ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি
হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে এখন দেশের উপকূলীয় এলাকা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলায় উপকূলে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। এ দুর্যোগকালীন সেবা পৌঁছে দিতে ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। থাকছে ৯২টি মেডিকেল টিম। অন্যদিকে ঝড়ের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় আগাম ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা অগ্রসর হচ্ছে উত্তর দিকে। এতে প্রবল আঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে।
দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এরই মধ্যে মাছ ধরার ট্রলারসহ জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৫ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে খুব বড় আঘাত হানার সম্ভাবনা না থাকলেও খুলনায় ৪০৯টি, বাগেরহাটে ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
কেএম/এসজি