রংপুরে পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ
রংপুর নগরীতে পাক পাড়া পূজামন্ডপ সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে পদ্মা সেতুর আদলে এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। রাতে ঝলমলে বিদ্যুতের আলোয় মণ্ডপের পদ্মা সেতুকে সত্যিকার সেতুর মতো মনে হচ্ছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) রাত থেকে রংপুর মহানগরীর ১৬৯টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে পূজামণ্ডপগুলো ঢেকে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি মণ্ডপে বসানো হয়েছে সিসিটিভি।
আয়োজক কমিটির অন্যতম নেতা গনেশ চন্দ্র বলেন, আমরা নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এবার দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ। সেটি উদ্বোধন হয়েছে। তাই পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পূজা আয়োজক কমিটির সদস্য মালতী রানী বলেন, আলোকসজ্জা এমনভাবে করা হয়েছে রাতে দেখলে সত্যিকার পদ্মা সেতু মনে হবে। যা দর্শনার্থীদেরও ভালো লাগবে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর ধর্মসভা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, গত বছর কুমিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে এবার সাইবার ক্রাইমকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। এ ধরনের কোনো অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। রংপুর মহানগরীর প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবীরা রয়েছে।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে যাতে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। কেউ যাতে সাবোটাজ করার সুযোগ না পায় সে জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি পূজামণ্ডপ প্রয়োজনে পাহারা দেবে।
এসজি