তুচ্ছ ঘটনায় মারধরে গেলো ৬২ বছরের বৃদ্ধার প্রাণ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের তৃতীয় দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন নুরজাহান বেগম (৬২) নামে এক বৃদ্ধা। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নুরজাহান বেগম উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের সাইলকাই গ্রামের আইয়ুব খানের স্ত্রী। এ ঘটনায় আইয়ুব খানও গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ৮ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এর মধ্যে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- উপজেলার বাইলজুরী চকপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী আছমা বেগম।
ঘিওর থানা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বাইলজুরী এলাকায় নুরজাহানের ছেলে সাদ্দাম খান ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি ভুট্টাগাছ ভেঙে যায়। এতে জমির মালিক নজরুল ইসলাম সাদ্দামকে মারধর শুরু করেন। এ সময় সাদ্দামের চিৎকারে তার বাবা আইয়ুব খান ও মা নুরজাহান এগিয়ে আসেন। এরপর নজরুল ফোন করে তার এলাকার লোকজনকে ডেকে আনেন। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নজরুলের লোকজন লাঠি দিয়ে নুরজাহান ও তার স্বামী আইয়ুবকে পিটিয়ে আহত করেন।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে নুরজাহান মারা যান। এর আগে সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য আইয়ুব খানকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় বিকালে নিহত নুরজাহানের ছেলে সাদ্দাম বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এর আগে দুপুরে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বৃদ্ধার মরদেহ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব বলেন, হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমএসপি