লালমনিরহাটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন
লালমনিরহাটে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শতাধিক চাকরি প্রার্থী।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লামনিরহাটের প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড় গোল চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থী জামসুর রহমান বলেন, আমি সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করি এবং ওএমআর সিট পূরণ ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি। কিন্তু সকাল ১১টায় প্রশ্ন দেওয়ার সময় পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হলেও আমাকে মেঘনা সেটের প্রশ্ন দেওয়া হয়নি। কক্ষে উপস্থিত মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের বলা হয়, ‘আপনাদের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের প্রশ্ন এখনও আসেনি।’
পরে ওই কেন্দ্রের প্রায় দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, ‘আপনাদের প্রশ্নের পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে।’
কিন্তু ততক্ষণে অন্য সেটের পরীক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে বাইরে চলে আসেন এবং তাদের মধ্যে অনেক পরীক্ষার্থী বাইরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে পুনরায় দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের এ হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে অনেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আবার অনেকেই পরীক্ষা না দিয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হোক। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো। এ ছাড়া পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিটেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মানববন্ধনে জানান তারা।
জানা যায়, এবারে লালমনিরহাটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৬০০। এ নিয়োগ পরীক্ষায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা এ চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা। জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারননি। ওই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোতে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে এবং তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের নির্দেশনায় ওইসব কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে ফিরে বাড়িতে যান।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এমন অবহেলার জন্য জেলার জেলা প্রশাসককে দায়ী করেছেন এসব চাকরি প্রার্থী। পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিটেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মানববন্ধনে জানায় তারা।
এমএসপি