মশা কাদের বেশি কামড়ায় , জানা গেল গবেষণায়
মশা কাকে না কামড়ায়! প্রতিদিনই কমবেশি মশার কামড় খেয়ে থাকি আমরা। তবে কীটতত্ত্ববিদের গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, মশার আশেপাশে অনেক মানুষ থাকলেও মশাদের আগ্রহ থাকে বিশেষ শ্রেণির কিছু মানুষকে কামড়ানোর।
মশার কামড় কিছু মানুষকে তুলনায় বেশি কামড়ায়। ভিড়ের মধ্যে বসে আছেন অনেকেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে দু-একজনকেই ছেঁকে ধরেছে মশা। কেন এমন হয় জানেন?
মশার কামড় থেকে নানা রোগ হতে পারে একথা সকলেরই জানা। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ এড়াতে মশার কামড় থেকে বাাঁচা প্রয়োজন। তবে মশার কামড় খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, জিনগত কোনো কোনো মানুষের দেহ স্বাভাবিকভাবেই মশা প্রতিরোধক থাকে। সেটা জিনগত কারণেই হয়। এ জন্য মশা কাউকে বেশি কামড়ায় আর কাউকে কম কামড়ায়। যাদের বেশি কামড়ায়, তাদের সতর্ক থাকা উচিত বেশি।
এছাড়া সূত্রে জানা গেছে, যাদের বেশি ঘাম ঝরে তাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়। সাধারণত তাপমাত্রা বেশি থাকলে দেহ থেকে ঘাম বের হয়। মানুষের দেহের ঘামের সঙ্গে বের হওয়া ‘ল্যাকটিক এসিডে’র গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। তাই মশার কামড় প্রতিরোধে শরীর ঘামতে দেবেন না। সম্ভব হলে দিনে দুবার গোসল করুন।
কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষদেরকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত, ‘ও’ পজেটিভ এবং ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশ আকৃষ্ট করে। তাই এই গ্রুপের মানুষের বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত।
সূত্রে আরও জানা গেছে, পোশাকের রংও মশা কামড়ানোর কারণ হতে পারে। যেমন গাড় কোনো রং, লাল, নীল জাতীয় পোশাক মশাদের বেশ পছন্দ। তাই যে সময় মশার উপদ্রব বেশি, সেই সময় হালকা রঙের সাদা বা খাকি পোশাক পরাই শ্রেয়।
এর আগে অন্তঃসত্ত্বা এবং অন্তঃসত্ত্বা নন এমন দুই মহিলাদের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, অন্তঃসত্ত্বাদের রক্ত বেশি পছন্দ করে মশা। তাই তাঁদের মশার কামড় খেতে হয় বেশি।
কিন্তু নারী আর পুরুষের মধ্যে?:
এক্ষেত্রেও আগে মনে করা হত, মহিলাদের মশার কামড় বেশি খেতে হয়। তার কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ। মহিলাদের শরীরে এই বিশেষ হরমোনের মাত্রা বেশি বলে, তাঁদের গায়ে বিশেষ গন্ধ থাকে, যা নাকি মশাদের পছন্দ।
কিন্তু হালের রিপোর্ট অন্য কথাই বলছে। বলা হচ্ছে, পুরুষদের বেশি মাত্রায় মশার কামড় খেতে হয়। তবে তার কারণ রক্তের কোনও বৈশিষ্ট্য নয়। এর কারণ পুরুষের গড়ে আয়তন মহিলাদের তুলনায় বেশি।
শরীরের আয়তন বেশি হওয়ার কারণে পুরুষের ত্বকের পরিমাণ বেশি। ফলে ত্বক থেকে নির্গত হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেশি। সেই কারণেই পুরুষদের বেশি মাত্রায় মশার কামড় খেতে হয়। এমনই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা।