শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিলেটে নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল, বাড়ছে দুর্ঘটনা

সড়কে মোটরসাইকেল একটি আতঙ্কের নাম। সম্প্রতি উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। সিলেটে চলতি মাসের শুরুতেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন।

এর মধ্যে ১ এপ্রিল ঢাকার মানিকগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে সিলেটে বেড়াতে আসার সময় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই বন্ধু। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বেলঘর এলাকায় সিলেটগামী মোটরসাইকেলটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হলে জামি ও রাজিব নামের এই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়। ৬ এপ্রিল সিলেটের জৈন্তাপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিশুসহ প্রাণ হারান আরও তিনজন। এই দুর্ঘটনায় আহত হওয়া অপর এক ব্যক্তি ১১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সড়কে ১৯ ধরনের যানবাহন চলাচল করলেও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি এখন উদ্বেগের কারণ। অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে সড়কে এই যান যেমন বেশি নামছে তেমনি দুর্ঘটনায় পড়ে এর চালক ও আরোহীদের মৃতের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। মোটরবাইক চালানোর যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা ও উঠতি বয়সের তরুণরা বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণেই এই মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতী এ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তা রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

সিলেট হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী কেবল ২০২১ সালে সিলেট অঞ্চলে যানবাহনের মামলা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৫ টি। এরমধ্যে গতি নিয়ন্ত্রণ না মানায় ৪ হাজার ৯৬৪টি, গাড়ির কাগজ পত্রের বৈধতা না থাকায় ৮ হাজার ৭৫৭টি ও মোটরযানের মামলা রয়েছে ১ হাজার ২০৯টি। মোটরসাইকেলের মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ, হ্যালমেট ব্যবহার না করা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন মামলা। গেল বছর যানবাহনের মামলাখাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ৪ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিলেটে নিবন্ধিত মোট মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৯টি। এর পরের বছরে তা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৪৬টি। ২০২১ সালে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ছিল ৮ হাজার ৯৩৪টি এবং চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ তিন মাসেই মোট মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩১২টিতে। তবে সড়কে নিবন্ধনের বাইরেও অনেক মোটরবাইক চলাচল করছে। অনিবন্ধিত মোটরসাইকলের সংখ্যা ২৭ হাজারের উপরে হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সিলেটে বছরখানেক ধরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান সুনামগঞ্জের আরফান। আয়ও বেশ হচ্ছে। প্রতিদিন তেলের খরচ বাদ দিয়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। উপশহর পয়েন্ট, বন্দরবাজার ও হুমায়ুন চত্বর মোড়ে তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন। হাতে ১ হাজার ৫০০ টাকা দামের একটি হেলমেট। আর যাত্রীর জন্য ২৫০ টাকা দামের প্লাস্টিকের আরেকটি হেলমেট সিটের ওপর রেখে দিয়েছেন। তার কাছে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করলে মুখটা মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায়। কেন বাড়ছে?- প্রশ্ন করতেই উত্তরে বলেন, ‘ওভার স্পিডে গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক বাইকার আছে, এমন জোরে টান দেয়, তখন যদি সামনে গাড়ি পড়ে যায় আর কন্ট্রোল করা যায় না। আবার ওভার স্পিডে গাড়ি ওভারটেক করার সময় সামনাসামনি গাড়ি চলে এলে মৃত্যু নিশ্চিত।’

পাশেই মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষমান বাইকার আবদুর রউফ। বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। তিনি এগিয়ে এসে সড়ক দুর্ঘটনার দোষ কিছুটা নিজের দিকে নিয়ে বলেন, ‘আমাদের উচিত ধীরে-সুস্থে গাড়ি চালানো। বিশেষ করে হাইওয়েতে ফুল স্পিডে যখন চালানো হয় তখন সামান্য ভুলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য আমাদেরই নিরাপদে চলতে হবে।’

নগরীর বিভিন্ন মোটরসাইকেল চালক ও মোটরপার্টস বিক্রেতারা জানালেন, দেশের মার্কেটে যে হেলমেট পাওয়া যায় তা দুর্ঘটনা রোধ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। বেশিরভাগ চালকই মামলার হাত থেকে বাঁচতে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা দামের হেলমেট পরেন, যা দুর্ঘটনা থেকে খুব একটা সুরক্ষা দেয় না। আর মার্কেটে যেসব হেলমেট পাওয়া যায় তা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মাধ্যমে পরীক্ষিত নয়। এমনকি এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হেলমেটের মান যাচাই ও নির্ধারণ করে দেওয়ার সক্ষমতা নেই। এতে যেমন-তেমন হেলমেট পরেন চালকরা, ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে হয় চালক ও তার সঙ্গীকে। নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে অনেক চালক মাথায় হেলমেট পরেন না, এতে মৃত্যুঝুঁকি কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

বেপরোয়া চালানো, অনিরাপদ ওভারটেক ও তরুণদের রেসিং করার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমাতে চালক ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদস্য সচিব চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির জহিরুল ইসলাম মিশু। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে ওভারস্পিডিং ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চালানো। লাইসেন্স বিহীন চালক ও হেলমেট পরিধান না করার কারণে দুর্ঘটনার পর মৃত্যুর হার বেশি দেখা যায়।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ ও মনিটরিং দরকার। নতুন বাইক ক্রয়ের সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করতে হবে।

বিআরটিএ সিলেটের সহকারি পরিচালক সানাউল হক বলেন, বর্তমানে ট্যাক্স, নিবন্ধন ফি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল সহজলভ্য হয়ে গেছে। যারা একসময় কৃষিকাজ করতেন তারাও জীবিকার তাগিদে কিছু টাকা জমিয়ে মোটরসাইকেল কিনেছেন। কিন্তু তাদের মোটরসাইকেল চালানোর জন্য যে অভিজ্ঞতা দরকার তার কিছুই নেই। অনেকেই ভালো কোনো ট্রেনারের কাছে প্রশিক্ষণ না নিয়েই বাইক কিনে গ্রামে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ট্রিপ দিচ্ছেন। গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তরুণরা দলে দলে মহাসড়কে রেসিং করছে। কোনো নিয়মকানুন মানছে না। কমদামি হেলমেট পরেন চালকরা। এক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের একটি নীতিমালা আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী হেলমেট আমদানি বা দেশে তৈরি করার কথা। কিন্তু এর মনিটরিং করার কোনো ব্যবস্থা দেশে নেই। এ জন্য একটি টেস্টিং ল্যাব তৈরি করতে হবে। আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করে, রেসিং, ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্সপ্রেস ওয়ে যেখানে হচ্ছে সেখানে ওভার স্পিডিং রোধ করতে হবে। তরুণ ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বয়স হয়নি; কিন্তু পরীক্ষায় পাস করেছে এ জন্য বাইক কিনে দিচ্ছেন! এটা ঠিক নয়, যা ক্যানসারের সেলের মতো দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ জন্য সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার (সিলেট রিজিয়ন) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের সমাজে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত সমাজের অভিভাবক নিজ সন্তানদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের আগেই হাতে মোটরবাইক তুলে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আগের চেয়ে অনেকটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে এই যানটি। অপরদিকে করোনার ধাক্কায় অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এতে কোনোভাবে একটি বাইক কিনে দেশের যেকোনো স্থানে রাইড শেয়ার করে আয় করছেন। কিন্তু গাড়ি চালাতে তাদের যে প্রশিক্ষণের দরকার তা তারা নেন না। কমপক্ষে ১ হাজার কিলোমিটার পথ চালানোর পর হাইওয়ে বা মহাসড়কে উঠতে হয়। কিন্তু এই নিয়ম অনেক চালকই মানছেন না। বাইক কেনার পরই মহাসড়কে চালানো শুরু করেন, এতে দুর্ঘটনার শিকার হন। অপরদিকে বেপরোয়া চালানো ও তরুণরা রেসিং করার কারণেও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

টিটি/

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন