প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব:১৬
ভ্যালি অফ কিংস থেকে বেরোবার পরে গাড়িতে উঠেই আবার শুরু হলো মোস্তফার খুতবা। আরবিতে যে বয়ান সে দিয়ে যাচ্ছিল তা সত্যিই ঈদের জামাতে নামাজের পরে ইমাম সাহেব আরবি ভাষায় যে ভাষণ দেন অনেকটা তেমনি। বুঝতে না পারলে ইমামের আরবি ভাষায় সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন অথবা মোস্তফার ধারা বিবরণীতে ফেরাউনের পুরোকীর্তির প্রশংসার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে কিছু পরে আমাদের তিনজনের সুবিধার্থে ইংরেজিতে বলতে শুরু করলে বুঝলাম এটি ফারাও সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর কোনো বিষয় নয়, নেহায়েতই লুক্সর অঞ্চলের বিশেষ ধরণের পাথর এ্যালাবাস্টার সম্পর্কে পর্যটকদের ধারণা দেয়ার মহান উদ্দেশ্যেই তার এই ভাষণ। তুলণামূলকভাবে নরম এই খনিজ পাথরের মূল উপাদান জিপসাম। প্রাকৃতিক রঙ গাঢ় সবুজ, হালকা হলুদ বা বাদামী এবং সাদা। এ্যালাবাস্টারের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো স্বচ্ছ এই পাথরের ভেতর দিয়ে আলোর চলাচল। হাজার বছর ধরে এই পাথর ভাস্কর্য শিল্প অর্থাৎ মূর্তি তৈরিতে, নকশা ও খোদাইয়ের কাজে এবং অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিশর ছাড়াও ইতালি এবং গ্রিসসহ অনেক দেশেই নানা রঙের এ্যালাবাস্টারের দেখা মেলে। পাথর সম্পর্কিত জ্ঞান বিতরণ শেষ হলে আমরা সত্যিই একটা এ্যালাবাস্টার কারখানার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামলাম।
পাথর খোদাই শিল্পী
মোস্তফার মতো ট্যুর গাইডদের অভিধানে সম্ভবত ক্লান্তি এবং হতাশা বলে কোনো কথা নেই। এর আগে কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে নানা ধরনের স্যুভেনিয়ারের আকর্ষণ উপেক্ষা করে আমাদের মধ্যেই কেউই কেনা কাটায় উৎসাহ দেখাইনি। তারপরেও সে আমাদের পাথর কেটে মূর্তি বানানোর কেরামতি দেখাতে নিয়ে এসেছে। এই সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির আসল উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক হলেও আমরা আগ্রহের সাথেই এ্যালাবাস্টারের টুকরো কেটে খোদাই করে ঘষে চেঁছে পালিশ করে যারা নতুন রূপ দিচ্ছিন তাদের কাজ দেখতে থাকি। অবশ্য তার আগেই পরিচয় ঘটে কারখানার মালিক লম্বা চওড়া দশাসই আবদেলের সাথে। তিনি যে যর্থাথই মালিক তা তার তেল চকচকে চেহারা সুরত দেখেই বোঝা যায়। অন্যদিকে জনা তিনেক বিভিন্ন বয়সের পাথর খোদাই শ্রমিকের রোগা পটকা চেহারা এবং শুকনো মুখ দেখলেই বোঝা যায় এরা শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। তবে এদের কাজ দেখে নেহায়েতই শ্রমিক বলে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এরা প্রত্যেকেই এক একজন জাত শিল্পী, কী আশ্চর্য দক্ষতায় এবড়ো থেবড়ো পাথর কুঁদে, ঘষে মেজে তৈরি করছেন ফুলদানী, টেবিল ল্যাম্প নানা আকার আকৃতির পাত্র কিংবা ফুটিয়ে তুলছেন অতীত ইতিহাসের এক একটি চরিত্রের চেহারা।পাথর থেকে শিল্পসৃষ্টির প্রক্রিয়া দেখাবার চেয়ে মালিক আবদেল মোহাম্মদ তাঁর শো রুমে নিয়ে যাবার ব্যাপার বেশি আগ্রহী। আমরা দলেবলে ঢুকে পড়লাম বিশাল বিপনী কেন্দ্রে। ভেতরটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মোজাইক করা মেঝে আর চারিদিকে সারি সারি তাকে সাজানো সবুজ, হলদে এবং সাদা এ্যালাবাস্টারের তুতেনখামেন, রামেসেস, নেফারতিতি, হাতসেপসুসহ ফারাও সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বিভিন্ন সাইসের মূর্তি। মানুষ ছাড়াও ছাড়া দেবতারাও এখানে অপাংতেয় নন, আনুবিস, হোরাস এবং হাথোরও সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন। ফুলদানি, বাতিদান, ল্যাম্পশেড, পেপারওয়েট এবং সুদৃশ্য শো পিসের ছড়াছড়ি দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। আবদেল ছাড়া তার এক বিক্রয় কর্মী ইংরেজি ও আরবিতে আমাদেরকে এ সব শিল্পকর্ম এবং পাথরের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে একটি ল্যাম্পশেডের ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে পাথরের স্বচ্ছতাও দেখিয়ে ছাড়লেন। এতো কিছুর পরেও ভবিদের কিছুতেই ভোলানো গেল না। একে তো দাম আমাদের মতো ট্যুরিস্টের নাগালের বাইরে, তাছাড়া পাথরের ওজন বহন করাও সহজসাধ্য নয়।
এ্যালব্যাস্টারপাথরের মূর্তি
ঘুরে ফিরে দেখার পরে রানা ভাই প্রস্তর মালিক আবদেলকে একটা প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘তোমার এখান থেকে আমরা এই মুহূর্তে কিছু কিনতে পারবো না, তবে তোমার কারিগরদের কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে, তাদের আমি কিছু বখশিশ দিতে চাই।’ আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করলাম প্রস্তর কারখানার মালিক তার পাথুরে মুখের হাসি আকর্ণ বিস্তৃত করে হাত বাড়িয়ে বললো, ‘দিতে চাইলে দাও, কোনো সমস্যা নাই।’ রানা ভাইও কম যান না। তিনি বললেন, ‘এই সামান্য ঈজিপশিয়ান পাউন্ড আমি নিজের হাতে ওদের দিতে পারলে খুশি হবো।’
দূরে থেকে পাহাড়ের গায়ে সমাধি মন্দির
আবদেল আমাদের বিরস বদনে আবার তার কারখানায় নিয়ে এলো। আসলে কারখানা বলে তেমন কিছু নেই। দুদিকে ভাঙাচোরা দেয়াল দিয়ে ঘেরা অপরিচ্ছন্ন অস্বাস্থ্যকর বারান্দায় বসে বয়স্ক দুজনের একজন বড় বড় পাথরের চাঁই হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে বের করে আনছে এক একটা গোলাকৃতি বা চতুষ্কোণ প্রস্তরখণ্ড। অন্যজন সে সব ছেনি দিয়ে কেটে এবং ঘষে মেজে পানপাত্র বা ফুলদানির আকৃতি দিচ্ছে। এককোণে বসে ছোট ছোট হাতুড়ি বাটাল ছেনি এবং র্যাাঁদা ব্যবহার করে ছোট পাথরের টুকরো ও প্লেটে অতিযত্মে দেবতা এবং মানব মূর্তির অবয়ব এবং সক্ষ্ম কারুকাজ ফুটিয়ে তুলছে একজন তরুণ খোদাই শিল্পী। রানা ভাই এদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে পঞ্চাশ ঈজিপশিয়ান পাউন্ডের নোট তুলে দিলে হাসিখুশি তরুণটির হাসি আরো বিস্তৃত হলো, কিন্তু পাথর ভাঙার বৃদ্ধলোকটিকে মনে হলো শুধু ভাবলেশহীনই নয়, বরং একটু বিরক্ত। কারখার মালিক বললেন, ‘তোমরা আমাদের কাজ তো দেখে গেলে, কিন্তু কিছুই কিনলে না।’ আমি তাড়াতাড়ি বললাম, ‘লুক্সরে দুদিন থাকবো, সময় সুযোগ হলে নিশ্চয়ই আবার আসবো।’ আবদেল মোহামেদ ইংরেজি ফোন নম্বরসহ আরবিতে লেখা একটা কার্ড আমাদের হাতে তুলে দিলে আমরা দ্রুত আবার গাড়িতে এসে বসলাম।
সমাধির পথে বাহন
দূর থেকে ভ্যালি অফ কুইন্স দেখে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের গায়ে তিনতলা এক বিশাল প্রাসাদ। এখানে নতুন করে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ঝামেলা না থাকলেও গাড়িসহ প্রাসাদ প্রাঙ্গনের কাছাকাছি যাবার উপায় নেই। নির্ধারিত সীমানার বাইরে আমাদের বাহন রেখে উঠতে হলো আবার সেই হলুদ গাড়িতে। মিনিট পাঁচেকের এই হলুদ সফরে আমার সামনের আসনে যিনি বসলেন সেই স্বল্প-বসনা শ্বেতাঙ্গিনী কোন দেশের জানি না, কিন্তু তাকে যে শ্রীলঙ্কায় অনুরাধাপুরা বৌদ্ধ মন্দিরে, আজমীরে খাজাবাবার দরবারে, এমনকি ভ্যাটিকান সিটির পবিত্র গির্জায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, সে কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে ভ্যালি অফ কুইন্সে রাণী নেফারতারি, যাবতীয় সুখ সাচ্ছ্যন্দসহ পর জগতের অন্তহীন জীবনের অপেক্ষায় যাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে তিনি এবং তাঁর প্রহরীর দলের কাছে বোরকা থেকে বিকিনি সবকিছুই সমান।
সমাধির বাইরের রামসেস
পাহাড়ের গায়ে তিনতলা বিশিষ্ট দীর্ঘ ভবনের সারি এবং সামনে কোরিন্থিয়ান পিলারের মতোই চতুষ্কোণ পিলার দেখে যা গ্রিক বা রোমান স্থাপত্যের উদাহরণ মনে হয়েছিল, কাছে এসে সে ভুল ভাঙলো। এটি আসলে রাণী হেপতাতস্যুর সমাধি ভবন। মাঝখান দিয়ে চওড়া সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে, কিন্তু নিচেই দুপাশে বাহু মেলে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। দাঁড়িয়ে থাকা একসারি বিশাল প্রস্তর মূর্তির চেহারা দেখে ধারণা করতে পারি এখানেও দ্বিতীয় রামসেস তাঁর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু নারীদের সমাধি মন্দির চত্বরেও পুরুষের প্রহরা! আর যে সে পুরুষ নন, স্বয়ং সম্রাট রামসেস! এখানে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি পঁচাত্তরটি সমাধি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি মূল সমাধিতে প্রবেশের জন্য পেরোতে হয় দীর্ঘ করিডোর, আর এই করিডোরের দুপাশেও রয়েছে ছোট ছোট কক্ষ। আমরা বিশাল তোরণ পেরিয়ে ভেতরের চত্বরে প্রবেশ করে একটি করিডোর ধরে এগোতে থাকি। করিডোর পেরিয়ে ঢুকে পড়া সমাধির দেয়ালের চিত্রের অনেকটাই সময়ের কারণে নষ্ট কয়েছে অথবা বেনোজলে ধুয়ে গেছে। তবে সিলিং জুড়ে রয়েছে বিচিত্র রঙের কারুকাজ। মূল সমাধি মন্দিরটির বাইরে ছোট একটি কাঠের বেড়া দেখে বোঝা যায় এই কবরে যিনি শুয়ে আছেন বা ছিলেন তাঁর তেমন গুরুত্ব নেই।
দ্বিতীয় রামেসেসের প্রিয় এবং প্রধানতম স্ত্রী রাণী নেফারতারি ছাড়াও এখানে প্রথম সেতির এবং প্রথম রামেসেসের স্ত্রীসহ ফারাও সাম্রাজ্যের অগণিত অভিজাত নারীকে সমাহিত করা হয়েছে এখানে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই সম্রাজ্ঞী নেফারতারি। আমাদের কাছে ক্লিওপেট্রা, নেফারতিতি এবং হাতশেপস্যুর নাম মোটামুটি পরিচিত। তবে এক ক্লিওপেট্রাই আছেন গোটা ছয়েক। কাজেই নেফারতিতির সাথে নেফারতারিকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে অবাক হবার কিছু নেই। দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দ্বিতীয় রামসেস, যিনি ১২৯০ থেকে ১২২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ঊনিশতম ফারাও সাম্রাজ্য শাসন করেছেন, রানী নেফারতারি ছিলেন তাঁর পয়লা নম্বরের স্ত্রী। অন্যদিকে ক্ষমতাধর সম্রাজ্ঞী নেফারতিতি নিজেই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ অব্দে স্বামী আখেনাতেনের পাশাপাশি রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সমাধিতে দেয়াল চিত্র
ভ্যালি অফ কিংসের সমাধিগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি রাজকীয় জাকজমকে পূর্ণ, আকার আকৃতিতেও অনেক বড়। তবে ধারণা করা যায় অসাধারণ চিত্রায়ণ, রঙের কাজ এবং হায়রোগিøফিক বর্ণমালায় ইতিকথা লিপিবদ্ধ করার মতো শিল্পসৃষ্টির কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা একই গোত্রের একই রকম প্রতিভাধর শিল্পী ও সৃজনশীল কর্মী।
রাণীদের উপত্যকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধিটি অবশ্যই দ্বিতীয় রামসেসের প্রিয়তমা পত্মী নেফারতারির। সমাধিগৃহটি সে যুগের সমৃদ্ধ শিল্পকর্মের অনন্য উদাহরণ। সুদৃশ্য চিত্রিত স্তম্ভ এবং বর্ণিল দেয়াল সম্রাট আখেনআতেন ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতির জীবনের নিত্যদিনের নানা কাহিনি ও যুদ্ধ বিগ্রহের বীরত্বগাথায় পরিপূর্ণ। এই অনন্য সাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যে সময় এবং পরিবেশ প্রয়োজন, সেই সময় আমাদের নেই, তারচেয়ে বড় সমস্যা একটি দলগত সফরে শিল্পবোধহীন অসহিষ্ণু কয়েকজন সফর সঙ্গী। গাইড মোস্তফাও তাদের কাছে মনে হলো অসহায়। কাজেই দ্রুত ভ্যালি অফ কুইন্স সফর শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলাম। কিন্তু ডাইনে বাঁয়ে সামনে পেছনে কোথাও রানাভাই নেই। একটা খালি হলুদ গাড়ি এসে থামলে আমরা সেদিকে এগোবার সময় দেখলাম বাঁদিকে একটু দূরেই একটা ছাউনির নিচে অস্থায়ী রেস্তোাঁরায় কফির কাপ হাতে বিদেশি কয়েকজন পর্যটকের সাথে আড্ডা জমিয়েছেন রানা ভাই। আমাদেরকে কফি খেতে বললেও গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ, তখন কফি পানের চেয়ে শীতল পানীয় বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে হলো। একবোতল ঠাণ্ডা পানি এবং অরেঞ্জ জুস কিনে আবার সেই গাড়িতে উঠে বসলাম।
লুক্সরের পথে ফেরার সময় হাতের ডাইনে দীর্ঘ পাহাড়ের সারি দেখিয়ে মোস্তফা বলছিল ভ্যালি অফ কুইন্সের এইসব পাহাড়ের তলায় অসংখ্য সমাধিতে যারা সমাহিত, যাদের মমি হয়তো ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে অথবা পাচার হয়ে গেছে বিদেশে তাঁদের বিদেহী রুহ হয়তো এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পাহাড়ের ভাঁজে অথবা নীল নদের তীরে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘দিস ইজ টু মাচ, দ্যট দ্য স্পিরিটস আর রোমিং এ্যারাউন্ড ফর খ্রি থাউজেন্ড ইয়ারস! ইউ মাস্ট এ্যারেঞ্জ আ মিউজিয়াম ফর দ্য স্পিরিটস!’ রানা ভাই বাংলায় বললেন, ‘ঠিকই। আত্মার ঘোরাঘুরিটা আর মেনে নেয়া যাচ্ছে না।’
চলবে...
চলবে...
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