শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

পুতিন যেখানে সবকিছুর ঊর্ধ্বে

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়ে রাশিয়া অনেকটা প্রত্যক্ষভাবেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। আর এর মূলে রয়েছে–রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা। পুতিন সংবিধান সংশোধন ও আইন করে আজীবন ক্ষমতাসীন থাকার পথ নিশ্চিত করেছেন। কার্যত সেখানে রাষ্ট্র, সরকার ও পুতিন হয়ে উঠেছে এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা।

ভিন্নমত দমন

ক্ষমতার পরিধি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিন্নমত দমনেও একের পর এক সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের প্রতিফলন দেখা যায়। পুতিনের কঠোর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয় গত বছরের ২০ আগস্ট। ফলে সাইবেরিয়া থেকে আকাশপথে মস্কো যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নাভালনিকে মস্কো শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জার্মানিতে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।

পরে জার্মান সরকার জানায়, নাভালনির ওপর নোভিচক গ্রুপের নার্ভ এজেন্ট বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এজন্য রাশিয়া সরকারকে দায়ী করলেও, তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ বছরের ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে সুস্থ হয়ে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে নামার পর ৪৪ বছর বয়সী নাভালনিকে আটক করে রুশ পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারেই রয়েছেন তিনি।

কর্তৃত্ববাদে আটক মিডিয়া

ক্ষমতা কঠোরভাবে সংহত করতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ অনেকটা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। ২০১২ সালের ‘বিদেশি চর’ আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিদেশি ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সম্প্রতি এর সেন্সরশিপের আওতা ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ সালে আইনটি আবারও সংশোধন করা হয়। এবার শুধু প্রতিষ্ঠানই নয়, ব্যক্তিকেও এর আওতায় আনা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিন সাংবাদিক, একজন শিল্পী-অ্যাকটিভিস্ট ও ৭৯ বছর বয়সী মানবাধিকারকর্মী লেভ পোনোমারিয়ভকে এ আইনে অভিযুক্ত করা হয়। এর আগে লেভের গড়ে তোলা এনজিও ‘ফর হিউম্যান রাইটস’-এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রচারমাধ্যম আরএফই/আরএলকে দেড় লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। মূলত নাভালনির হত্যাচেষ্টা, কারাগারে বন্দি রাখা এবং এ নিয়ে গড়ে উঠা আন্দোলন ও তা দমন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে ‘বিদেশি চর’ আইনে অভিযুক্ত করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

মিডিয়া বন্দি করার ফলে তথ্যের ইন্টারনেটভিত্তিক উৎসের ওপর রুশদের আস্থা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। রাশিয়ার ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের ৮২ শতাংশই সংবাদ পেতে ইউটিউবে চোখ রাখছেন। আলেক্সেই নাভালনি খুব ভালো করেই জানেন, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে তার খবরাখবর আসার সুযোগ নেই। তাই দুটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচারণা শুরু করেন। আর এতে ব্যাপক সাড়া পান তিনি।

সাংবিধানিক কর্তৃত্ববাদ

চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সংক্রান্ত এক নতুন আইনে পুতিন স্বাক্ষর করেন। নতুন আইনের ফলে পুতিন চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের মাধ্যমে আরও দুই দফা প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সুযোগ পাবেন।

আইন অনুযায়ী, পরপর দুই মেয়াদের বেশি কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ২০২৪ সালে পুতিনের চলতি শাসনামল শেষ হবে। ওই আইন সংশোধন না হলে পরের মেয়াদে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন না। তবে এই আইন ও গত বছরের সংবিধান সংশোধনীর ফলে এখন ২০২৪ সাল থেকে আবার নতুন করে নির্বাচনী মেয়াদের গণনা শুরু হবে। অর্থাৎ, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় ক্ষমতার শীর্ষে থাকার ব্যবস্থা পোক্ত করেছেন পুতিন। তাই ধরে নেওয়া যায়, আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকছেন পুতিন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন। এরপর গত বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ডুমায় সংশোধনী প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ১৪টি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপনের সময়ই পুতিন গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গণভোটের মাধ্যমে এর স্থায়ীকরণ নিশ্চিত করা হয়।

গত বছর সপ্তাহব্যাপী (২৫ জুন থেকে ১ জুলাই) চলা ওই গণভোটে অংশগ্রহণকারী ভোটারদের প্রায় ৭৮ শতাংশ সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত দেন বলে জানায় রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। ওই গণভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠে।

সংবিধান সংশোধনে প্রধানভাবে যে বিষয়গুলো যুক্ত হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে–সাংবিধানিকভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করাকে স্বীকৃতি; সমলৈঙ্গিক বিয়ে নিষিদ্ধ; রাশিয়াজুড়ে রুশ ভাষা ও ইতিহাসের বিকাশে সাংবিধানিক স্বীকৃতি; আন্তর্জাতিক আইনের ওপর রাশিয়ার আইনকে প্রধান্য দেয়া; সরকারি কর্মচারীদের অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা; প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে হলে নির্বাচনের আগে অন্তত ২৫ বছর রাশিয়ায় বসবাস করার বাধ্যবাধকতা, আগে এটি ছিল ১০ বছর।

সংশোধনীতে স্টেট সিকিউরিটি কাউন্সিলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ সংস্থাটিকে ‘পুতিনের মিনি সরকার’ বলে মনে করা হচ্ছে। যা কাজ করবে রাষ্ট্রের মাঝে রাষ্ট্র হিসেবে।

ওয়েবেও খড়গ

কর্তৃত্ববাদী কাঠামোর মূল বৈশিষ্ট্যই হলো তথ্যপ্রবাহকে সীমিত করা। ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়ে পুতিনের জন্য। সরকারবিরোধী যে কোনো তথ্যকে ‘ফেক নিউজ’ বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা সরকার-সমর্থিত মিডিয়া ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রপাগান্ডা তো চলছেই।

বছর দুয়েক আগে রাশিয়ায় ফেক নিউজ প্রতিরোধে ‘ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক নতুন আইন পাস হয়। এই আইনের আওতায় যে তথ্যকে সরকারের কাছে মিথ্যা বলে মনে হবে, তা নিষিদ্ধ করে দেওয়া যাবে। এর শাস্তি হিসেবে চার লাখ রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা) পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলে যে কোনো ওয়েবসাইট ব্লকও করে দিতে পারবে সরকার। এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক ওয়েবসাইট কালো তালিকাভুক্ত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। রুশ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানায় ঢোকানো হচ্ছে পুতিনের অনুসারীদের। ধীরে ধীরে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া হচ্ছে সরকারের হাতে।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেই সোলদাতোভ বলেন, ‘কোনো বিদেশি হুমকি বা ফেসবুক, গুগল ঠেকাতে এই আইন করা হয়নি। ওই কাজ আগের আইনেই করতে পারে রুশ সরকার। বেসামরিক বিক্ষোভের সময় কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেটের পুরো ট্রাফিক সিস্টেমই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এই আইনের আওতায়। ফলে সরকারবিরোধী প্রচার সহজেই শনাক্ত করে দমন করা যাবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের পথেই হাঁটতে চাইছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার ক্ষেত্রে সব বন্ধ রাখাটা প্রায় অসম্ভব। অভিযুক্তদের আইনি ও সামাজিকভাবে হেনস্থা করাও নিয়ন্ত্রণের একটি বড় মাধ্যম, যা ব্যাপকহারে জনগণের মধ্যে সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করছে।

যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় উগ্র-জাতীয়তাবাদ

গত ২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সুইডেনে ইউরোপীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এক বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পাশে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করেই বলেছেন, রাশিয়া তার ঘরের পাশে ন্যাটোর নতুন কোনো তৎপরতা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। ইউক্রেনের ন্যাটোভুক্তি এবং আশপাশের দেশগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন প্রসঙ্গে রাশিয়া এই অবস্থা গ্রহণ করে।

লাভরভ বলেন, ‘ন্যাটো জোটের সামরিক অবকাঠামো রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে আসা হচ্ছে। রোমানিয়া এবং পোল্যান্ডে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপে নিয়ে আসা হচ্ছে। যার অর্থ ইউরোপে সামরিক সংঘাতের দুঃস্বপ্ন পুনরায় ফিরে আসছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মার্চে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রুশ সেনারা। রাশিয়া ২০১৮ সালে দুই ভূখণ্ডকে বিচ্ছিন্নকারী ক্রেচ প্রণালীর উপরে ব্রিজ নির্মাণ করে কুবান অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করা হয়। এতে ওই অঞ্চলে রাশিয়ার নৈতিক এবং সামরিক অবস্থান পাকাপোক্ত করে। বর্তমানে ক্রিমিয়ায় রুশ নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর বহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি রয়েছে।

জনগণের মধ্যে যে সমালোচনা, ভিন্নমত রয়েছে; সেসব ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উগ্র-জাতীয়তাবাদ খুবই কার্যকর একটি পন্থা। ইউক্রেন বা ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করা কার্যত পুতিনের পক্ষে, তথা উগ্রবাদী রুশ জাতীয়তাবাদে হাওয়া দেওয়ারই নামান্তর। আর এসবের মধ্য দিয়ে জনগণকে শাসন কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে এক কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা গড়ে তুলছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যে ব্যবস্থায় তিনি সব মতের ঊর্ধ্বে।

এসএ/ 

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