শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কে হচ্ছেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক

সবার কৌতুহল এখন জেলা পরিষদকে ঘিরে। কে হচ্ছেন প্রশাসক ? এই তালিকায় একাধিক নাম যুক্ত হলেও বারবার উঠে আসছে শফিকুর রহমান চৌধুরীর নাম। শফিকুর রহমান চৌধুরী বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। গেল দুইবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ থেকে প্রশাসক মনোনীত করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, তৃতীয়বারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিই হতে পারেন সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক।  

১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণের পর জেলা পরিষদে প্রশাসক বসানোর সুযোগ সৃষ্টি করে সরকার। সব ধাপ শেষ করে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনের গেজেট গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে।

জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ওইদিনই সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দিপ কুমার সিংহকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইসঙ্গে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী সরকার মনোনীত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন জেলা পরিষদের। তবে প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না। একইসঙ্গে একাধিকবার কেউ প্রশাসক থাকতে পারবেন না বলেও বিধান রাখা হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর চলে গেছে তিন দিন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকী চার দিনের মধ্যেই সিলেট জেলা পরিষদ পাচ্ছে নতুন প্রশাসক। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সচেতন মানুষের মধ্যে কমতি নেই উৎসাহের। এ ছাড়াও নিজেদের মতো করে অনেকেই প্রশাসক পদে নাম বলছেন বিভিন্নজনের। এ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অন্তত চারজনের নাম পাওয়া গেছে। আলোচনায় উঠে আসা এই চারজন হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ ও বিজিত চৌধুরী।

সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম প্রশাসক মনোনীত হন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। তিনি ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের দায়িত্ব লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। পরবর্তীতে শুন্য পদে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এদিকে প্রশাসক পদে শফিকুর রহমান চৌধুরীর পর বেশি করে নাম উচ্চারিত হচ্ছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিনের। আসাদ উদ্দিন আহমদ এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ৯ জুন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক পদে নিয়োগ লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই আলোচনায় নাম রয়েছে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম। অনেকের ধারণা, ত্যাগী এবং কর্মঠ বিবেচনায় প্রশাসক হিসেবে স্থান পেতে পারেন তিনি। মহানগর সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরীও রয়েছেন এই আলোচনায়। তিনিও সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সঙ্গে। ডাকসাইটে এবং আপোসহীন হিসেবে তাঁর সুনাম ছাত্রজীবন থেকে। গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে সংখ্যালঘুদের যথাযথ মূল্যায়ন করেছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সরকারি বিবেচেনায় তিনিও প্রশাসক পদের দাবিদার।

জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইনে ৮২ নম্বর ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে-এতে কোনও জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। তবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগপ্রাপ্ত কাউকে প্রশাসক পদে বসানো হচ্ছে না-এমনটিও বলছেন সমাজকর্মীরা। তাদের মতে, সরকার যেকোনো মূল্যে জেলা পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের পছন্দমতো লোককেই নিয়োগ দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।

সিলেট জেলা বারের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। জেলা পরিষদ আইনের ৮২ ধারার ০২ উপধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ফলে সরকার যেকোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এই ব্যক্তি যে দলীয় হতে হবে তা-আইনে নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যখন যে সরকার আসে, সেই সরকার তাঁর অনুগত লোককেই প্রশাসক নিয়োগ করে থাকে। সে অদক্ষ, অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ হলেও প্রশাসক পদে নিয়োগ পেয়ে যায়। অথচ সরকার চাইলে দক্ষ, সৎ ও প্রজ্ঞাবান লোককে এক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায় না। সাধারণ নাগরিকের জন্য সাধারণ নাগরিক থেকে গ্রহণযোগ্য, সৎ, নিষ্ঠাবান ও দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশাসক হিশেবে নিয়োগ করলে সরকার এবং জনগণের জন্য অধিকতর কল্যাণকর হতো বলে মনে করেন তিনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদের মাধ্যমে কি কাজ করা উচিত এবং বিগত দিনে কি কি কাজ করা হয়েছে-তার একটি তথ্য উপস্থাপন করা ছিল জরুরি। পরিষদ আছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে। আর কাজ করতে হলে দলীয় লোকের বাহিরেও অনেক যোগ্য মানুষ রয়েছেন। সুতরাং দলকেন্দ্রিক না করে পরিষদ এবং তার কার্যক্রম তুলে ধরতে হলে গ্রহণযোগ্য এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারে সরকার।

সিলেট মহানগর আওয়ামী সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি একান্তই সরকারের। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রধানই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত গ্রহণ করবেন। জেলা পরিষদে দল যাকে যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করবে তাকেই প্রশাসক পদে আসীন করা হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো প্রত্যাশাও নেই। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলায় একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ নারী সদস্য অর্থাৎ মোট ২১ সদস্যের পরিষদ রয়েছে। আইন অনুযায়ী জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলররা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদের ভোটার।

এসআইএইচ

Header Ad

ঢাকায় কনসার্ট করবেন পাকিস্তানের রাহাত ফাতেহ আলী খান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান ঢাকায় আসছেন। জুলাই-আগাস্টের ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে ঢাকায় বিনা পারিশ্রমিকে ‘চ্যারিটি কনসার্ট’ করবেন তিনি।

আয়োজকদের পক্ষথেকে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কনসার্ট থেকে অর্জিত অর্থ যাবে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে।

শুক্রবার বিকেলে ৪টায় (২৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কনসার্টটির আয়োজক ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামক এক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আগামী ২১ ডিসেম্বর ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই।’

এই কনসার্টের জন্য এরই মধ্যে রাহাত রাহাত ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা।

পাকিস্তানের এই শিল্পী ছাড়াও কনসার্টে গান পরিবেশন করবে দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র‌্যাপার সেজান এবং হান্নান।

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ইকোস অব রেভ্যুলেশন শিরোনামে চ্যারিটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad

বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তার ওপর হামলা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০/১১/২০২৪) দুপুরে দুপুরে নূরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ছাত্র তার ওপর হামলা চালান

ভুক্তভোগী বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে নেন পরিচালক।

তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক এই সংস্কৃতি মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ

ভয়েস অব আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।

গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে।

মাত্র ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে।

জরিপে ১,০০০ উত্তরদাতাকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলের সাথে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়।
বাংলাদেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের জন্য এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। উত্তরদাতাদের মধ্যে সমানসংখ্যার নারী ও পুরুষ ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায়, তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা সূফী সাধকদের আস্তানা ও মাজার সমূহের ওপর।

বাংলাদেশের এক মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আবার শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেও তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের আবাসস্থলে আক্রমণ হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভিন্নমত প্রকাশকারীরা যে বরাবরই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, সেদিকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, কোনো সরকার তাদের অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা তফাত লক্ষ করা গেছে।

মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে খারাপ। কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে খারাপ করছে।

জরিপে দেখা গেছে, মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এই ধারণার সঙ্গে একমত।

 

 

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় কনসার্ট করবেন পাকিস্তানের রাহাত ফাতেহ আলী খান
বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ
এক মাস পর আবারও উৎপাদনে ফিরলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা
লোডশেডিংয়ে ২০ মিনিট বন্ধ ছিল আতিফ আসলামের কনসার্ট
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
বাংলাদেশী রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করলো কলকাতা
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব
‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক
সিরিজ রক্ষার মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম