শিশু ও অসুস্থদের নিয়ে বিপাকে লঞ্চ যাত্রীরা
দশ দফা দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটে আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। সোমবার ( ২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বরগুনা নদী বন্দরে যাত্রীরা ভীড় করতে থাকলেও ছেড়ে যায়নি কোনো যাত্রীবাহী নৌযান। এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে দশ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
বরগুনা নদী বন্দর ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বরগুনা থেকে দুই রুটে প্রতিদিন বিকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে অন্তত তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। বরগুনা-ঢাকা ও আমতলী-ঢাকা রুটে সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বিষয়টি সুরহা করে লঞ্চ চলাচল নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
এদিকে, লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা সেবা সহ জরুরি কাজে ঢাকাগামী যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। শীতের মধ্যে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের নিয়ে বাসে যাত্রা করা সম্ভব হচ্ছে না।
বরগুনার কেওড়াবুনিয়া এলাকার আবু হানিফ নামে এক যাত্রী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। তাকে নিয়ে লঞ্চে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেবিন বুকিং করতে এসেছি। কিন্তু এসে জানতে পারি দু'দিন ধরে লঞ্চ ধর্মঘট চলছে। এখন অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে কিভাবে ঢাকা যাবো বুঝতে পারছি না।
ঢাকাগামী আরেক যাত্রী নাসির মল্লিক বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় যাব। তাই কেবিন বুকিং করতে এসেছি। এসে শুনি ধর্মঘটের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। কি একটা ঝামেলা, এ শীতের মধ্যে শিশুসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে বাসে যাওয়া সম্ভব নয়।
লঞ্চ শ্রমিক আতাউর বলেন, সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ সহ দশ দফা দাবিতে ধর্মঘট করছি। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতনে সংসার চালানো খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বরগুনার সহকারী বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, দশ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। এতে বরগুনাসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনা করে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে লঞ্চমালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এএজেড