চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রধান শিক্ষক!
গত ২৭ নভেম্বর (রবিবার) রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত লোহার চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করে বিক্রি করে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ছেলে।
এনিয়ে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্কুল সভাপতি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ শিরোনামে ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশিত পর সেই চুরির ঘটনার দুই দিন পার হলেও অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা শিক্ষা অফিস কিংবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসহ একটি মহল।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত লোহার চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তৈয়বের ছেলে মো. নাহিদ (২০)। চুরির মাল স্থানীয় ভূঁইয়ার বাজারের শানু ফকিরের ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করেন।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে হট্টগোল শুরু হয়। পরে ভূঁইয়ার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের সহযোগীতায় ওই চুরির মাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এঘটনার দুই পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতির ছেলে লোহার চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করে। যার প্রমাণ রয়েছে। এর পরেও প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। চুরির মাল উদ্ধার কিংবা দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনী পদক্ষেপ নেননি তিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া বলেন,এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (মাহবুবুর রহমান) আমাকে কিছু জানায়নি। আরেক ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য এইচ.এম ইলিয়াছ হোসাইন বলেন, এমন ঘটনা লজ্জাজনক। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি এমন অভিযোগ মিথ্যা। বিষয়টি আমি শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ বলেন, আমি ছুটিতে আছি। কর্মস্থলে ফিরে ব্যবস্থা নিবো। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আল-আমিনের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন, ধামাচাপা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড