতেমা ও জিন্ক রাইছ বেগুনি জাতের ৪ প্রকার জাতের ধান চাষাবাদ শুরু করেছেন। তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরা এই জাতের ধান চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদি হাসান বলেন,আমি একজন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা এর আগে আমি নতুন কিছু ফলের জাত লাগিয়েছিলাম। এর পাশাপাশি এবারই প্রথম নতুন করে ব্ল্যাক রাইস নামের নতুন ধান চাষাবাদ করেছি। আমি এখানে চায়না, ফিলিপাইন, ব্ল্যাক রাইস লাগিয়েছি। এছাড়া জিংক রাইস বা বেগুনি রাইস ও ফাতেমা জাতের ধান লাগিয়েছি। এসব জাতের ধান আমি নাটোরের ইমরান ঢাকার মোক্তাদিন ও পার্বতীপুরের সায়েদের নিকট থেকে সংগ্রহ করি চাষাবাদের জন্য। আমি নিজে ৫বিঘা জমিতে এই জাতের ধান লাগিয়েছি আর আমার দুই জন পার্টনার রয়েছে যারা কিনা ২বিঘা করে ৪বিঘা এসব ধান লাগিয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় কৃষি অফিস আমাকে সবধরনের পরামর্শসহ সবধরনের সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি এবারে পরিক্ষামুলকভাবে ভালো ফলনের আশায় এই ধান লাগিয়েছি। গাছের যে অবস্থা যেভাবে ধান ধরেছে তাতে করে আমি আশা করছি মোটামুটি ভালো ফলন পাব। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এলাকার কৃষকরা যেন ধরাবাধা জাতের ধান চাষ থেকে বেরিয়ে সুবিধাজনক ও লাভজনক চাষ করতে পারে সেটি ফল হোক অথবা ধান চাষ। এই ধানগুলোর অনেক মুল্য বেগুনি জাতের ধান ৮ থেকে ১০হাজার টাকা মন এটি যদি বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০মন পায় তাহলে তো ৮০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা পাওয়া যাবে যা কিনা বিশাল ব্যাপার। আর ফাতেমা জাতের ধান বিঘাপ্রতি ফলন হবে ৪০মন করে এটি যেন ১হাজার করে ধরি তাহলে ৪০হাজার টাকা পাওয়া যাবে।

আর সবচেয়ে দাম বেশী ও অনেক পুষ্টিগুন সম্পুর্ন কালো রংয়ের ব্ল্যাক রাইস ধান। আমি আগোরা ও মিনা বাজারে এই ধান ৭ থেকে ৮শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে শুনেছি যা কিনা চিকিৎসকেরা খেতে বলেন। ইতোমধ্যেই আমার এই ধান চাষ দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও বেশ আশাবাদী হয়েছেন। তারাও এখন আমার দেখাদেখি এই জাতের ধান লাগানোর আশায় আছেন। সে মোতাবেক তারা নিয়মিত জমিতে গিয়ে আমার ধান দেখছেন ও আমার নিকট থেকে নানা পরামর্শ নিচ্ছেন।

তারা আমার নিকট থেকে বীজ চাইছেন আগামীতে রোপন করার জন্য। পরিক্ষামুলকভাবে প্রথমবারের মত শখের বসে আবাদ করা এসব জাতের ধানের মধ্যে ইতোমধ্যেই কিছু জমির ধান কর্তন করেছি তাতে করে ফলন বেশ ভালো পেয়েছি। এসব ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে এই জাতের ধানের চাষাবাদ বাড়াতে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক সিদ্দিক হোসেন বলেন, আমি কাজের সুবাদে প্রতিদিন বোয়ালদাড় থেকে হিলিতে যায়। যাওয়ার পথে বোয়ালদাড় গ্রামে সড়কের পার্শ্বে প্রথম যখন এই ধান রোপন করা হয় নিয়মিত দেখা যেত। প্রথম যখন এই ধান রোপন করা হয় তখন লালচে বর্নের। পরবর্তীতে যত দিন গড়ে গাছ যখন বড় হয় তখন সেটি কালো রঙ ধারন করে। ধানের রং দেখে প্রথমে মনে হয় ধানের গাছগুলো পুড়ে গেছে। পরে যে ধান লাগিয়েছে তার কাছে জানতে চাই সে বলে এই ধানের রঙ কালো যার নাম ব্ল্যাক রাইস।

কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন,এটা একেবারে নতুন এক ধরনের ধান যা কিনা কালো বর্নের। এই ধান অন্যান্য ধানের তুলনায় আগেই কার্তিক মাসেই আসছে। যা কিনা আসার অগ্রায়ন মাসে আসার কথা সেখানে আগেই আসছে কি অবাক কাণ্ড। সেই ধান ভালোই হয়েছে দেখছি এরকম আগেভাগেই যদি ধান উঠে আসে তাতে করে রবিশষ্য লাগানো ভালো হবে যাতে করে কৃষকদের জন্য সুবিধা। এতে করে আমরাও তার মত আগামীতে এই ধান চাষাবাদ করার চিন্তা করছি।

কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আমি এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম তো হঠাৎ করে মাঠের দিকে নজর যেতেই জমিতে নতুন ধরনের কালো বর্নের ধান লাগানো দেখতে পাই। পরে নিচে নেমে ধানটি নেড়ে দেখি ও এর নাম জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারি এই ধানের নাম ব্ল্যাক রাইস এটি নাকি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জমি থেকে উঠে আসছে। আগাম ধান উঠে আাসার কারনে যেসব কৃষক জমিতে রবিশষ্য লাগায় তাদের জন্য সুবিধা হবে। সে হিসেবে দেখছি যে এই নতুন জাতের ধানটি লাগানো যায়।

কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, শুনেছি এই ধান নাকি ওষধের মত কাজ করে যার কারনে দাম অনেক। আমাদের এই অঞ্চলে এবারই প্রথম এই ধানের চাষাবাদ করেছেন ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে ফলন নাকি বেশ ভালো এর উপর এই ধান আগাম উঠে। যার কারনে আমিও আগামীতে এই ধান লাগানোর চেষ্টা করছি যার কারনে কৃষক মেহেদি ভাই এর নিকট থেকে বীজ সংগ্রহ করে রাখবো।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.মমতাজ সুলতানা বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় এবারেই প্রথম ব্ল্যাকরাইস ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। মেহেদি হাসান নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা নতুন এই জাতের ধান লাগিয়েছেন। ধানের গাছ ভালো হয়েছে তাতে করে আমরা আশা করছি বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫মন করে এই ধানের ফলন পাবেন কৃষক। এই জাতটি একেবারেই নতুন ও অনেক প্রসিদ্ধ একটি ধানের জাত। এই ধানে এন্ট্রিসায়োরিন রয়েছে যেটি কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধি।

এছাড়া এন্ট্রি অক্সিজেন্ট আছে জিংক আছে সেই সাথে প্রোটিনের পরিমান ভালোভাবে আছে সোডিয়ামের পরিমান আছে যা কিনা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। নতুন এই ধানের চাষ থেকে শুরু করে কর্তন পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই তার দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা আশা করছি ধানের নতুন এই জাতটি আমাদের উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে।
এএজেড

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি