নেত্রকোনায় ধনু নদের পানি বিপৎসীমার উপরে, ঝুঁকিতে বাঁধ
ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরীর ধনুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকালে বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধনুসহ সব কটির নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধনু নদের পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কীর্তনখলা, চর হাইজদা, রসুলপুর বাঁধসহ হাওরের বেশির ভাগ ফসল রক্ষা বাঁধ উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল কাটা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু এলাকার মানুষ নয়, সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। এতে করে হাওর অঞ্চলে একমাত্র ফসল রক্ষা করতে সহজ হবে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে সারা বছরের একমাত্র স্বপ্নের ফসল হারানোর আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না।
খালিয়াজুরীর ধনু নদীর পাড়ের কৃষক সঞ্জয় তালুকদার বলেন, আমরা যে ধান কাটছি, খোরাক অইব। অহনও অনেক ধান কাটতাছি। গাঙের পানি আরেক বার বাড়লে সব তল অইয়়া যাইব। খরচপাতি আর কামলার টেহা গরু বেইচা নাইলে জমি বেচত অইব।
নেত্রকোনা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোবারক আলী হোসেন জানান, জেলার হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বোর ধান কাটা হয়েছে। বাকি ধান কাটতে ৫-৭ দিন সময় লাগতে পারে। যদি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে এর অবস্থা কী হবে জানি না। যত দ্রুত সম্ভব ফসল কাটা ও ঘরে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ব্রি-২৮ ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আর ব্রি-২৯ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় সরকারের নির্দেশে শত শত কৃষক হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন। ঢলের পানি বৃদ্ধি না পেলে হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।
এমএসপি