অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়ে ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতোমধ্যে দেশের সবকটি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আগামী রবিবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঁচড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার; যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর (পুনঃ) দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সমুদ্রে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোখা সিডরের চেয়ে ভয়াবহ হবে। এটি আগামী রবিবার দুপুর নাগাদ কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তবে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ ঘূর্ণিঝড় মোখায় আক্রান্ত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সময় প্রচুর বৃষ্টি ঝরাবে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ২.৭ মিটার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পরে।
এনএইচবি/এসজি