প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব পাচারকারীরা আরও বড় ক্ষতি করতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব পাচারকারীরা আরও বড় ক্ষতি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। রাজধানীর একটি হোটেলে মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে ‘কমব্যাটিং হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন দ্য কনটেক্সট অব টেকনোলজি ইউজ অ্যান্ড ইটস অ্যাবিউজ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তৃতাকালে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১০ মাসে পাচারের শিকার ২ হাজার ৫০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি বন্দুকের মতো। এটা যদি অপরাধী ও হত্যাকারীর হাতে থাকে তাহলে ইস্যু ভয়ঙ্কর হতে পারে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে টুল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে মানবপাচার রোধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিস্তৃতভাবে ৪টি বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে—সচেতনতা তৈরি, রিপোর্টিং, উদ্ধার ও পাচারকারীদের বিচার।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মাদক ও মানবপাচার কমিয়ে আনতে আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফাইভজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে চেয়েছি। যদি পরবর্তীতে পশ্চিমা ক্ষমতাসীনদের অনুরোধে তা সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারকারীরা আরও বড় ক্ষতি করতে পারে এমন সতর্ক করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিন্তু সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা প্রযুক্তির সাহায্যে কার্যকরভাবে মানবপাচারকারীর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে মানবপাচার একটি আন্তঃসীমান্ত অপরাধ এবং পাচারকারীরা একটি নির্দিষ্ট দেশে উপলব্ধ প্রযুক্তির চেয়ে ভালো প্রযুক্তির অধিকারী হতে পারে।
এক্ষেত্রে উপায় হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ক্ষেত্রে উন্নত দেশ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মানবপাচার কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হবে।
আরইউ/