সু চির মামলায় রায় ঘোষণা ফের পেছাল
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দুটি মামলার রায় ঘোষণা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত। সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছেন।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখাসহ সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা কয়েক ডজন মামলার মধ্যে দুটির রায় হওয়ার কথা ছিল এ দিন।
এর আগে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির রায় ২০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। তখন রায় ঘোষণা ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছিল আদালত। এবার তা ফের মুলতবি করা হল।
ওয়াকিটকির মামলা ছাড়াও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ সু চির বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা করেছে জান্তা সরকার। সব ক’টিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০৪ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে সু চির। তবে সব অভিযোগই সু চি অস্বীকার করেছেন।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। ভিন্নমত উসকে দেওয়া এবং কোভিড বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে তাকে ওই দণ্ড দেয়া হয়। পরে কারাদণ্ড কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত সু চি দেশটির একটি বেসামরিক সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাকে কারাবন্দি করে সামিরক জান্তা তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা দেয়।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় জান্তার একটি বিশেষ আদালতে সু চির রুদ্ধদ্বার বিচার হচ্ছে। অজ্ঞাত যে স্থানে সু চি কে রাখা হয়েছে সেখানেই সাজা ভোগ করবেন তিনি।
ওয়াকিটকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজার মুখোমুখি হতে পারেন সু চি।
সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় সু চি ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বহু বছর গৃহবন্দি ছিলেন। ওই বছর মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বড় ধরনের জয় পায়।
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে তার দল ফের জয় পায়। এর কয়েক সপ্তাহ পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। যদিও নির্বাচন কমিশন সামরিক বাহিনীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল।
কেএফ/