ধর্মঘট পুঁজি করে নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
সারা দেশের মতো ভোলায় কর্মবিরতি পালন করছেন নৌ-যান শ্রমিকরা। এদিকে ধর্মঘট পুঁজি করে ভোলার ইলিশা ঘাটে জিম্মি করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২৮ নভেম্বর সকালে ইলিশা ঘাটে সাধারণ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ইলিশা-মজুচৌধুরির হাট নৌরুটে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে স্পিডবোটে। এতে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
মজুচৌধুরির হাট থেকে আশা যাত্রী সুমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীসহ ১০০০ টাকা স্পিডবোট ভাড়া দিয়েছি। অথচ আসল ভাড়া ৩০০ টাকা করে।
শামিম নামে এক যাত্রী বলেন, মজুচৌধুরীহাট থেকে আগে ভাড়া ছিল ৩০০-৩৫০ টাকা আজ নিয়েছে ৫০০ টাকা।
আরেক যাত্রী হাসান জানান, ভাড়া ৩০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে এটা জুলুম করা হয়েছে।
রবিউল বলেন, নৌযান বন্ধ রয়েছে জেনেও আমি জরুরি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম থেকে লালমোহনে এসেছি কিন্তু ৩০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা নেওয়া এটা সমীচীন নয়।
ভোলা অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। এখানে ছোটছোট নৌযান ট্রলার, স্পিডবোট আমাদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় নেই। তাদের ভাড়া বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারণ করে না তাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
ইলিশা নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন বলেন, ধর্মঘটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা ঠিক নয়। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য নৌ-যান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে পালিত হচ্ছে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট। কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে লাগাতার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে লঞ্চশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল রুটসমুহ। ঘাটে ঘাটে নোঙর করা আছে নৌযান। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। শনিবার রাত ১২টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু করেন তারা।
এদিকে, নৌ শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ইলিশাঘাট থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাতায়াতকারী বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ধর্মঘটের খবর জানার পরেও বাধ্য হয়ে জরুরি প্রয়োজনে প্রতিদিনের মতো অনেক যাত্রীরা আসেন ইলিঘাটে। অতিরিক্ত ভাড়ার চাপে কেউ ফিরে যান আবার কেউ অপেক্ষা করতে থাকেন গন্তব্যে পৌঁছার অপেক্ষায়।
এসএন