বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্রব্যমূল্য, ভোক্তা অধিকার এবং ইসির সংলাপ

আজ ভোক্তা অধিকার দিবস। আমরা ভোক্তা। আমাদের কিছু অধিকার আছে। আসলেই কি আমাদের কোনো অধিকার আছে? আমাদের অধিকার নিয়ে কেউ ভাবে? আমার মনে হয়, ভোক্তা হিসেবে এই দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা দেখলে মনে হয় না, ভোক্তা অধিকার বলে কিছু আছে। তারপরও দিবস পালনের খাতিরে বলতেই হয়, ব্যবসায়ী ভাইয়েরা, অন্তত আজকের দিনটিতে আমাদের অধিকারের কথা মনে রাখুন। আপনারা যারা ব্যবসার নামে অতি মুনাফা খাচ্ছেন, তারা একটু সতর্ক হোন। আজকের দিনে আমাদের মত নগন্য ভোক্তাদের ঠকাবেন না। আর সামনে রমজান। আল্লাহকে ভয় করুন এবং রজমানে দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে স্বাভাবিক রাখুন। অতি মুনাফা না করে সামান্য করুন। তাতে আল্লাহ তায়ালার রহমত আপনাদের ওপর বর্ষিত হবে।


আমাদের সামনে একটা নির্বাচন আছে। জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। যদিও অনেক মানুষ বিশ্বাসই করে না, এই দেশে আর কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন কিংবা প্রশাসন কখনো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে না। কারণ, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন না। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক নির্বাচন কমিশন সেই সরকারের কথা শুনতে বাধ্য। তা না হলে বিপদে পড়তে হবে। জেনেশুনে কে বিপদে পড়তে চায়?

দেশের মানুষের ধারণা ভুল প্রমাণের জন্য কিছু একটা করতে হবে। সরকার অনেক চিন্তাভাবনার পর একটা পথ খুঁজে বের করল। সেই পথটি হলো নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন। সেই আইন যেনতেন হলেও সমস্যা নেই। মানুষের মধ্যে এক ধরনের আস্থা তৈরি হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও আইনের ওপরই বেশি জোর দিল। অতঃপর একটি আইন প্রণয়ন করা হলো। দীর্ঘ ৫০ বছর পর জনগণ একটি নির্বাচন কমিশন আইন পেল। সেই আইনের আওতায় সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশের নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সংলাপে বসবে। সবশেষে সংলাপ করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।

নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ইসির করণীয় কী হবে তা বলবেন বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু ইসি বিশিষ্টজনদের পরামর্শ কতটা কাজে লাগাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সংশয়ও আছে। বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার দলীয় লোকদের নিয়ে ইসি গঠন করেছে। এই ইসির অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু নির্বাচনে না গেলে কী হবে? নির্বাচন কি থেমে থাকবে? বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাকে কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? বিএনপি নাকি দেশের জনগণ? অনেকে বলেন দেশের জনগণই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। কারণ সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদল না থাকায় সরকার জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না।

দেশের স্বার্থেই আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়া দরকার। দেশের মানুষ যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তা নাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি মিলবে না। এই বার্তা সরকারের কাছেও রয়েছে। তাই সরকার চায়, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণও চায়।


যে মুহূর্তে ইসি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সংলাপের আয়োজন করেছে; ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। টানা দুই বছর করোনার কারণে দেশের মানুষ চরম বিপদে আছে। সেই বিপদের মধ্যে আরও বড় বিপদ প্রায়শ মানুষকে হানা দিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কারণে সংসার খরচ বেড়ে গেছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ বেড়েছে। বেড়েছে বাড়িভাড়াও। এসব দেখার জন্য কেউ নেই।

দেশের কিছু লোভী, অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম কেবল বাড়াচ্ছেই। অনেকে অতি লাভের আশায় গুদামজাত করে রেখেছে। রজমানে আরও বেশি মুনাফা লুটবে। কিন্তু অতি লোভীদের কিছুই বলা হচ্ছে না। আসলে কিছু বলা যাচ্ছে না। বলতে গেলেই জোট বাঁধবে। সরকারকে আরও বেকায়দায় ফেলবে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রজমানে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। রজমানে তারা মুনাফা কম করে। আমাদের দেশেই কেবল উল্টো চিত্র। অথচ ধর্মীয় প্রসঙ্গ এলেই আমরা কথায় কথায় সৌদিআরবের প্রসঙ্গ টানি। কিন্তু সৌদি ব্যবসায়ীদের রীতিনীতি মানি না।


জনগণের চাপে হোক আর স্বেচ্ছায় হোক, সরকার টিসিবির পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করেছে। টিসিবির লাইন প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। লাইনে কেবল নিম্ন বা নিম্নমধ্যবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তরাও দাঁড়াচ্ছে। আসলে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ টিসিবির পণ্য বাজারদামের চেয়ে কিছুটা সহনীয়। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মিলাতে পারছে না মধ্যবিত্তশ্রেণি। দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা অনেকদিন ধরেই কষ্ট সহ্য করে আসছে। তাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বিগত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারিয়ে গ্রামে চলে গেছে। গ্রামে গিয়েও তারা কঠিন বিপদে পড়েছে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অসংখ্য মানুষ আজ পর্যুদস্ত।

টিসিবির লাইন আর বেশি যেন দীর্ঘ না হয়। মানুষ যাতে স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারে; সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে হোক কিংবা চাপ দিয়ে হোক, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতেই হবে। তা নাহলে আগামী নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা মানি আর না মানি, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। ভোটের দিন জনগণ সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করলে সকল দম্ভ চূর্ণ হয়ে যাবে।

 

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত