জাল সনদ বিক্রি: ভুয়া ভিসিসহ ৬ জন রিমান্ডে
জাল সনদ বিক্রির অভিযোগে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া উপাচার্য (ভিসি) মো. সাইদুর রহমানসহ ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে দুই দিন করে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ।
আসামি সাইদুর রহমান ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’, ‘পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ ও ‘পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি’ নামে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া উপাচার্য।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজামুদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জাল সনদ বিক্রির অভিযুক্ত ছয় আসামি হলেন- মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল, নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ মনি সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, মো. আমান উল্লাহ ও দেবাশীষ কুণ্ডু।
উল্লেখ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রাজধানীর মালিবাগে প্যারামাউন্ট টাওয়ারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া ভিসি ও ১ সহযোগীসহ ৪ ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক জাল সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, কয়েকটি নকল সিল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া চারটি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ভুয়া সনদ দেওয়ার বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড ও একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কিবোর্ড ও একটি প্রিন্টারও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চক্রটি প্রায় ২ দশক ধরে ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ ও হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে। চক্রটি এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাডভোকেটশিপসহ ১৪৪টি বিষয়ের ওপরে অসংখ্য ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে।
এমএ/এসএন