শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমি ফিট দেশ ফিট: হোসেন জিল্লুর

 

ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘পর্বত আরোহণ একটি কঠিন বিষয়। তার অনেকগুলো বিষয় আছে, এর মধ্যে স্পোর্টস বেশি জড়িত। স্পোর্টসের মাধ্যমেও আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূলবোধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, গভীর করে তুলতে পারে। একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, একটি জাতির উত্থান ও পুনর্জাগরণ একমাত্রিক উন্নয়ন, যেমন শুধু অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছি তাহলে কিন্তু হবে না। স্পোর্টস কিন্তু বাংলাদেশের পুনর্জাগরণে প্রথম একটা ক্ষেত্র হওয়া উচিত। খেলার মাঠে কত কিছুই আছে অথবা পবর্ত আরোহণে কত কিছুই আছে। এটা শুধু ব্যক্তি স্বার্থের বিষয় নয়, দলগত জায়গাগুলো, প্রস্তুতির জায়গাগুলো গুরুত্ব পায়, শারীরিক সক্ষমতাগুলোও গুরুত্ব পায়। তাই স্পোর্টসকে আগামীতে একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে। অনেক দেশ আছে যারা শুধু স্পোর্টসের মাধ্যমে তাদের জাতির পুনর্জাগরণ ঘটেছে। পর্বত আরোহণ করে যারা এই ধরনের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তাদের প্রতি শুভ কামনা। প্রত্যাশা করছি তারা যেন নিরাপদে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন এবং ফেরত আসতে পারেন।’

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অভিজিত 'দোগারি হিমাল' শিখরে বাংলাদেশ-নেপাল সম্মিলিত অভিযান উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও পতাকা প্রদান করতেই এ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার জন্য দুই দেশের আট পর্বতারোহী এই অভিযানে অংশ নেবেন। অতিথিরা বাংলাদেশ দলের নেতাকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন। অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনেক জনপ্রিয়তা থাকতে পারে কিন্তু সেখানে শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ও আছে। ফিটনেস কিন্তু শুধু জিমে যায় মাসল অনেক বড় এটাই শুধু ফিটনেস নয়। ফিটনেস সবার থাকা দরকার, এটা জাতীয় লক্ষ্য হওয়া দরকার। কারণ আপনি ফিট না হলে কাজ করতে পারবেন না, প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবেন না। ফিট না হলে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন না। ফিট না হলে অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সময়ে সেইভাবে নিজের ভূমিকা রাখতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, যদিও ফিটনেসের সঙ্গে বিশাল খরচের একমাত্রিক সম্পর্ক নয়। আমরাও পর্বত আরোহণে যেতে চাই, তরুণরা হয়তো যাবে চূড়ায় আমরা তো অন্তত বেজক্যাম্প পর্যন্ত যেতে চাই। অভিজ্ঞতা আমার খুব বেশি নেই কলেজ পর্যায়ে শুধু চট্টগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় আসার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আমি মনে করি কোনো বয়স-লিঙ্গ ফিট হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নয়, বাধা হতে পারে না। আমরা যদি নতুন বাংলাদেশ নতুন বাংলাদেশের অর্জন দেখতে চাই তাহলে এটা একটা ফিট বাংলাদেশ হতে হবে। ফিটনেস ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে সেটা ফ্যাক্টরিতে হউক, অফিস হউক, ডিপার্টমেন্টে হউক, বিশ্ব মঞ্চে হউক এই ফিটনেসের বিকল্প নেই। আমি ফিট; দেশ ফিট।’

অর্থনীতিবিদ জিল্লুর রহমান বলেন, ‘উদযাপন করতে হলেও সেখানে কিন্তু অনেক কিছু উত্থাপন করা যায়। সেক্ষেত্রে অনেকগুলো ম্যাসেজ তৈরি করা যায়। উদযাপন শুধু হাসি-খুশি ও আনুষ্ঠানিকতার বিষয় নয়। এগুলো সহজ ব্যাপার নয়, পরিশ্রম সাহসকিতার বিষয়, ঝুঁকির বিষয়। তারপরও যারা অব্যাহত রেখেছেন এটা অত্যন্ত প্রসংশার দাবি রাখে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এখানে নারী পুরুষ সবাই অংশ নিচ্ছেন। এর মানে হচ্ছে এককভাবে শুধু পুরুষের বিষয় নয়। নারীরাও সমান দক্ষতায় এই সমস্ত কাজে জড়িত হচ্ছেন। এটাও কিন্তু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনামূলক চিন্তা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপাল আমাদের প্রতিবেশি দেশ। উভয় দেশের মধ্যে অত্যন্ত একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে। নানামুখী সম্পর্ক আরও গভীর করার এখানে আরও সুযোগ রয়ে গেছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে যে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শ্রদ্ধা ও সাম্যের ভিত্তিতে এটাও কিন্তু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ধরনের সহযোগিতা, আমাদের তো অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা আছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম যৌথভাবে কিছু করছে, যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রগুলো বেছে নিচ্ছে, আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি উভয়েই বাংলাদেশি পতাকা ও নেপালি পতাকা সেই দোগারি হিমাল চূড়ায় যখন বসাবেন তখন আমাদের যে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সেটা আরও গভীর হবে, আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-নেপালের কূটনৈতিক ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এই এধরনের একটা যৌথ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে উভয় দেশের জন্য ভালো একটা খবর। দুই দেশের ভাষাগত ভিন্নতা থাকলেও একে অপরের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। আমিও বাংলা শেখার চেষ্টা করছি। বাংলা সংবাদপত্র পড়তে চেষ্টা করছি, আশা করছি খুব শিগগিরই আমি আমার দায়িত্ব পালনে বাংলা ভাষাতেও কথা বলতে পারব। সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক। এক দেশ অপর দেশের নেতা ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ আছে। আমরা সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসম্পর্কে নিয়ে যেতে চাই, প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ভ্রমণ তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।’

