সবাই মাঠে থাকলে আমাদের কাজ কমে যায়: সিইসি
দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পক্ষের সহযোগিতা চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চাই। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে হলে সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সবাই যদি নির্বাচনের মাঠে থাকে তাহলে আমাদের কাজ কমে যায়।
বুধবার (২৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে জাকের পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আগামী নির্বাচনে আপনাদের পরিপূর্ণ সহায়তা, সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। কারণ নির্বাচনের মাঠে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব দলের ওখানে থাকতে হবে। সবাই যদি থাকেন আপনারা, তাহলে ওখানে (নির্বাচনে) একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজ কমে যায়, আপনারা আপনারাই কিন্তু ভারসাম্য সৃষ্টি করেন। আমার এই আবেদন থাকবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। কারণ এটার সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। এটা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে অস্বীকার করার উপায় নেই। গণতন্ত্রের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। সেই জন্য আমাদেরকে সহাযোগিতা করবেন। সক্রিয় সহযোগিতা চাই।
সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের পরিপূর্ণ সহায়তা, সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। কারণ নির্বাচনের মাঠে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব দলের ওখানে থাকতে হবে। সবাই যদি থাকেন আপনারা, তাহলে ওখানে (নির্বাচনে) একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজ কমে যায়, আপনারা আপনারাই কিন্তু ভারসাম্য সৃষ্টি করেন। আমার এই আবেদন থাকবে।
সিইসি আরও বলেন, যারা তরুণ তাদের একটু উদ্দীপ্ত করবেন। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনভাবে একটা অনুকূল পরিবেশে। এটা মাঝে মাঝে বিতর্কিত হয়ে যায়। পরিবেশটা যদি আমরা অনুকূল করতে পারি, তাহলে যারা ভোটার তারা নিরাপদে আস্থা নিয়ে ভোট দিতে পারেন।
তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ইভিএমের হ্যাকিংটা কোনোভাবেই সম্ভব না। কারণ এটার সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। এটা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচ্ছি কিন্তু বাহিরে অনেক কথা চাউর আছে যে হ্যাকিং হতে পারে, এটাতে ভোট কারচুপি হতে পারে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাইনি। এখনো ইভিএম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে অপপ্রয়োগ সম্ভব না হয়। সেটা নিশ্চিত করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
সিইসি আরো বলেন, আপনাদের বক্তব্য আমাদের বিবেচনাধীন থাকবে। কমিশন আইন, বিধির আলোকে পরিচালিত হবে। আমরা এর বাইরে যেতে পারবো না। আমাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, প্রয়াস থাকলে আমার সংসদ নির্বাচনের কঠিন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
সংলাপের জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এসএম/