তিন যুগ পর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেল শত পরিবার
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের দুঃখ বলে খ্যাত চিঙ্গরিয়া খালের অবৈধ চারটি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। খালটি দখলের দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ পরে বাঁধগুলো অপসারণ করা হলো।
এ খালটির বাঁধ অপসারণের ফলে পৌরসভার কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পাশের এবং খালটির দুই পাড়ের শত পরিবারের জলাবদ্ধতার অবসান হলো।
জানা গেছে, দুই দখলদার ১৯৮৬-৮৭ সালে পানিতে টইটুম্বুর থাকা খালকে চাষযোগ্য কৃষিজমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নেন। অথচ এখন শুকনা মৌসুমেও খালটিতে ৩-৪ ফুট পানি রয়েছে। এ খালের একাধিক স্পটে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়। এখন খালটির এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহ্বায়ক নাসির তালুকদার ঢাকাপ্রকাশকে জানান, এই খালটি দখলমুক্ত করার মধ্য দিয়ে এই এলাকার মানুষের জলাবদ্ধতা দূর হলো। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। এই উদ্যোগের জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশকে জানান, খালটি পুরোপুরি উদ্ধার করা হবে। শুধু এই খালই নয় পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব খাল দখলমুক্ত করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান ঢাকাপ্রকাশকে জানান, প্রায় ৪০ বছর পর খালটি দখলমুক্ত হলো। এ খালটি সংস্কারের মাধ্যমে জোয়ার-ভাটার প্রবাহমান পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ এই খাল বন্দোবস্ত না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আশা করছি, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের যৌথ উদ্যোগে বাঁধগুলো অপসারণ করা হয়।
টিটি/