শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ 

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি-পিআইসি গঠনেই ছিল টাকার খেলা। এ ছাড়া সময় মতো কাজ শুরু না হওয়া, কাজ দেওয়ার পর অর্থ বরাদ্দ না দেওয়া, যেসব কাজ হয়েছে তার সঠিক তদারকি না করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অনিয়ম দুর্নীতের হোতা হিসেবে রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) দায়ি করছেন হাওরপাড়ের কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ডুবাইল ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের নির্মাণাধীন ঘোড়াচক্কর বাঁধ পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। পরিদর্শন শেষে তিনি দৌলতপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এলে উপমন্ত্রীর পথ আগলে দাঁড়ান আব্দুল মালেক নামের এক কৃষক। তখন তিনি অভিযোগ তুলেন হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে। তাদের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন ফসল হারানো এই কৃষক।

ধর্মপাশার রাজাপুর বড়হাটি গ্রামের আব্দুল মালেক নামের এক বিক্ষুব্ধ কৃষক উপমন্ত্রীকে বলেছিলেন, টাকার বিনিময়ে কীভাবে কাজ দিয়ে থাকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। এসময় কৃষকের অভিযোগ শুনে স্থানীয় এমপিসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যান সেই কৃষক আব্দুল মালেকের উপর। যার পুরো চিত্র ঢাকাপ্রকাশের ক্যামেরাবন্দী হয়।

কৃষক আব্দুল মালেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন (স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস ও তার বেয়াই সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর কবির, সাধারণ সম্পাদক বদরুল হুদা রাসেলসহ কয়েকজন নেতা ১ লাখ করে টাকা নিয়ে প্রতিটি পিআইসি বিক্রি করেছেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা আক্তার খানম, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে উপমন্ত্রী কৃষক মালেককে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন।

শুধু ধর্মপাশা উপজেলায়ই নয় একইভাবে সুনামগঞ্জ জেলার অন্যান্য হাওরগুলোতেও একই চিত্র। পিআইসি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলার জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের কয়েকটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ বার বার ধসে পড়ছে। বালুমাটি দিয়ে দায়সারাভাবে এ বাঁধগুলো তৈরি করা হয়। ২০১৭ সালে এ বাঁধ ভেঙে নলুয়া হাওরের ফসলডুবির ঘটনা ঘটেছিল। এবারও নলুয়া হাওরের ৬ ও ৭ নম্বর প্রকল্পেও ধস দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১১ এপ্রিল) জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় একজন কৃষক জাকারিয়া তালুকদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'প্রতি বছর বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। সব টাকা চলে যায় বড় সাহেবদের পকেটে। হাওরে কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের হাওর গেলে বাচ্চাদের নিয়ে চলব কীভাবে? দেশে কী বিচার নেই? প্রতি বছরই অফিসার-নেতারা হাওরের টাকা লুটপাট করবে আর বিচার হবে না, তা আমরা মানতে পারি না। আমাদের চোখের পানি আর হাওরের পানি প্রতি বছর এক হবে? আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না।'

নলুয়া হাওরপারের কৃষক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, এবার কাজ খুবই নিম্নমানের হওয়াতে এসব দুর্বল বাঁধ বৃষ্টিতে ও সামান্য পানির চাপে ভেঙে যাচ্ছে। ৫ নম্বর প্রকল্পের বাঁধ বারবার ধসে পড়ছে। আমরা স্থানীয় কৃষকদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি রক্ষায় কাজ করছি।

১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করা হয় প্রায় এক মাস পর। ফলে হাওরে বিলম্বে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁধের কাজ সমাপ্ত হয়নি। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় এবং তাড়াহুড়ো করে কাজ করায় অনেক বাঁধে ত্রুটি ও দুর্বল কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। অন্যদিকে পুরো টাকার কাজ না করে মোটা অংকের লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সহ হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

'হাওর বাঁচাও' আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বললে, তারাও কৃষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ এবারও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় বাঁধের প্রকল্প নিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সঠিক তদারকির অভাবে কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি হয়েছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জড়িত বলে তারা দাবি করেন।

'হাওর বাঁচাও' আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দায়সারা ভাব, দায়িত্বহীনতা এবং প্রকল্পের কমিটির সঙ্গে আর্থিক যোগসাজশে বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়াতে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। দ্রুত হাওরের ফসলরক্ষা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলেও আমরা আন্দোলনে নামব।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, 'কৃষক মালেক প্রথম উপমন্ত্রীর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি। পরে ওখানে উপস্থিত কয়েকজন যখন বলেছেন, পিআইসি গঠন ইউএনও সাহেব করেন, তখন এসে আমার কথা বলেছেন কৃষক। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি, যেহেতু মন্ত্রীর সামনে অভিযোগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।'

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন বলেন, 'ওই কৃষক মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই কথাগুলো কেন বলল, তদন্ত হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আমি মনে করি কেউ তাকে এসব কথা শিখিয়ে দিয়েছে। ওই কৃষক এটিও বলেছে, তিন মাস হয় সে দলে যোগদান করেছে। কৃষক মালেক মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট অভিযোগ করেছেন।'

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি এবং পিআইসি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেবার এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের একটি মাত্র বোরো ফসল রক্ষায় আমরা সকলেই একযোগে কাজ করব, সেই আহ্বান জানাচ্ছি।'

টিটি/

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন