বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পঙ্কজ ভট্টাচার্য, গণমানুষের প্রজ্জলিত মশাল

প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি, ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন অসুস্থ। বাঙালির রাজনৈতিক জীবনের এক আদর্শ প্রতিচ্ছবি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। নির্লোভ, ব্যক্তিস্বার্থের তাড়নাহীন এক মানুষ। একজন আদর্শ বাঙালির জীবন কতটা সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন তা এক ঝলকে জানা যায় তার অবয়ব দেখে, মুখের কথা শুনে। গত শতকে বাঙালির জীবন সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত তিনি। মাস্টার দা সূর্য সেনের রাজনৈতিক আদর্শ এখনো তার চেতনার গভীরে। এখনো তার দিনরাত্রি গণমানুষের ভাবনায়।

দুই বছর আগে সহসংগ্রামী ও জীবনসঙ্গী রাখীদাশ পুরকায়স্থ প্রয়াত হয়েছেন। সেই শোকের সঙ্গে শারিরীক নানা জটিলতায় পঙ্কজ দার বিপুল কর্মব্যস্ত জীবনে কিছুটা ছন্দপতন এসেছে। আশি পেরিয়েছে বেশ আগে, সেটি নিছক সংখ্যায়। জীবনের গতি সবসময় থেকেছে একই রকম। শরীর বেকে বসতে চাইলেও মনের জোরের কাছে হেরেছে বারবার। টানা ছয় মাস হাসপাতাল বাসা চলছে। এই ভালো এই খারাপ। আমরা (আমি ও আমার স্ত্রী লাইলা খালেদা) পঙ্কজ দার জন্য বেশ উদ্বিগ্ন থাকি। শরীরের খোঁজ জানতে ব্যাকুল থাকি। শ্বাসযন্ত্রজনিত সংকটের কারণে তার সঙ্গে হুটহাট দেখা করা বারণ। ফোনে কথা বলা বারণ। করোনা কঠিন সময় পেরোনোর পর এখন মানুষের জীবন অন্যরকম হয়ে গেছে। অনেক কিছুতেই উদ্বেগ যেমন বেড়েছে, একইভাবে অনেক কিছুই সহ্য হয়ে গেছে মানুষের।

লাইলা খালেদা সরাসরি পঙ্কজ দার রাজনৈতিক কর্মী। গণফোরামের সময় থেকে বিভিন্ন দায়িত্বে মাঠে ময়দানে রাজপথে পঙ্কজ দার সঙ্গে। ঐক্যন্যাপ প্রতিষ্ঠিত হলে সে প্রথম কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দয়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আমি সেই সুবাদে পঙ্কজ দার দারুণ সাহচর্য পেয়েছি। পঙ্কজ দার সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমারও একটি পৃথক জায়গা তৈরি হয়েছে গত দেড় দশকে। অনেক বিষয়েই বোঝার জন্য জানার জন্য পঙ্কজ দার কাছে ফোন করি। বাসাই যাই। বলা যায় আমাদের জীবনশিক্ষক তিনি। আমরা তার সন্তানের মতো। তিনি আমাদের পিতৃতুল্য। তিনি আমাদের মাথার ওপরের সবচেয়ে নিরাপদ ছায়া।

অনেকদিন আমরা আমেরিকায়। এসেই ভালোমন্দে নিয়মিত কথা হয়েছে দাদার সঙ্গে। কিন্তু বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কথা বন্ধ। এমনকি যোগাযোগও অনেকটা বন্ধ। অনেকের কাছে ফোন করে আংশিক খবর পাই। ‍তার শরীরের নানা পরিস্থিতি আর চিকিৎসার খবর অজানাই থাকে। উদ্বিগ্ন থাকি।

রবিবার সকালে হঠাৎ পঙ্কজ দার ফোন থেকে একটি মেসেজ এল। একটি ভিডিও মেসেজ। ভিডিওটি ন্যাপ সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর অস্ত্র সমর্পন অনুষ্ঠানের। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারির ভিডিও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অস্ত্র সমর্পন করছেন পঙ্কজ দা। এই অনুষ্ঠানের আলোকচিত্রটি আমাদের ঘরেও ছিল। পঙ্কজ দার ছবিটি দেখে বুকের ভেতর ধক করে উঠল। মেসেজের জবাব লিখলাম।

‘ধন্যবাদ দাদা। এটি সংগ্রহে থাকা প্রয়োজন। আপনার হোয়াটস অ্যাপ থেকে এই বার্তা আসায় খুব খুশি হলাম। আশা করি আপনার শরীর এখন অনেকটা ভালো। সতত শুভকামনা।’ সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও কল। পঙ্কজ দা নিজে কথা বলছেন। তার নাকে সরু অক্সিজেন পাইপ লাগানো। সেই তেজদীপ্ত কথাবার্তা। পাল্টে গেল আমাদের দিন। অনেক কথা হলো। তার কিছুটা শেয়ার করতে চাই।

`অবস্থার একটু উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন চলছে। আমি একটি অনুরোধ করব তোমাদের। জার্মানির একটি পোর্টেবল শ্বাসযন্ত্র আছে, কোনো ডাক্তার পরিচিত থাকলে জেনে, আমাকে বিস্তারিত জানাবে। তোমরা বাচ্চাদের নিয়ে সুখী থাকলে আমি অনেক আনন্দ পাব। তোমাদের কথা আমার খুব মনে পড়ে। বিশেষ করে যখন আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় কাটিয়েছি অপারেশন টেবিলে যখন ভয়ংকর মুহূর্তগুলো কাটিয়েছি আমি হাসিঠাট্টা করেছি বটে, ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি। যাতে হেরে না যাই, এখন ছয় মাস পরে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। গতকাল প্রেসিডিয়াম মিটিং করেছি বাসায়। তোমার (লাইলা খালেদা) কথা বলেছি। বলেছি তুমি থাকলে, তোমাকেও ডাকতাম। পত্রিকার কাটিংগুলো তোমাদের কাছে পাঠাতে পারি। তোমরা ভালো থেক লেখালেখি কোরো।’

‘রাখী (রাখীদাশ পুরকায়স্থ) তো চলে গেল। এখন বহ্নিশিখা, আমার শালিকা, ছয় বছর বয়স থেকে আমার কাছে, কন্যাতুল্য, সে ও তার স্বামী প্রফেসর ড. মানস বসু অষ্টপ্রহর আমার জন্য কাজ করে। এমনকি মৌসুমীও (আমার আরেক শালিকা) হাসপাতালে আমার জন্য অনেক করেছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান হাসপাতালে আমার অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থেকেছে। আমার সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে দেখা করতে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সরওয়ার আলী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম নিয়মিত আমাকে দেখতে আসে। অন্যান্য নেতারাও দেখতে আসেন।’

“এখন বাসায় আছি। বেশি কথা বলা এখনো বারণ। আজ একটু সুযোগে তোমাদের খবর নিলাম। আর আমি কিছু বিবৃতি ও নিউজ তোমাদের কাছে পাঠাব হোয়াটস অ্যাপ এ। শোনো আমার পুত্রকন্যার অভাব নেই। একটি কবিতা আছে রবীন্দ্রনাথের। ‘পিতা কর নাই বলে করিয়াছ পিতামহ, হে বিধাতা’ আমার ডজন ডজন ছেলেমেয়ে আছে। জিন্দাপার্কের লোকজন একদিন বিশেষ প্রার্থনা করেছে আমার উদ্দেশ্যে। আমার রোগমুক্তির জন্য রোজা করেছে। আমি তো এই ভালোবাসাতেই সুস্থ হয়ে আছি। আমার একটি বই বের হবে ফেব্রুয়ারিতে। প্রকাশিত হলে কারো মাধ্যমে তোমাদের কাছে পৌঁছাব।”

‘আমি তো তোমাদের দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকি। তোমাদের মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করব। বাচ্চাদের কোলে নেব। আমি আরও কিছুদিন সচল থাকতে চাই। সক্রিয় থাকতে চাই। কিছু মানুষের উপকার করতে চাই। আমার নিজের কিছু দরকার নেই। তোমরা ভালো থাকলে আমি খুব খুশি হব। তোমরা ভালো থেক। বাচ্চাদের ভালো রেখ।’

‘বাচ্চাদের শিক্ষাটা যেন ভালো হয়। বাংলাটা যাতে ভুলে না যায়, এইদিকে খেয়াল রেখ। বাংলা ভুলে গেলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যাবে। অনেক বাচ্চা দেখেছি, বাপ মা বাংলা সিলোটি, কিন্তু বাচ্চারা বাংলা ভাষা জানে না। রবীন্দ্রনাথের গান করছে, ইংরেজি ফোনেটিকে লিখে তা উচ্চারণ করছে। এইটা আমার কাছে খুব মর্মস্পর্শী। বাংলাটা পড়াবে। কবিতা আবৃত্তি শেখাবে। গান শেখাবে। রবীন্দ্রসংগীত শেখাবে। তারা মানুষের মতো মানুষ হোক, এটা চাই। আমি আরও কিছুদিন আছি রে। মনের শক্তি আমার অনেক বেশি। আমি যেকোনো অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারি।’

‘আমি চলে গিয়েছিলাম ডিলেরিয়ামে। সেখানে ভূত-প্রেত খামছে ধরছে আমাকে। সেই ছবিগুলি চোখে ভাসছে। আমি কী কী বলেছি না বলেছি আমার তা মনে নেই। সেই অবস্থা থেকে আমি ফেরত এসেছি মনের জোরে। চারটা অপারেশন শেষ করে এখনো আমি তিরাশি বছর বয়সে নিজেকে মনে করি আটের সঙ্গে তিন যোগ করলে এগারো হয়। আমি এগারোতে আছি।”

পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। শুভকামনায় মনে রাখুন এই মহান রাজনীতিককে।

লেখক: সাংবাদিক

এসএন

 

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া