স্কুল সভাপতি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ!
পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত প্রায় ৫টন লোহার চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই চুরির ঘটনার সাথে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসহ আরও এক শিক্ষক জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠে। রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে দিকে ঘটে এঘটনা।
এদিকে, চুরির ওই মাল স্থানীয় এক ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করা হয়। বিক্রি করা মাল স্থানীয় একটি পুকুরে ফেলে রাখা হয়। এসময় মাল বহনকারী টমটম চালককে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে দ: ভরিপাশা মুন্সী হাচান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলামের (তৈয়ব মাস্টার) ছেলে মো. নাহিদ (২০) বিদ্যালয়ের প্রায় ৫টন লোহার বেঞ্চ চুরি করে। রাত ৯টার দিকে কেশবপুরের ভূইয়ার বাজারের ভাঙ্গারি দোকানদার শানু ফকিরের কাছে ওই চুরির মাল বিক্রি করে।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়লে শুরু হয় হট্টগোল। পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম তৈয়ব ও ভূঁইয়া হটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। রাত ১০টার দিকে বিক্রি করা চুরির মাল কবির সিকদার (৩৫) নামের এক টমটম চালকের মাধ্যমে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের গোলাম হোসেন পোল নামক এক স্থানের পুকুরে ফেলে রাখে। এসময় স্থানীয়রা ওই টমটম চালককে আটক করে। জব্দ করা হয় টমটম।
টমটম চালক মো. কবির সিকদার বলেন, স্কুলের চেয়ার ও বেঞ্চ ভূঁইয়ার বাজারের ভাঙ্গারি দোকানদার শানু কিনে রাখে। পরে আমাকে মালগুলো অন্য জায়গায় সরাতে বলে। আমি প্রথমে রাজি না হলে শানু বলেন, তোর ভয় নাই, যারা মাল বিক্রি করছে তাঁরা তোর সাথে থাকবে। এ বিষয়ে ভাঙ্গারি দোকানদার শানু ফকির জানান, 'তৈয়ব মাস্টারের ছেলে আমার কাছে মাল বিক্রি করে। পরে ঝামেলা বুঝে আমি টাকা ফিরিয়ে নেই'।
এবিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম (তৈয়ব মাস্টার) বলেন, 'এটা তুচ্ছ একটা বিষয়। আমার ছেলে ভুল বশত এমন কাজ করে ফেলেছে। মালামাল ফেরত দেওয়া হয়েছে'।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন এখনো মাল ফেরত পাইনি। এ বিষয়ে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, 'লোক পাঠিয়ে ওই টমটম জব্দ করা হয়েছে'।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। কর্মস্থলে ফিরে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড