নেত্রকোনায় কমছে নদ-নদীর পানি, ধান কাটা শুরু
নেত্রকোনায় ফের কমতে শুরু করেছে হাওর এলাকার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। জেলায় ইতোমধ্যে হাওরে ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে বলে ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ঈদকে সামনে রেখে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষক শুরু করেছেন উঁচু জমিতে ধান কাটা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের গোলায় সব ধান উঠবে বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরের পানি বৃদ্ধির কারণে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধসহ কয়েকটি বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। জেলা, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টিকে যায় বাঁধ। রক্ষা পায় হাওরের কৃষকের একমাত্র ফসল। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করছে হাওরে।
খালিয়াজুরীর কৃষক ইদ্রিছ আলী ঢাকা প্রকাশকে জানান, যদি বাঁধ ভাঙত তাহলে তারা জমির ধান কাটতে পারত না। পানি না বাড়াতে এখনো ফসল কাটা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি না হলে হাওড়ের সমস্ত ধান কাটা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এফ এম মোবারক আলী ঢাকা প্রকাশকে জানান, এ বছর জেলায় মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরে আবাদ হয় ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর। তার মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। পানি কমতে শুরু করেছে গতকাল থেকে। আটপাড়া ও মদন উপজেলার উঁচু জমিতে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন চাষীরা। এরই মধ্যে জেলার হাওর ও উঁচু জমি মিলে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির পাকা ধান কাটা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে (২২ এপ্রিল) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত আজ ঢাকা প্রকাশকে জানান, হাওর এলাকায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধনু নদীর পানি খালিয়াজুরী অংশে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বিপৎসীমার ২০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলায় কোনো বাঁধ ভেঙে এখন পর্যন্ত কৃষকের ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। আশা করি কৃষক তাদের পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
এসআইএইচ