শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হাওর ডুবায় আমরা নিঃস্ব অইগিলাম'

 

স্বপ্নটা খুবই ছোট। শুধুই খেয়ে-পরে বাঁচার। বোরো ফসল দিয়েই সারা বছরের স্বপ্ন বুনেন সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকেরা। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সেই স্বপ্ন। পরিণত হয়েছে সারা বছরের দুঃস্বপ্নে।

একের পর এক হাওর পানিতে ডুবে যাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের চিন্তা এ বছর তারা চলবেন কীভাবে। কেউ কেউ তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন গরুর খাবারের জন্য। হাওরজুড়ে আর্তনাদ করছে কৃষকের দীর্ঘশ্বাস।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কানলার হাওরপাড়ের কৃষক শফিকুল ইসলাম এবার বিরামপুর এলাকায় আট একর বোরো ফসল আবাদ করেছিলেন। সংসারের অভাব দূর হবে সে স্বপ্ন ছিল কৃষক শফিকুল ইসলামের। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কেড়ে নিল শফিকুল ইসলামের মুখের হাসি। তলিয়ে গেল কানলার হাওরের পুরো বোরো ফসল। পানিতে তলিয়ে যাওয়া কাঁচা ধানই কেটে নিচ্ছেন তিনি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হওয়া কৃষক শফিকুল ইসলামের চোখে-মুখে এখন হতাশার ছাপ।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘হাওর ডুবার আগে দিনের অবস্থা মোটামুটি ভালা আছিল, আগেই হুনছিলাম ইবার বন্যা টন্ন্যা অইব। খুব ভয়ের মাঝে আইলাম দিন নাই রাইত নাই হাওরটা পাহারা দিয়া রাখছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হইল না। বান (বাঁধ) ভাঙিয়া (ভেঙে) আমার সব ধানসহ আমরার হাওর পানির তল (তলিয়ে) করিলাইছে। ‘হাওর ডুবায় আমরা নিঃস্ব অইগিলাম। কিন্তা হইল ইতা দুই নাম্বারি বান (বাঁধ) দিয়া। এখন গতবারের মতো গরু বেইচ্ছা (বিক্রি) খাইতে হইব।

২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলে হাওর ঢুবে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও সরকারি সহায়তা পাননি শফিকুল ইসলাম। সংসার চালিয়েছেন গরু বিক্রি করে ও জমি বন্ধক দিয়ে। একই অবস্থা ডুবে যাওয়া কানলার হাওরের অন্য কৃষকদের। শফিকুল ইসলামের মতো অনেক কৃষকই কাঁচা, আধাপাকা ধান কাটছেন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে প্রতি ৪-৫ বছর পর পর হাওরে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। অকাল বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাওরের ফসলের ক্ষতি হয়। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বিপর্যয়ের পর শঙ্কামুক্ত ৪ বছর কাটানোর পর আবারও ধাক্কা খেলেন কৃষকেরা। গত ৩০ মার্চ মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এরফলে ঝুঁকিতে পড়ে হাওরের বোরো ফসল। এ অবস্থা অব্যাহত থাকার কারণে সর্ব প্রথম তাহিরপুরের নজরখালী বাঁধ ভেঙে টাঙ্গুয়ার হাওরের ফসল ডুবে যাওয়াসহ একের পর এক ছোট-বড় কয়েকটি হাওরের ফসলহানি ঘটেছে। তবে জেলার বড়বড় হাওরের ফসল ক্ষতি হয়নি।

চাপতির হাওরে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কৃষক ইমান আলী জানান, এবার ১৪ কেদার জমিনে বোরো আবাদ করেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে গেলেও কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন। তার কারণ ধান কাটাতে শ্রমিকের টাকা দিতে পারবেন না, আবার ধান না কাটলেও গবাদিপশুকে না খেয়ে মরতে হবে। তাই তিনি একাই নিজের ১৩ বছর বয়সি ছেলেকে নিয়েই তলিয়ে যাওয়ায় কাঁচা কাটা ধান কাটছেন। তার সব ক্ষোভ বাঁধ নিয়ে।

কৃষক ইমান আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পাঁচ কেয়ার জমি করেছিলাম। সবগুলো জমির কাঁচা ধান পানির নিচে আছে। এখলা (একা) আমি না আমার লাখান (মতো) কয়েটা গ্রামের মানুষের বোরো ফসল ডুবেছে। কোনতা আর বাকি রইল না, সব পানির নিচে ডুইব্বা গেলে রে ভাই আর আমরার কিচ্ছু নাই। ধান নাই, খড়ও নাই। এখন গরুরে কিতা অই খাবাইমু?ইতার লাগি (এর জন্য) কাঁচা ধান কাইট্যা নিলাম বাড়িত। এ কাঁচা ধান মানুষে খাওয়ার মতো উপযুক্ত না।

এসময় তিনি আরও বলেন, বেড়ি বানের (বাঁধ) কাম ঠিক মতো হইছে না। আমি দোয়া করি আর কোনো বান (বাঁধ) যেনো না ভাঙে। আমার মতো ফসল হারা যেনো আর কেউ না হয়।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৫৪টি হাওরে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকার বোরো ধান। চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ফসলের সুরক্ষার জন্য ৭২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে ১৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারসহ ৫৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ জন্য সরকার ১১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আমরা দিনরাত কাজ করছি। জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে মাঠে ধান কাটার মেশিনও আছে। মাঝখানে পানি কিছুটা কমেছিল। কিন্তু এখন আবার বাড়ছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত। আর যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে কৃষকেরা তাদের ফসল গোলায় তুলতে পারবেন।

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ও ফসলহানির ঘটনায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরিন মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলার ধর্শাপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরসহ তাহিরপুরের টাঙ্গয়ার হাওরের নজরখালী এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও ফসল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

ধর্মাপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন বলেন, হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বাঁধ আমরা পরিদর্শন করছি। এরই মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন করেছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেব।

এসএন

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন