নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ভাষায় কথা বলছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ভাষায় কথা বলছে। দায় এড়াতেই নির্বাচন কমিশন আগাম অনেক কথা বলছেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা তাদের কাজ নয়। তাদের বোঝা উচিত, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, সব দল চাইলে ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিল সবাই চাইলে ইভিএমে নির্বাচন করা হবে। কারণ ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। দেশের মানুষ ব্যালটেই ভোট দিতে চায়। তা ছাড়া উন্নত বিশ্বসহ প্রতিবেশী অনেক দেশ এখন ইভিএম বর্জন করছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন না বুঝতে পারলে আগে ভাগেই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। কারণ নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আগামী প্রজন্ম কাউকেই ক্ষমা করবে না।
জিএম কাদের বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। জবাবদিহিতার অভাবেই সমাজের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। শুধু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলেই দেশ থেকে দুর্নীতি বিদায় করা সম্ভব। আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জবাবদিহিতাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। যদি ৫ বছর পরপর রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হয় তাহলেই সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। দুটি দলই রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এ কারণেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এমএইচ/এসজি