ঘূর্ণিঝড় মোখা: টেকনাফে ৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
ফাইল ছবি
ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতোমধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির যে গতিপ্রকৃতি, তাতে এটি কক্সবাজারের টেকনাফের দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এর প্রভাবে টেকনাফে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কক্সবাজারের অন্য এলাকাতেও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
শুক্রবার (১২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সকাল ৬টার দিকের মোখার গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোখার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা জানানো হয়।
মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর আগে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকাসহ দেশের অন্যত্র বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে সেটি হয় ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ থেকে ১১৭ হলে তাকে বলা হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর বাতাসের গতি যদি ১১৭ থেকে ২২০ কিলোমিটার হয়, তবে তা হয় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগ উঠলে তাকে সুপারসাইক্লোন বলা হয়।
এদিকে কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে সাধারণ মানুষ নিচু এলাকা থেকে উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। টেকনাফে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকায় এসব এলাকায় অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কোস্টগার্ড।
কেএম/এসজি