দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ
বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পল্লী এলাকায় ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আর শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ। দেশে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও মহিলাদের স্বাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ। হিজড়াদের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার ৭৮.০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭.০৯ শতাংশ। দেশে ২০১১ সালে মোট সাক্ষরতা হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর মোট সংখ্যা পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে ৫৫.৮৯ শতাংশ। আর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৭২.৩১ শতাংশ। দেশে ১২টি সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। এরপর ঢাকা দক্ষিণের ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫ জন। আর সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল সিটির ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫১ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
জেডএ/আরএ/