ইসিকে জমিয়তের ১১ প্রস্তাব
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ এমন মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতারা। তাই সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি জনমনে প্রশ্ন ওঠে এবং বিতর্ক হয় এমন বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে ইসির সঙ্গে নির্বাচন ভবনে চলা সংলাপে এসব প্রস্তাব দিয়েছে ধর্মভিত্তিক এই রাজনৈতিক দলটি। দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির নেতৃত্বে ৯ জন সংলাপে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য কমিশনাররা সংলাপে অংশ নেন।
এসময় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১১ দফা প্রস্তাবনা দেয়। তাদের প্রস্তাবনাগুলো হলো—
১. নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।
২. সব দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি) নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নির্বাচনকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে এবং সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচন পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ভোটার জনতার অধিকাংশই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রদানে অভ্যস্ত নয় বিধায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেই ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সব প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার আইন শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
৬. নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।
৭. স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার আইন বাতিল করা।
৮. কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. জনমনে বিতর্ক ও প্রশ্ন সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১০. ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন করে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ভোট প্রদান প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।
১১. বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সঙ্গত কারণে এ দেশে ইসলামি রাজনীতির চর্চা থাকাটা খুব স্বাভাবিক। সুতরাং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাহীন ও জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
এসএম/আরএ/