শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঘুষ খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান সাবেক ইসি সচিব!

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৩১০ জন শরণার্থীকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের হয়েও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার খায়েশ ছিল তার। এজন্য নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হেলালুদ্দীন।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র অনুসন্ধানে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কিন্তু হাসিনা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন জড়িত থাকায় বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো দুদকের যে কর্মকর্তা এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন তারই চাকরি চলে যায় ‘ঠুনকো অজুহাতে’।

দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানান হেলালুদ্দীন। এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে হয় তাকে।

দুদকের ধারণা, এই চক্র শুধু ঈদগাঁও, ইসলামাবাদেই নয়, বরং কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, লামা, আলীকদমে আশ্রয় নেওয়া আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভোটার বানিয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরে নির্বাচন কমিশনও আলাদা একটি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। নির্বাচন কমিশন ও দুদকের করা চাঞ্চল্যকর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি দৈনিক জাতীয় পত্রিকার হাতে এসেছে।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী আমলা হিসেবে পরিচিত হেলালুদ্দীন আহমদ। দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর নির্বাচন করার খায়েশ থেকে ওই এলাকায় আশ্রিত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার বানাতে শুরু করেন তিনি। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হয়। একদিকে যেমন এলাকায় তার ভোটার তৈরি হয়। অন্যদিকে প্রতিটি এনআইডি কার্ড দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুদক ও নির্বাচন কমিশনের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হেলালুদ্দীনের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটটি শুধু তার নির্বাচনী এলাকাতেই থেমে থাকেনি। বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছে তারা। তবে পতিত সরকারের বাধায় বিস্তারিত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে পারলে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো, যার মধ্যে অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড পায় পুলিশ, যা ইস্যু করা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে। ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নুর ওই এনআইডি সংগ্রহ করে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে দুদক। এতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

হেলালুদ্দীনের নাম এলো যেভাবে

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্তের স্বার্থে দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে ব্যবহৃত আটটি ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় দুদক। তবে সাতটি ল্যাপটপের ব্যাপারে জিডি ও মামলা রেকর্ড করাসহ আইডি ব্লক করার কথা জানানো হলেও ইসির দাবি করা মিরসরাই থেকে খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অজ্ঞাত কারণে।

৪৩৯১ আইডি নম্বরের ল্যাপটপটির আইডিও ব্লক করা হয়নি তখনও। ওই একটি ল্যাপটপ দিয়েই ২০১৬ সাল থেকে টানা ৩ বছর ধরে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার বানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজারই কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা। অনুসন্ধানী দল ইসির সার্ভারে ঢুকে দেখতে পায়, ভোটার হওয়ার জন্য যে নিবন্ধন ফর্ম ব্যবহার করা হয় তার সিরিয়াল নম্বর ৪১৮৬৬৩০১ হতে ৪১৮৬৬৪০০ পর্যন্ত ১০০টি ফর্মের একটি বই একটি অফিসের নামে ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও এর ৬৩টি ফরম ব্যবহার করা হয়েছে দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে।

এ ছাড়া ২৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে যে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে ভোটার বানানো হয়েছে তাদের কারোর ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র আপলোড করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে। অনুসন্ধান চলাকালেই সে সময়ের নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুউদ্দীন ফোন করে দুদকের অনুসন্ধানী টিমকে অভিযান অসমাপ্ত রেখেই ফিরে আসতে চাপ দেন। এতেই হেলালের নাম সন্দেহের তালিকায় আসে দুদকের।

যেভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো

মূলত চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেখ, সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল ও পাভেল বড়ুয়া টেকনিক্যাল কাজগুলো করতেন। নির্বাচন অফিসে বসে অফিসের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেই ভুয়া ভোটার তৈরির কাজ করতেন তারা।

এ ছাড়া জয়নালের বাঁশখালীর বাড়িতে আলাদা সার্ভার রুম বসিয়েও অফিস টাইমের পড়ে সবাই মিলে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর এই কাজ চালিয়ে গেছেন টানা তিন বছর। এসব কাজে ডাবলমুরিং নির্বাচন অফিসের স্ক্যানার, ফিঙ্গারিং মেশিন, আইরিশ ডিটেক্টর ও সিগনেচার প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের আরেক অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ ভোটার নিবন্ধন ফরমগুলো চুরি করে জয়নালের কাছে দিত। প্রক্রিয়া শেষে তথ্যগুলো কথিত খোয়া যাওয়া ৪৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে আপলোড করতেন জয়নাল। আর ঢাকা থেকে সেগুলো দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের আইডি ও মডেম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ইমপোর্ট দিতেন সত্য সুন্দর দে ও মহিউদ্দিন তারেখ।

রোহিঙ্গা ইস্যু থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ৩২ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে খাতা-কলমে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তৈরি করা নিবন্ধন ফরমের ৪১টি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করাসহ পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন অফিসের প্রত্যয়নপত্র, বিদ্যালয়ের সনদ, জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন, ভূমিসনদ, উদ্যোক্তা সনদের প্রয়োজন হয়।

