শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বরগুনা কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

বরগুনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অমর চন্দ্রের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অমর চন্দ্রের হাতে ইনকোর্স ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর থাকায় তিনি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ ও প্রাইভেটে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি এবং ছাত্রদের দিয়ে নিজের বাসার বাজার করিয়ে নেন।

বুধবার (৬ এপ্রিল) ওই কলেজের বাংলা বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র এনামুল হক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

লিখিত অভিযোগে এনামুল হক উল্লেখ করেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক অমর দাসের কাছে আমরা গোটা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীর এক প্রকার জিম্মিদশায় আছি। তার হাতে থাকা ভাইবা ও ইনকোর্সের মার্কসের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নানা প্রকার অনৈতিক আবদার করেন। বিশেষ করে, ভাইভায় মার্কস দেওয়ার জন্য তিনি অর্থ দাবি করেন। গরীব অসহায় শিক্ষার্থীরা কেউ টাকা না দিলে তাদের সর্বনিম্ম মার্কস দেয়ার ভীতি প্রদর্শন করেন। একইভাবে ফুল মার্কস দেওয়ার বিনিময়ে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাজার সওদা করানো, পোশাক কিনে দেওয়ার আবদার করছেন।

এনামুল বলেন, স্যার বিভিন্ন সময়ে তার ব্যক্তিগত কাজে আমাদের ব্যবহার করেন। ভাইভা ও ইনকোর্স নাম্বারের দোহাই দিয়ে আমার কাছ থেকেও অমর স্যার একাধিকবার ইলিশ মাছ, কৈ মাছ, দেশি মুরগীসহ বাজার-সওদা করিয়ে নিয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি কলেজের ভেতরে যে কক্ষটিতে থাকেন, ওই কক্ষের খাট ভেঙে যাওয়ায় গভীর রাতে ডেকে নিয়ে খাট মেরামত পর্যন্ত করিয়েছেন। একইভাবে তিনি আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রায় সব ছাত্রকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, বাজার সওদা করে খাওয়ানোসহ নানা কাজে বাধ্য করিয়েছেন।

গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শিক্ষক অমরচন্দ্র কলেজের বিপরিতে একটি বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী বেঞ্চ থেকে উঠে গিয়ে পেছনের দিকে বসেন। এ ছাড়া ক্লাস চলাকালীন একজন ছাত্রীর শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন শিক্ষক অমর চন্দ্র।

একইভাবে একজন ছাত্রী স্যারের এমন আচরণের বিষয়ে সহপাঠির সাথে কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড, একজন ছাত্রকে মাছ ও খাসির মাংস কিনে নিয়ে আসার কয়েকটি কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সরবরাহ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ভিডিও দেখানোর পর ওই কলেজের বাংলা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক শীরিন সুলতানা নিশ্চিত করেন ওই ভিডিওর ব্যক্তিটি বিভাগীয় প্রধান অমর চন্দ্রের।

শিরীন সুলতানা বলেন, আমার কাছেও স্যারের এমন আপত্তিকর আচরণের বিষয়ে অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু ছাত্রীদের ডেকে জিজ্ঞেস করলে তারা অস্বীকার করেছিল।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বাংলা বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের এক ছাত্রী জানান, তিন-চার মাস আগে বৃষ্টির মধ্যে একদিন প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় পেছনের বেঞ্চে বসায় স্যার তাকে ডেকে সামনে সারিতে নিয়ে বসিয়ে শরীর স্পর্শ করে আপত্তিকর আচরণ শুরু করেন। পরে ক্ষোভে-ঘৃণায় তিনি চলে আসেন এবং তারপর থেকে আর প্রাইভেট পড়তে যাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা বিভাগের বেশকিছু শিক্ষার্থী জানান, অমর স্যার শিক্ষার্থীদের নাম্বার জিম্মি করে প্রাইভেট পড়ানোয় বাধ্য করেন। তিনি কলেজে যোগদানের পর থেকে এভাবেই বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছেন। স্যারের হাতে নম্বর থাকায় কেউ কিছু মুখ খুলে বলছে না। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে সর্বনিম্ন মার্কস দেওয়া, এমনকি ফেল করানোর পর্যন্ত হুমকি দিয়ে থাকেন।

কয়েকজন ছাত্রী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মুঠোফোনে জানান, শিক্ষক অমর চন্দ্র ইনকোর্স ও ভাইভায় ফুল মার্কস দেওয়ার বিনিময়ে তাকে 'বিশেষ সময়' দেওয়ার প্রস্তাব পর্যন্ত দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রাইভেট পড়ানোর সময় তিনি একাধিক ছাত্রীকে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার মতো যৌন হয়রানি করে আসছেন। ছাত্রীরা লজ্জা ও মার্কস না পাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

একজন ছাত্রী জানান, শুধু প্রাইভেটেই না, শ্রেণিকক্ষেও তিনি আমাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন এবং গায়ে হাত দেন। আমরা খুবই বিব্রতবোধ করি। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পর্যন্ত পারি না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অমর চন্দ্র বলেন, এ সবই মিথ্যে অভিযোগ। অনিয়মিত কিছু ছাত্র ভাইভা ও ইনকোর্সে ফুল মার্কস দেওয়ার জন্য আমায় চাপ প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু ফলাফল অনুসারে আমি মার্কস দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে বিষোদগার করছে। আমি বিষয়টি অধ্যক্ষ স্যারকে জানিয়েছি।

যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি উঠে বের হয়ে যেতে যেতে বলেন, আপনারা প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে কথা বলেন।

বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসপি

Header Ad

আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার

প্রতীকী ছবি

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে পুঁজি পাচার বাবদ বাংলাদেশ বছরে গড়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) কমিটির খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটিসূত্রে জানা গেছে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরেছে। তবে তবে সময় স্বল্পতার কারণে অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। প্রতিবেদনটি রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির ১২ সদস্যের একজন বলেন, ‘কীভাবে অর্থ পাচার হয় এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় তা আমরা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছি।’

কমিটির আরেক সদস্য জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ও কানাডার আদালতের বিষয়ে তারা তাদের পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের বিষয়টিও তাদের পর্যবেক্ষণ আছে।

কমিটির আরেক সদস্য জানান, মোট সরকারি ঋণ বিশেষ করে বিদেশি অর্থায়নে চলমান ২১৫টি প্রকল্পের আগামী চার বছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বিষয়টি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সদস্যরা হলেন- অর্থনীতিবিদ একে এনামুল হক, কাজী ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম রায়হান, শারমিন নীলোর্মি, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ফেরদৌস আরা বেগম, জাহিদ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ তামিম এবং জনশক্তি রপ্তানি বিশেষজ্ঞ তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী।

Header Ad

জানুয়ারিতে উদ্বোধন ও বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু

পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম

টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। তবে, এই দেশের দীর্ঘতম রেল সেতুর নাম কি হবে তা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম বছর ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সময় সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। সেতুটি আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখনও নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, মূল রেল সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন।এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করব এবং সে লক্ষ্য নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছু। ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের সম্ভবনা রয়েছে। এই রেল সেতুটি উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত করতে চাই।

এদিকে, গত মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর উদ্‌বোধনী ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করছে। ট্রায়াল ট্রেনের শুরুতে ঘণ্টায় গতি ছিল ১০ কিলোমিটার, পরেরবার ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ছিল ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার। এর আগে গত সোমবার ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল থেকে ট্রায়াল ট্রেন শুরু হয়। উদ্‌বোধনী ট্রায়াল ট্রেনটি ২০ মিনিটে পশ্চিম পাড়ে পৌঁছায় এবং ১০ মিনিটে ফিরে আসে ও মাঝ পথে পশ্চিম পাড় থেকে ছেড়ে আসা অপর ট্রায়াল ট্রেনটি ক্রসিং করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু রেলওয়ে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দেশের এই দীর্ঘতম স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় বাঁচবে।নির্মাণাধীন এই রেল সেতুতে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। বর্তমানে রেল জাদুঘর নির্মাণে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হাজার কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয়ে হচ্ছে।

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়।

Header Ad

পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া

সাবরিনা সুলতানা কেয়া। ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করে বিয়ে করেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। স্বামীর নাম মোস্তাক কিবরিয়া। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মোস্তাক কিবরিয়া দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার ১ম স্বামী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খরবটি নিজেই জানিয়েছেন এই তারকা। জানান, তিনি বিয়ে করেছেন।

জানা গেছে, কেয়ার স্বামীর নাম মোস্তাক কিবরিয়া। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মোস্তাক কিবরিয়া চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার প্রাক্তন স্বামী। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তার সাথে ডিভোর্স হয় ২০০৭ সালের ১৫ মে।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কেয়া লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ বিয়ে করলাম সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এছাড়াও গণমাধ্যমে নিজেদের জন্য দোয়া চেয়ে কেয়া জানান, পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে হঠাৎ করেই বিয়ে হয়েছে তাদের। মা ও বোন অসুস্থ থাকার কারণে ঘরোয়া আয়োজনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরবর্তীতে বড়সড় করে আয়োজন করার পরিকল্পনা আছেও বলে জানান।

উল্লেখ্য, ‘কঠিন বাস্তব’ সিনেমায় অভিনয় করে ঢালিউডে পা রাখেন কেয়া। তখন তার বয়স মাত্র ১৪। এরপর একটানা দুই ডজনের মতো ছবিতেও কাজ করেন নায়িকা। মান্না, রুবেল, আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খানের মতো নায়কদের সঙ্গেও পর্দা ভাগ করেছেন কেয়া।

কিন্তু কেয়ার ক্যারিয়ার যখন সাফল্যের চূড়ায় ঠিক তখনই সিনেমা থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন। যদিও পরবর্তীতে ২০১৫ তে ‘ব্লাক মানি’ দিয়ে আবারও পর্দায় ফেরেন তিনি।। তবে এখনও কেয়ার কিছু ছবি রয়েছে, যা মুক্তির অপেক্ষায়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি
যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা ভাববেন: ড. ইউনূস