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ–নেপাল থেকে যারা দোগারি হিমাল শিখরে পৌঁছাতে অভিযানে যাচ্ছে তাদের প্রতি শুভ কামনা জানাচ্ছি। প্রত্যাশা করছি তারা বিজয়ী হবে এবং এটা ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীরে নিতে সক্ষমত হবে। যদিও এই ধরনের অভিযান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ নিতে হয়।’

বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিতে যাওয়া এম এ মুহিত বলেন, দোগারি হিমাল শিখরে বাংলাদেশ–নেপাল যৌথ অভিযানটি হচ্ছে আমাদের জন্য সম্পূর্ণ অজানা। সবকিছু অজানা তাই সেখানে গিয়ে আমাদের টিক করতে হবে কি সম্মুখীন অপেক্ষা করছে। কাঠমান্ডুতেও আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলন হবে তারপর আমরা অভিযানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা আশা করছি এই অভিযানটি ২৮ দিনে দোগারি হিমাল শিখর জয় করতে সক্ষম হব। বাংলাদেশের তরুণরা যে পৃথিবীর দুর্গম জায়গায় যেতে পারে সেই সহযোগিতা চান মুহিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্বতারোহী দলের তিন সদস্য ৩ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। চতুর্থত সদস্য ইকরামুল হাসান গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইলে তার চলমান অভিযান ছেড়ে কাঠমান্ডুতে এই দলে যোগ দেবেন।

প্রসঙ্গত, চার সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন এম এ মুহিত। যিনি দুইবার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন। ওপর তিন সদস্যের মধ্যে বাহলুল মজনু ও ইকরামুল হাসান একটি ৭০০০ মিটার চূড়াসহ হিমালয়ের একাধিক পর্বত আরোহণ করেছেন এবং রিয়াসাদ সানভী ভারতে পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নেপালে পর্বত আরোহণে অংশ নিয়েছেন। চার সদস্যের নেপাল দলের নেতৃত্বে থাকবেন বিখ্যাত পর্বতারোহী ও গাইড মিংমা গ্যালজে শেরপা।

বক্তব্যে রাখেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন মোহাম্মদ হারুন, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার ফজল মাহমুদ রনি।

এমএইচ/এসএন

 

Header Ad

বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তার ওপর হামলা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০/১১/২০২৪) দুপুরে দুপুরে নূরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ছাত্র তার ওপর হামলা চালান

ভুক্তভোগী বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে নেন পরিচালক।

তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক এই সংস্কৃতি মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ

ভয়েস অব আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।

গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে।

মাত্র ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে।

জরিপে ১,০০০ উত্তরদাতাকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলের সাথে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়।
বাংলাদেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের জন্য এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। উত্তরদাতাদের মধ্যে সমানসংখ্যার নারী ও পুরুষ ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায়, তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা সূফী সাধকদের আস্তানা ও মাজার সমূহের ওপর।

বাংলাদেশের এক মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আবার শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেও তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের আবাসস্থলে আক্রমণ হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভিন্নমত প্রকাশকারীরা যে বরাবরই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, সেদিকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, কোনো সরকার তাদের অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা তফাত লক্ষ করা গেছে।

মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে খারাপ। কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে খারাপ করছে।

জরিপে দেখা গেছে, মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এই ধারণার সঙ্গে একমত।

 

 

Header Ad

এক মাস পর আবারও উৎপাদনে ফিরলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

ছবি: সংগৃহীত

কয়লা সংকটের কারণে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শনিবার থেকে উৎপাদনে ফিরলো কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা। এই জ্বালানি উপকরণের সংকটের কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচলন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে জেটিতে জাহাজ ভিড়েছে। খালাস কার্যক্রমের পর শনিবার থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যাচ্ছে। এখন বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে কমেছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় ইউনিট আরও ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, আগামী রবিবার ৬৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আরেকটি জাহাজ মাতারবাড়ীতে আসবে। আইনি জটিলতা শেষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক বছরে ৩৫ লাখ টন কয়লা আমদানি করার জন্য মেঘনা গ্রুপ ও বিরলা নামে যৌথ একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিডেট। নির্মাণ শেষের পর ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায় প্রথম ইউনিট।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ
এক মাস পর আবারও উৎপাদনে ফিরলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা
লোডশেডিংয়ে ২০ মিনিট বন্ধ ছিল আতিফ আসলামের কনসার্ট
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
বাংলাদেশী রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করলো কলকাতা
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব
‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক
সিরিজ রক্ষার মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া