এসব ডকুমেন্টের কোনোটির ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সত্যায়নপত্রসহ সব ডকুমেন্টের সফটকপি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করতে হয়। কিন্তু এই ৫৫ হাজার ৩১০ জনের একজনের ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্ট নেই ইসিতে।

হেলালুদ্দীনের সহযোগী হিসেবে যারা

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করা ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরা সবাই হেলালুদ্দীনের সিন্ডিকেটের সদস্য।

এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন হেলালের ভাই নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের শিক্ষক মুজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন পরিচালক খোরশেদ আলম, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন ঢাকার টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অফিসার সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল, কক্সবাজার পূর্ব গোমাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ, নির্বাচন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেক, আউট সোর্সিং কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আবদুল লতিফ শেখ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, সরফরাজ কাদের রাসেল, জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলমসহ ১০৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সিন্ডিকেটে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী, শিক্ষক সবাই রয়েছে।

রোহিঙ্গা ভোটার জালিয়াতি ধরায় চাকরি যায় দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের

দুদকের পরিচালক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অনুসন্ধানী কমিটি গঠিত হয়। তবে কার্যত অনুসন্ধানের সব কাজ করেন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। ২০১৯ সাল থেকে টানা দুই বছর অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ১৬ জুন প্রথম একসঙ্গে ৫টি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই দিনই হেলাল উদ্দিনের প্রভাবে তাকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। এর কয়েকদিন পর চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

সূত্র: আমার দেশ

 

 

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে মৎস্য খামারের মাছ চুরি এবং রোপণকৃত চার শতাধিক আমগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার ভাড়াটে লোকজনের বিরুদ্ধে।

এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারের মালিক এনামুল হক চৌধুরী (হীরা)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ৮ নম্বর চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার গিলাঝুঁকি মৌজাস্থ খামারে প্রথমে আমগাছ উপড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়। এরপর রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাছ চুরি করা হয়।

ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু জমির মালিকানা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিজ দেওয়া গিলাঝুঁকি মৌজার ৭.৯৩ একর জমিতে এনামুল হক চৌধুরী (হীরা) ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবি করেন এবং সেখানে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তিনি মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেন এবং আদালত চলমান মামলার প্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এনামুল হক চৌধুরীর দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন খামারে হামলা চালায়। তারা খামারের কেয়ারটেকার সাগর মিয়া ও মোকছেদ আলীকে মারধর করে এবং আমগাছ উপড়ে ফেলে। পরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিন শতাধিক মণ মাছ চুরি করা হয়।

খামারের নৈশপ্রহরী মোন্নাফ বলেন, “রাতে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়, আর বিদ্যুৎ না থাকায় আমি বাড়ি চলে যাই। সকালে এসে দেখি আশপাশের লোকজন মরা মাছ নিয়ে যাচ্ছে। হয়তো দুষ্কৃতিকারীরা বিষ প্রয়োগ করেছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “পুকুর বিদ্যালয়ের, সেখানে গাছ লাগানোর অধিকার কারও নেই।”

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

Header Ad
Header Ad

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ডিবির অলআউট অ্যাকশন শুরু:

রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  

ছবিঃ সংগৃহীত

পবিত্র রমজান উপলক্ষে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অলআউট অ্যাকশন শুরু। এ সময় ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে আসা বা বাসায় তল্লাশি করার চেষ্টা করলে ডিবিকে জানানোর অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক এসব তথ্য জানান।

মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময় মার্কেট শপিংমল বাস টার্মিনালসহ ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে সাধারণ মানুষের চাপ বাড়ে। এসব এলাকায় যাতে কোনোভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য ছদ্মবেশে ডিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি বিশেষ অভিযানে আজ থেকে মাঠে থাকবে। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।

ঢাকা মহানগরসহ দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ডিবি পুলিশ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং অপরাধীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

ডিবির গোয়েন্দা তথ্য বলছে, অপরাধীদের মধ্যে একটি বড় অংশই ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীর। পতিত সরকারের কিছু লোকজন কিশোর গ্যাং সদস্যদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও তথ্য রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (ডিবি দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (ডিবি উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (সাইবার সিকিউরিটি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির মুখপাত্র উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ সময় মানববন্ধনে সুজন ২৮টি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

শনিবার (০১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- দেশজুড়ে সন্ত্রাস, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দ্রব্য মূল্যে দিনদিন উর্ধ্বমুখি। যা বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডরোধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানান সুজনের নেতৃবৃন্দরা।

উপজেলা সুজনের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহীউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধনর বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক শাহ আলম প্রামাণিক, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, সুজন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সুজনের পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুর রিপন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ফরমান শেখ প্রমুখ।

এ সময় সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইবরাহীম খাঁ’র আলোকিত ভূঞাপুর, প্রতিভা ছাত্র ও যুব সংগঠন, সেবক টাঙ্গাইলসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর