শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

বছরে ৩০ লাখ মানুষ মারা যায় মদ্যপান করে: ডব্লিউএইচও

ছবি: সংগৃহীত

মদ্যপানে বছরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। তবুও এই মৃত্যুর হার অগ্রহণযোগ্য।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২০ জন মদ্যপায়ীর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। মদ্যপানে গাড়ি চালানো, মদসংক্রান্ত সহিংসতা ও নানান রোগ ও ব্যাধির কারণে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মদ্যপানের কারণে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা ওই বছরে মোট মৃত্যুর ৪.৭ শতাংশ ছিল। এই মৃতদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই পুরুষ।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, মদ্যপানে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। শুধু তাই না, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায়। খুবই দুঃখজনক যে এটি প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায়।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের চেয়ে মদ্যপানে মৃত্যুর হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ২০১৯ সালে মদ্যপানে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ১৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মদ্যপানে লিভারের সিরোসিস এবং ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি রোগ হয়ে থাকে। ২০১৯ সালে মদ্যপানে মোট মৃত্যুর মধ্যে ১৬ লাখ মানুষ ওই ধরনের রোগে মারা গেছে।

এদের মধ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, চার লাখ এক হাজার ক্যান্সার এবং সাত লাখ ২৪ হাজার সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্নভাবে মারা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ্যপানে যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলো মারাত্মক হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে আনুমানিক দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষ মদ্যপানের সঙ্গে জড়িত ছিল। যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু মদ্যপান সামান্য কমে ৫.৫ লিটার হয়েছে। যা নয় বছর আগে ৫.৭ লিটার ছিল। বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ১৫ বছর বয়সী পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে মধ্যপানে বিরত থাকে।

এদিকে দেখা দেছে, ইউরোপীরা মাথাপিছু ৯.২ লিটার মদ্যপান করে থাকে। আর মার্কিনিরা ৭.৫ লিটার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে সবচেয়ে কম মদ্যপান করা হয়।

২০১৯ সালে যারা মদ্যপান করেছে তারা প্রতিদিন গড়ে ২৭ গ্রাম বিশুদ্ধ মদ গ্রহণ করেছে। এটি দুই গ্লাস ওয়াইন, দুটি ছোট বোতল বিয়ারের সমতুল্য।

বিশ্বব্যাপী ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৩.৫ শতাংশকে বর্তমান মদ্যপায়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বয়সী মদ্যপায়ী ইউরোপে ৪৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। সূত্র : এএফপি

Header Ad

বিশ্বকাপ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান

ছবি: সংগৃহীত

পুরো টুর্নামেন্টে নিজের নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে পারেনি বিরাট কোহলি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে স্বরূপে ফিরলেন ভারতের এ ওপেনার। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে দলটি। ফলে প্রথম শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।

ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত।

এবারের আসরে অক্ষর প্যাটেল যেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।

শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।

বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।

শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।

চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর তেলপাম্পের নিকট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির মাথায় ক্ষতচিহ্নসহ মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই অজ্ঞাত মানসিক ভারসম্যহী ওই ব্যক্তি সন্তোষপুর তেলপাম্পের কাছে থাকতো। স্থানীয় লোকজন তাকে খাবার দিতো। সেটা খেয়ে সে সেখানে রাত যাপন করতো।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এদিন ভোর ৫টা হতে সকাল ৬টার মধ্যে কোন এক সময় জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে দ্রুতগতির পরিবহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। একটি শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় ব্যক্তিটি ঘটনাস্থলেই মরে পড়ে আছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে জীবননগর থানায় নিয়ে এসে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হবে: প্রধানমন্ত্রী

সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। এর ফলে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমেছে। মেয়েদের জন্যও মেট্রোলের নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করা হবে।

বাজেট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা সরকারের আছে। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই বড় বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাসী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনও পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাব। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগে জাতির কাছে দেওয়া ইশতেহার ভুলে যায় না। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারে দ্রুত এর প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সে ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বকাপ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান
চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান
বলিউডের সিনেমায় আরিফিন শুভ, নায়িকা সৌরসেনী!
আঘাত লেগেছে পায়ে, অপারেশন করা হলো গোপনাঙ্গে!
যে কারণে বিয়ের ৫০ বছর পর স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন দম্পতি
সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে: মির্জা ফখরুল
অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ওপরই আস্থা বিসিবির
সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন পেল বাংলাদেশ
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কোনো দাসত্ব চাই না: গয়েশ্বর
মেট্রোতে চড়ে সংসদে গিয়ে কটাক্ষের মুখে সায়নী ঘোষ
ইসরায়েলি অভিযান, গাজার শুজাইয়া থেকে পালালো ৬০ হাজার বাসিন্দা
শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, পরিসংখ্যান কার পক্ষে?
ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
আমার স্বামীকে নিয়ে কেউ অসম্মানজনক মন্তব্য করলে তাকে এড়িয়ে চলব : বুবলী
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে যে প্রার্থী
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই পাস হচ্ছে নতুন বাজেট
২ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে পানির নিচে দিল্লি