রাজধানীতে ১০ বছরে লোক বেড়েছে ৪৭ শতাংশ
১০ বছরে রাজধানী ঢাকায় জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা এক কোটিরও বেশি। ২০১১ সালের জনশুমারিতে ঢাকা শহরে লোকসংখ্যা ছিলো ৬৯ লাখ ৭০ হাজার। আর ২০২২ সালের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ মোতাবেক জনসংখ্যা হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ৭৮ হাজার। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংখ্যা হচ্ছে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। আর দক্ষিণ সিটির জনস্যংখ্যা হচ্ছে ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫ জন। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাসকরে এক হাজার ১১৯ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বুধবার (২৭ জুলাই) এসব তথ্য প্রকাশ করা এসেছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আয়োজনে প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
৬ষ্ঠ শুমারি অনুযায়ী ১০ বছরের ব্যধানে বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। ২০১১ সালের শুমারিতে জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ১৪ কোটি। তার আগে ২০০১ সালের জনসংখ্যা ছিলো দেশে ১২ কোটি ৪৪ হাজার জন। ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা হয়েছিলো ৭ কোটি ১৫ লাখ।
বর্তমানে সারা দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা বাস করছে এক হাজার ১১৯ জন। যা এক দশক আগে ছিলো ৯৭৬ জন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে ছিলো ৪৮৪ জন। এই জনসংখ্যার মধ্যে শুধু রাজধানীতে বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করছে দুই হাজার ১৫৬ জন। আর সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বসবাস করছে বরিশাল বিভাগে ৬৮৮ জন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ওয়াদা করেছিলাম, খুব তড়াতাড়ি শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করব। কারো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। এক মাত্রা রাষ্ট্রের স্বার্থে এই শুমারি করা হয়েছে। তাই কেউ কখনো এই শুমারিতে ব্যবহৃত খানার তথ্য চাইতে পারবে না। তা দেওয়াও হবে না। এটা গোপনীয় হয়ে থাকবে।
জেডএ