চুরি-ছিনতাই রোধে ডিএমপির ‘বিশেষ নিরাপত্তা’
রাজধানীতে চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্মকর্তা একেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে চুরি-ছিনতাই রোধে ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, চুরি-ছিনতাই রোধে রেড অ্যালার্ট জারি করে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করেছে।
ডিবি পুলিশের ধারণা, এক এক সময় এক এক ধরনের অপরাধ বাড়ে। বর্তমান চুরি ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চুরির বিভিন্ন যন্ত্রসহ ঢাকার মিরপুর থেকে মাদারীপুরের শিরখাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক ফকিরকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশ জানায়, সারা ঢাকাতে প্রায় ৪০০ শতাধিক চুরি ছিনতাই চক্রের সদস্যদের নজরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই ভালো পথে আসতে চেয়েছেন। অনেককে সুযোগ দিচ্ছে পুলিশ এবং তাদের নজরেও রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ করতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি এবং অনেক অপরাধীদের নজরে রেখেছি তাদের বলেছি ভালো পথে চলতে, অন্যথায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সর্তক করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পেশাদার চোরের ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক ফকিরকে বিভিন্ন যন্ত্রসহ ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি।
তিনি আমাদের জানিয়েছেন, এ পযর্ন্ত তিনি ৫০০ জায়গায় চুরি করেছেন। এক এক জায়গায় নতুন নতুন চোর চক্রের সদস্যদের ব্যবহার করেছেন। আমরা তার কাছ থেকে ওই সব তথ্য নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশের চুরি ছিনতাইয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছি।
কেএম/এমএমএ/