শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব:১৬

ভ্যালি অফ কিংস থেকে বেরোবার পরে গাড়িতে উঠেই আবার শুরু হলো মোস্তফার খুতবা। আরবিতে যে বয়ান সে দিয়ে যাচ্ছিল তা  সত্যিই ঈদের জামাতে নামাজের পরে ইমাম সাহেব আরবি ভাষায় যে ভাষণ দেন অনেকটা তেমনি। বুঝতে না পারলে ইমামের আরবি ভাষায় সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন অথবা মোস্তফার ধারা বিবরণীতে ফেরাউনের পুরোকীর্তির প্রশংসার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে কিছু পরে আমাদের তিনজনের সুবিধার্থে ইংরেজিতে বলতে শুরু করলে বুঝলাম এটি ফারাও সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর কোনো বিষয় নয়, নেহায়েতই লুক্সর অঞ্চলের বিশেষ ধরণের পাথর এ্যালাবাস্টার সম্পর্কে পর্যটকদের ধারণা দেয়ার মহান উদ্দেশ্যেই তার এই ভাষণ। তুলণামূলকভাবে নরম এই খনিজ পাথরের মূল উপাদান জিপসাম। প্রাকৃতিক রঙ গাঢ় সবুজ, হালকা হলুদ বা বাদামী এবং সাদা। এ্যালাবাস্টারের আরেকটি বিশেষ  বৈশিষ্ট হলো স্বচ্ছ এই পাথরের ভেতর দিয়ে আলোর চলাচল। হাজার বছর ধরে এই পাথর ভাস্কর্য শিল্প অর্থাৎ মূর্তি তৈরিতে, নকশা ও খোদাইয়ের কাজে এবং অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিশর ছাড়াও ইতালি এবং গ্রিসসহ অনেক দেশেই নানা রঙের এ্যালাবাস্টারের দেখা মেলে। পাথর সম্পর্কিত জ্ঞান বিতরণ শেষ হলে আমরা সত্যিই একটা এ্যালাবাস্টার কারখানার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামলাম।  

 পাথর খোদাই শিল্পী

মোস্তফার মতো ট্যুর গাইডদের অভিধানে সম্ভবত ক্লান্তি এবং হতাশা বলে কোনো কথা নেই। এর আগে কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে নানা ধরনের স্যুভেনিয়ারের আকর্ষণ উপেক্ষা করে আমাদের মধ্যেই কেউই কেনা কাটায় উৎসাহ দেখাইনি। তারপরেও সে আমাদের পাথর কেটে মূর্তি বানানোর কেরামতি দেখাতে নিয়ে এসেছে। এই সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির আসল উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক হলেও আমরা আগ্রহের সাথেই এ্যালাবাস্টারের টুকরো কেটে খোদাই করে ঘষে চেঁছে পালিশ করে যারা নতুন রূপ দিচ্ছিন তাদের কাজ দেখতে থাকি। অবশ্য তার আগেই পরিচয় ঘটে কারখানার মালিক লম্বা চওড়া দশাসই আবদেলের সাথে। তিনি যে যর্থাথই মালিক তা তার তেল চকচকে চেহারা সুরত দেখেই বোঝা যায়। অন্যদিকে জনা তিনেক বিভিন্ন বয়সের পাথর খোদাই শ্রমিকের রোগা পটকা চেহারা এবং শুকনো মুখ দেখলেই বোঝা যায় এরা শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। তবে এদের কাজ দেখে নেহায়েতই শ্রমিক বলে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এরা প্রত্যেকেই এক একজন জাত শিল্পী, কী আশ্চর্য দক্ষতায় এবড়ো থেবড়ো পাথর কুঁদে, ঘষে মেজে তৈরি করছেন ফুলদানী, টেবিল ল্যাম্প নানা আকার আকৃতির পাত্র কিংবা ফুটিয়ে তুলছেন অতীত ইতিহাসের এক একটি চরিত্রের চেহারা।পাথর থেকে শিল্পসৃষ্টির প্রক্রিয়া দেখাবার চেয়ে মালিক আবদেল মোহাম্মদ তাঁর শো রুমে নিয়ে যাবার ব্যাপার বেশি আগ্রহী। আমরা দলেবলে ঢুকে পড়লাম বিশাল বিপনী কেন্দ্রে। ভেতরটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মোজাইক করা মেঝে আর চারিদিকে সারি সারি তাকে সাজানো সবুজ, হলদে এবং সাদা এ্যালাবাস্টারের তুতেনখামেন, রামেসেস, নেফারতিতি, হাতসেপসুসহ ফারাও সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বিভিন্ন সাইসের মূর্তি। মানুষ ছাড়াও ছাড়া দেবতারাও এখানে অপাংতেয় নন, আনুবিস, হোরাস এবং হাথোরও সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন। ফুলদানি, বাতিদান, ল্যাম্পশেড, পেপারওয়েট এবং সুদৃশ্য শো পিসের ছড়াছড়ি দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। আবদেল ছাড়া তার এক বিক্রয় কর্মী ইংরেজি ও আরবিতে আমাদেরকে এ সব শিল্পকর্ম এবং পাথরের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে একটি ল্যাম্পশেডের ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে পাথরের স্বচ্ছতাও দেখিয়ে ছাড়লেন। এতো কিছুর পরেও ভবিদের কিছুতেই ভোলানো গেল না। একে তো দাম আমাদের মতো ট্যুরিস্টের নাগালের বাইরে, তাছাড়া পাথরের ওজন বহন করাও সহজসাধ্য নয়। 

এ্যালব্যাস্টারপাথরের মূর্তি

ঘুরে ফিরে দেখার পরে রানা ভাই প্রস্তর মালিক আবদেলকে একটা প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘তোমার এখান থেকে আমরা এই মুহূর্তে কিছু কিনতে পারবো না, তবে তোমার কারিগরদের কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে, তাদের আমি কিছু বখশিশ দিতে চাই।’ আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করলাম প্রস্তর কারখানার মালিক তার পাথুরে মুখের হাসি আকর্ণ বিস্তৃত করে হাত বাড়িয়ে বললো, ‘দিতে চাইলে দাও, কোনো সমস্যা নাই।’ রানা ভাইও কম যান না। তিনি বললেন, ‘এই সামান্য ঈজিপশিয়ান পাউন্ড আমি নিজের হাতে ওদের দিতে পারলে খুশি হবো।’  

দূরে থেকে পাহাড়ের গায়ে সমাধি মন্দির

আবদেল আমাদের বিরস বদনে আবার তার কারখানায় নিয়ে এলো। আসলে কারখানা বলে তেমন কিছু নেই। দুদিকে ভাঙাচোরা দেয়াল দিয়ে ঘেরা অপরিচ্ছন্ন অস্বাস্থ্যকর বারান্দায় বসে বয়স্ক দুজনের একজন বড় বড় পাথরের চাঁই হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে বের করে আনছে এক একটা গোলাকৃতি বা চতুষ্কোণ প্রস্তরখণ্ড। অন্যজন সে সব ছেনি দিয়ে কেটে এবং ঘষে মেজে পানপাত্র বা ফুলদানির আকৃতি দিচ্ছে। এককোণে বসে ছোট ছোট হাতুড়ি বাটাল ছেনি এবং র‌্যাাঁদা ব্যবহার করে ছোট পাথরের টুকরো ও প্লেটে অতিযত্মে দেবতা এবং মানব মূর্তির অবয়ব এবং সক্ষ্ম কারুকাজ ফুটিয়ে তুলছে একজন তরুণ খোদাই শিল্পী। রানা ভাই এদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে পঞ্চাশ ঈজিপশিয়ান পাউন্ডের নোট তুলে দিলে হাসিখুশি তরুণটির হাসি আরো বিস্তৃত হলো, কিন্তু পাথর ভাঙার বৃদ্ধলোকটিকে মনে হলো শুধু ভাবলেশহীনই নয়, বরং একটু বিরক্ত। কারখার মালিক বললেন, ‘তোমরা আমাদের কাজ তো দেখে গেলে, কিন্তু কিছুই কিনলে না।’ আমি তাড়াতাড়ি বললাম, ‘লুক্সরে দুদিন থাকবো, সময় সুযোগ হলে নিশ্চয়ই আবার আসবো।’ আবদেল মোহামেদ ইংরেজি ফোন নম্বরসহ আরবিতে লেখা একটা কার্ড আমাদের হাতে তুলে দিলে আমরা দ্রুত আবার গাড়িতে এসে বসলাম। 

সমাধির পথে বাহন

দূর থেকে ভ্যালি অফ কুইন্স দেখে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের গায়ে তিনতলা এক বিশাল প্রাসাদ। এখানে নতুন করে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ঝামেলা না থাকলেও গাড়িসহ প্রাসাদ প্রাঙ্গনের কাছাকাছি যাবার উপায় নেই। নির্ধারিত সীমানার বাইরে আমাদের বাহন রেখে উঠতে হলো আবার সেই হলুদ গাড়িতে। মিনিট পাঁচেকের এই হলুদ সফরে আমার সামনের আসনে যিনি বসলেন সেই স্বল্প-বসনা শ্বেতাঙ্গিনী কোন দেশের জানি না, কিন্তু তাকে যে শ্রীলঙ্কায় অনুরাধাপুরা বৌদ্ধ মন্দিরে, আজমীরে খাজাবাবার দরবারে, এমনকি ভ্যাটিকান সিটির পবিত্র গির্জায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, সে কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে ভ্যালি অফ কুইন্সে রাণী নেফারতারি, যাবতীয় সুখ সাচ্ছ্যন্দসহ পর জগতের অন্তহীন জীবনের অপেক্ষায় যাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে তিনি এবং তাঁর প্রহরীর দলের কাছে বোরকা থেকে বিকিনি সবকিছুই সমান। 

সমাধির বাইরের রামসেস

পাহাড়ের গায়ে তিনতলা বিশিষ্ট দীর্ঘ ভবনের সারি এবং সামনে কোরিন্থিয়ান পিলারের মতোই  চতুষ্কোণ পিলার দেখে যা  গ্রিক বা রোমান স্থাপত্যের উদাহরণ মনে হয়েছিল, কাছে এসে সে ভুল ভাঙলো। এটি আসলে রাণী হেপতাতস্যুর সমাধি ভবন। মাঝখান দিয়ে চওড়া সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে, কিন্তু নিচেই দুপাশে বাহু মেলে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। দাঁড়িয়ে থাকা একসারি বিশাল প্রস্তর মূর্তির চেহারা দেখে ধারণা করতে পারি এখানেও দ্বিতীয় রামসেস তাঁর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু নারীদের সমাধি মন্দির চত্বরেও পুরুষের প্রহরা! আর যে সে পুরুষ নন, স্বয়ং সম্রাট রামসেস! এখানে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি পঁচাত্তরটি সমাধি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি মূল সমাধিতে প্রবেশের জন্য পেরোতে হয় দীর্ঘ করিডোর, আর এই করিডোরের দুপাশেও রয়েছে ছোট ছোট কক্ষ। আমরা বিশাল তোরণ পেরিয়ে ভেতরের চত্বরে প্রবেশ করে একটি করিডোর ধরে এগোতে থাকি। করিডোর পেরিয়ে ঢুকে পড়া সমাধির দেয়ালের চিত্রের অনেকটাই সময়ের কারণে নষ্ট কয়েছে অথবা বেনোজলে ধুয়ে গেছে। তবে সিলিং জুড়ে রয়েছে বিচিত্র রঙের কারুকাজ। মূল সমাধি মন্দিরটির বাইরে ছোট একটি কাঠের বেড়া দেখে বোঝা যায় এই কবরে যিনি শুয়ে আছেন বা ছিলেন তাঁর তেমন গুরুত্ব নেই।    


দ্বিতীয় রামেসেসের প্রিয় এবং প্রধানতম স্ত্রী রাণী নেফারতারি ছাড়াও এখানে প্রথম সেতির এবং প্রথম রামেসেসের স্ত্রীসহ ফারাও সাম্রাজ্যের অগণিত অভিজাত নারীকে সমাহিত করা হয়েছে এখানে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই সম্রাজ্ঞী নেফারতারি। আমাদের কাছে ক্লিওপেট্রা, নেফারতিতি এবং হাতশেপস্যুর নাম মোটামুটি পরিচিত। তবে এক ক্লিওপেট্রাই আছেন গোটা ছয়েক। কাজেই নেফারতিতির সাথে নেফারতারিকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে অবাক হবার কিছু নেই। দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দ্বিতীয় রামসেস, যিনি ১২৯০ থেকে ১২২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ঊনিশতম ফারাও সাম্রাজ্য শাসন করেছেন, রানী নেফারতারি ছিলেন তাঁর পয়লা নম্বরের স্ত্রী। অন্যদিকে ক্ষমতাধর সম্রাজ্ঞী নেফারতিতি নিজেই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ অব্দে স্বামী আখেনাতেনের পাশাপাশি রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 সমাধিতে দেয়াল চিত্র

ভ্যালি অফ কিংসের সমাধিগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি রাজকীয় জাকজমকে পূর্ণ, আকার আকৃতিতেও অনেক বড়। তবে ধারণা করা যায় অসাধারণ চিত্রায়ণ, রঙের কাজ এবং হায়রোগিøফিক বর্ণমালায় ইতিকথা লিপিবদ্ধ করার মতো শিল্পসৃষ্টির কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা একই গোত্রের একই রকম প্রতিভাধর শিল্পী ও সৃজনশীল কর্মী। 
রাণীদের উপত্যকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধিটি অবশ্যই দ্বিতীয় রামসেসের প্রিয়তমা পত্মী নেফারতারির। সমাধিগৃহটি সে যুগের সমৃদ্ধ শিল্পকর্মের অনন্য উদাহরণ। সুদৃশ্য চিত্রিত স্তম্ভ এবং বর্ণিল দেয়াল সম্রাট আখেনআতেন ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতির জীবনের নিত্যদিনের নানা কাহিনি ও যুদ্ধ বিগ্রহের বীরত্বগাথায় পরিপূর্ণ। এই অনন্য সাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যে সময় এবং পরিবেশ প্রয়োজন, সেই সময় আমাদের নেই, তারচেয়ে বড় সমস্যা একটি দলগত সফরে শিল্পবোধহীন অসহিষ্ণু কয়েকজন সফর সঙ্গী। গাইড মোস্তফাও তাদের কাছে মনে হলো অসহায়। কাজেই দ্রুত ভ্যালি অফ কুইন্স সফর শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলাম। কিন্তু ডাইনে বাঁয়ে সামনে পেছনে কোথাও রানাভাই নেই। একটা খালি হলুদ গাড়ি এসে থামলে আমরা সেদিকে এগোবার সময় দেখলাম বাঁদিকে একটু দূরেই একটা ছাউনির নিচে অস্থায়ী রেস্তোাঁরায় কফির কাপ হাতে বিদেশি কয়েকজন পর্যটকের সাথে আড্ডা জমিয়েছেন রানা ভাই। আমাদেরকে কফি খেতে বললেও গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ, তখন কফি পানের চেয়ে শীতল পানীয় বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে হলো। একবোতল  ঠাণ্ডা পানি এবং অরেঞ্জ জুস কিনে আবার সেই গাড়িতে উঠে বসলাম। 


লুক্সরের পথে ফেরার সময় হাতের ডাইনে দীর্ঘ পাহাড়ের সারি দেখিয়ে মোস্তফা বলছিল ভ্যালি অফ কুইন্সের এইসব পাহাড়ের তলায় অসংখ্য সমাধিতে যারা সমাহিত, যাদের মমি হয়তো ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে অথবা পাচার হয়ে গেছে বিদেশে তাঁদের বিদেহী রুহ হয়তো এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পাহাড়ের ভাঁজে অথবা নীল নদের তীরে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘দিস ইজ টু মাচ, দ্যট দ্য স্পিরিটস আর রোমিং এ্যারাউন্ড ফর খ্রি থাউজেন্ড ইয়ারস! ইউ মাস্ট এ্যারেঞ্জ আ মিউজিয়াম ফর দ্য স্পিরিটস!’ রানা ভাই বাংলায় বললেন, ‘ঠিকই। আত্মার ঘোরাঘুরিটা আর মেনে নেয়া যাচ্ছে না।’ 

চলবে...     

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা