শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম যা বলছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তিন দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন। সফর নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সফরকালে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা দুই নেতার প্রধান আলোচ্য বিষয়।

সফর নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পিটিআইয়ের করা সেই প্রতিবেদনটি, ডেকান হেরাল্ড, দ্যা টেলিগ্রাফসহ প্রভাবশালী অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্যা প্রিন্ট, জিনিউজ, এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্ক নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করেছে।

সফর নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে কলকাতার বিখ্যাত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশি কিছু গণমাধ্যমও। সফর উপলক্ষে সম্প্রতি এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পিটিআইয়ের ‘৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর মূল আলোচনা হতে পারে প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতা। পিটিআই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, মুলতবি ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সময় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় অস্ত্র বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে আরও সজ্জিত করতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গত মাসে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে যখন বাংলাদেশ সফর করেন তখন দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি নজরে আসে।

এ ছাড়া ভারতের প্রভাবশালী অনলাইন সংবাদপত্র দ্যা প্রিন্টের খবরেও বলা হয়, বাংলাদেশ যেহেতু সামরিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে, ভারত সে দেশের কাছে আরও বেশি সংখ্যক অস্ত্র ও সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায়।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে যেসব সাবমেরিন কিনেছিল সেগুলো কাজে লাগেনি। সুতরাং, বাংলাদেশ ফ্রান্স ও ভারতের মতো দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে।

বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা নিয়েই মূল আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। পত্রিকাটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন এবং উন্নয়ন সহযোগিতাও আলোচনার অংশ হবে। ৬ সেপ্টেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি হবে।

পানিবণ্টন, কানেকটিভিটি ও সীমান্ত
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মোটরচালিত যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি অভিন্ন তিস্তার পানি ও অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চায় ভারত। ঢাকা রেল যোগাযোগ বাড়াতে এবং দুই দেশের মধ্যে আরও তিনটি ট্রেন পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে ইচ্ছুক। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পর্যন্ত ব্যবহৃত পুরোনো ট্র্যাকগুলিকে পুনরায় চালু করতে চায় বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, ভারত স্পষ্টতই মংলা সমুদ্রবন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সংযোগ স্থাপনকারী সম্প্রতি নির্মিত পদ্মা সেতুর সুবিধা পেতে কানেক্টিভিটি সমস্যা এবং বিশেষ করে ট্রানজিট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশের নির্বাচন ও হাসিনার ভারত সফর
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে ২০২৩ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে সমস্যাগুলো কিছু পরিমাণে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং পাশের দরজার প্রতিবেশীর সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করতে পারলে নির্বাচনে হাসিনার সুবিধা হবে।

ভারতের অনলাইন সংবাদপত্র দ্যা প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভারতের সমর্থন আদায় করা তার সফরের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটু কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং এমন একটি সময়ে তিনি আসছেন যখন দেশটি গণতান্ত্রিক তার ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছে।

সূত্রের মতে, এই সফরে শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারে নিজেকে নিমজ্জিত করার আগে ভারতের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

এদিকে ঢাকা বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকবে না- তা নিশ্চিত হতে চায় নয়াদিল্লি। দ্যা প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে চীনা 'গুপ্তচর' জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫ ডকিংয়ের বিষয়ে নয়াদিল্লি অত্যন্ত সতর্ক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশকে ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে মনে করা হয়, নয়াদিল্লি নিশ্চিত করতে চায় যে এটি বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকবে না।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুটি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগামী মাসগুলোতে কিছুটা বড় গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসিনা সরকার চায় চীন মিয়ানমারকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিক।

এই মাসের শুরুর দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় বেইজিং বাংলাদেশকে তার "দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদার" হিসেবে উল্লেখ করেছিল এবং ঢাকা পুনর্ব্যক্ত করেছিল যে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশ 'এক চীন' নীতি অনুসরণ করে।

এই অঞ্চলে চীনের বর্ধিত অংশীদারী নয়াদিল্লির উদ্বেগের একটি বিষয় যা দুই নেতার আলোচনার সময় একটি পরোক্ষ ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

মিয়ানমারের নিপীড়ন এড়াতে দেশটিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে বাংলাদেশও মূলত চীনের ওপর নির্ভরশীল।

কর্মকর্তাদের মতে, হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে বাংলাদেশে একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে পারেন।

দিল্লিতে হাসিনা-মমতা বৈঠক হতে পারে
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বৈঠক হতে পারে। এমন খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিনসহ কলকাতার কয়েকটি গণমাধ্যম।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি দিল্লি আসছেন এবং তার সঙ্গে দেখা হবে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ভারতে আসার ঠিক আগে, ২৪ আগস্ট নয়াদিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হয়েছে। প্রায় ১২ বছর পর মন্ত্রী পর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন হলো।

হাসিনার সফরের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী। তার মধ্যে ৬টি নদীর পানিবণ্টন এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। তবে তিস্তা নিয়ে কোনো অগ্রগতি এই বৈঠকে হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি প্রায় স্বাক্ষরই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বেঁকে বসায় তখন আর চুক্তিটি হয়নি।

আজমির শরীফে নামাজ পড়বেন হাসিনা
ভারতের আরেক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে আজমির শরীফে নামাজ আদায় করবেন। হাসিনা এর আগেও ২০১৭ সালে আজমীরে গিয়েছিলেন এবং খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজারে চাদর দিয়েছিলেন। তিনি ২০১০ সালেও মাজারটি পরিদর্শন করেছিলেন, যখন তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন