গৃহবধকে ধর্ষণের অভিযোগ: অভিযুক্ত এসআইকে কুপিয়ে জখম
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক এসআইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর ওই অভিযুক্ত এসআইকে ক্যাম্পে দেখা যায়নি। অজ্ঞাত স্থানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম আলমগীর হোসেন। তিনি উপজেলার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত। ধর্ষিত নারী উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামের এক বাসিন্দার মেয়ে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাহিন হাওলাদার জানান, তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সঙ্গে ওই ভুক্তভোগী নারীর ভগ্নিপতির একটি চায়ের দোকান আছে। সেখানেই এসআই আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার (নারী)। গত সোমবার রাতে এসআই আলমগীর সেই নারীর বোনের বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসআই আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা ভয়ে বিষয়টি আড়াঁল করে রাখেন। সেই সুযোগে পুলিশও ঘটনাটি আড়াঁল করার চেষ্টা করলে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হয়নি। তবে বুধবার ভিকটিম ঝালকাঠি ও কাঠালিয়ার সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত জানালে উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী জানান, গত সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ওই গৃহবধূ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। সেখানে যাওয়ার পর গৃহবধূ জানায়, তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় আলমগীরকে কুপিয়ে আহত করে তার মোবাইল রেখে দেওয়া হয়েছে। যদিও মোবাইলটি ওই নারী দেখাতে পারেননি। এমনকি ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আলমগীরকেও পায়নি কাঠালিয়া থানা পুলিশ।
ওসি মুরাদ আলী বলেন, আমি রাতে ওই নারীকে বলেছি সকালে ঝালকাঠি গিয়ে মেডিক্যাল করিয়ে কাঠালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করতে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। এসআই আলমগীরের সঙ্গে ঘটনার পর থেকে ওসির দেখা বা কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে কাঠালিয়া থানার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটি শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পে ফেরার কারণে কিছুই জানি না। তবে ক্যাম্পে এসআই আলমগীরকে পাওয়া যায়নি।
এসআইএইচ