ব্যাংকের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্যকে মারধরের অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদীতে সোনালী ব্যাংকের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য আব্দুস ছালাম খলিফাকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নলচিড়া সোনালী ব্যাংক শাখায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গৌরনদী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন আহতের ভাই শাহিন খলিফা।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া বাজারে আব্দুস ছালাম খলিফার জননী ইলেকট্রনিকস নামের একটি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তবে এই জননী ইলেকট্রনিকসের নামে আগে থেকেই ওই ব্যাংকে একটি ইন্সুরেন্স ছিল ছালাম খলিফার। যার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গেলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে আহতের ভাই শাহিন খলিফা জানান, ওই ব্যাংকে কাগজপত্র আনতে গেলে গৌরনদীর স্থানীয় বাসিন্দা ব্যাংক ম্যানেজার জুয়েল সরকার আব্দুস ছালাম খলিফাকে ১৭ এপ্রিল ইস্যু করা ইন্সুরেন্সের কাগজপত্র দেখিয়ে তাতে স্বাক্ষর করতে বলেন। এই জালিয়াতি করতে আমার ভাই রাজি না হয়ে ১৩ এপ্রিলের কাগজপত্র চাইলে ম্যানেজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাইয়ার বাম পায়ে লাঠি মারে। এতে ভাইয়ার পা ভেঙে যায়। এ সময় ম্যানেজারকে সহযোগীতা করেন ব্যাংকের দুই আনছার সদস্যও।
এদিকে পা ভাঙার কথা অস্বীকার করে ব্যাংক ম্যানেজার জুয়েল সরকার বলেন, ‘আব্দুস ছালাম খলিফা ব্যাংকের লোন ডকুমেন্ট ফাইলের কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল। তাই তাকে আনছার সদস্যরা ধাওয়া করে ধরেছে। তারা হয়তো একটু মারধর করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসআইএইচ