শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লবণাক্ততায় মাতৃত্ব হারাচ্ছেন উপকূলের নারীরা

জীবন ও জীবিকা- যেমন একটি আরেকটির অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক তেমনই নারী ও মাতৃত্ব- একটি আরেকটির সঙ্গে ভীষণভাবে সম্পর্কিত। তবে কখনো কখনো মাতৃত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায় জীবিকা। বিষয়টি খানিকটা অমীমাংসিত হয়ে দাঁড়িয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নারীদের কাছে। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতেই মাতৃত্বের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা।   

জীবিকার জন্যই প্রতিদিন লবণাক্ত পানিতে কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় এখানকার নারীদের। ফলে জরায়ুতে ইনফেকশন, টিউমার, ক্যান্সার, জরায়ু নেমে যাওয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে মাতৃত্ব হারানোর মতো সংকটে পড়ছেন অনেক নারীই।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে। দৈনন্দিন সব কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করতে হয় এ অঞ্চলের নারীদের। এ ছাড়া জীবিকার তাগিদে দীর্ঘক্ষণ চিংড়ির ঘেরে কোমর পানিতে ডুবে থেকে কাজ করেন অনেকেই৷ ফলে জরায়ুর নানা আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা। অল্প বয়সেই জরায়ু কেটে ফেলতে হয়েছে গ্রামের অনেক নারীর। আর এ কারণে তালাকের শিকার হতে হয়েছে কাউকে কাউকে।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গাবুরার মতো একই চিত্র সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার পর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো লোনাপানির কবলে পড়ে। তারপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা-জলোচ্ছ্বাস লেগেই আছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য সময়ের জন্য একটু বৃষ্টির পানির দেখা মিললেও বাকি সময়টা কাটাতে হয় লোনাপানিতে। ফলে, দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় জন্মহার কমে যাচ্ছে এসমস্ত অঞ্চলে। মাতৃত্ব ঝুঁকিতে রয়েছেন এ অঞ্চলের নারীরা। অপুষ্টি ও জরায়ুজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় নারীদের কমে যাচ্ছে সন্তান ধারণের ক্ষমতা।

শ্যামনগর উপজেলার হরিশখালী গ্রামের তাহমিনা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, তার জরায়ুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বছর কয়েক আগে। বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত রয়েছেন।

পাশ্বেমারী গ্রামের মর্জিনা খাতুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'স্বামীর আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আমি নদীতে জাল টেনে মাছ ও কাঁকড়া ধরে বিক্রি করি। আমার মতো এ অঞ্চলের অনেক নারী নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন লোনা পানিতে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জরায়ু সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছি।'

একই ইউনিয়নের পারভীন আক্তার বলেন, 'আমাদের অনেক সমস্যা মোকাবেলা করে জীবনযাপন করতে হয়। বিশেষ করে সুপেয় খাবার পানির কষ্ট, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যায় না। এ ছাড়া লবণাক্ততার কারণে অপুষ্টি ও জরায়ুজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার হচ্ছি। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে জটিলতার শিকার হচ্ছি।’

শ্যামনগর উপজেলার মৌ-খালি গ্রামের শাহানারা খাতুন, শাহিদা আক্তার, ফিরোজা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, মোমেনা খাতুনসহ একাধিক নারীর জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা (ফুলতলা) গ্রামের পঞ্চানন মণ্ডলের স্ত্রী কল্পনা রানী মণ্ডল বলেন, 'জরায়ু, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও টিউমার তিনটি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তার। জরায়ু কেটে বাদ দিতে হয়েছে তার। আমাদের এদিকের পানি লবণাক্ত। সেজন্য নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছি আমরা। আমি খুলনায় অপারেশন করেছি। আমাদের পাড়ার মধ্যেই এমন ১০-১৫ জন রয়েছে। তাদের অধিকাংশই জরায়ু সমস্যায় ভুগছেন।'

একই উপজেলার সোরা গ্রামের আসমা বেগম বলেন, সাত বছর আগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু কেটে ফেলেন তিনি। এদিকে জরায়ু কেটে ফেলায় স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেই থেকে পিতার সংসারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, জরায়ু কেটে ফেলার কারণে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তাদের। অপারেশনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের আবার বিয়ে করার বিষয়েও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। আবার বাবার বাড়িতেও থাকতে নানা গঞ্জনার মধ্যে দিয়ে।

স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী আরিফা খাতুন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার প্রধান শিকার এখানকার নারীরা। পানিবাহিত রোগের কারণে নারীদের জরায়ু টিউমার, জরায়ু ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতে হয়। অল্প বয়সে অনেকে জরায়ু অপসারণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে এখানকার নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।'

মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ দত্ত ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের সার্ভাইকাল ক্যান্সার হচ্ছে। জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এখানে পর্যাপ্ত সুপেয় নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া কর্মসংস্থানের অভাবে এ অঞ্চলের মানুষ অভিবাসী হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।'

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অজয় কুমার সাহা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই নারীরা তাদের নানা ধরনের চর্মরোগ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। অনেকের অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলতে হচ্ছে। লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এসএন

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন