বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন একজন ডেসমন্ড টুটু

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী শাসনের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু বিদায় নিলেন। ৯০ বছর বয়সে রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) মারা যান তিনি। তার মৃত্যু দক্ষিণ আফ্রিকার আশাবদী কন্ঠস্বর স্তব্ধ হলো। বিশ্ব তাকে চেনে আশাবাদ, আর তার সেই চিরচেনা হাসির জন্য। 

প্রস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে কেপটাউনে তার মৃত্যু হয়। ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে টুটুর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। গত কয়েক বছরে তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু একজন আর্চবিশপ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। বর্ণবাদ-পরবর্তী আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) শাসকদের দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে সাহায্যে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সমালোচনা করতে ছাড়েননি টুটু।

ডেসমন্ড টুটুর প্রতিবাদ দক্ষিণ আফ্রিকার সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। টুটু নিজের গির্জার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি আচরণ, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ এবং তার কট্টরপন্থীদের নিন্দা করেছিলেন। শান্তির সন্ধানে তার সাধনা তাকে সাইপ্রাস, উত্তর আয়ারল্যান্ড, এমনকি কেনিয়া পর্যন্ত নিয়ে গেছে।

বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের সংগ্রামে তিনি যে অবদান রাখেন, সেজন্য তাকে ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে সিডনী শান্তি পুরস্কারসহ ২০০৭ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

স্বদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ব্যক্তিত্বদের একজন ছিলেন ডেসমন্ড টুটু। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনবিরোধী সংগ্রামের প্রধান নায়ক নেলসন মান্ডেলার সমসাময়িক। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গরা গাত্রবর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে আলাদা করে যে বৈষম্যমূলক বর্ণবাদী শাসন চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক শক্তি। ম্যান্ডেলা কারাগারে থাকাকালে তার আন্দোলন এগিয়ে নেন টুটুসহ অন্যরা।

ডেসমন্ড টুটু ১৯৩১ সালের ৭ অক্টোবর ট্রান্সভাল সোনার খনির শহর ক্লার্কসডর্পে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জাকারায়া ছিলেন শিক্ষক এবং মা আলেটা ছিলেন গৃহিনী। তিনি প্রাথমিকভাবে তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের জন্য স্কুলে পড়ালেখার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শিক্ষকতা ছেড়ে দেন।

টুটু বিশপ ট্রেভর হাডলস্টন এবং অন্য বর্ণবাদবিরোধী শ্বেতাঙ্গ পাদরিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে একজন গির্জার যাজক নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাংলিকান ডিন নির্বাচিত হন।

কেএফ/

 

 

Header Ad
Header Ad

কোন বয়সী পুরুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন নারীরা?

প্রতীকী ছবি

প্রেমের কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই, নেই ধরাবাধা কোনও নিয়ম। কিন্তু প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু পছন্দ আর অপছন্দ থাকেই। সম্প্রতি, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে নারীরা পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বয়সের তুলনায় ছোট বয়সী পুরুষদের প্রতি বেশি আগ্রহী।

এই সমীক্ষা মার্কিন বিজ্ঞান পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় ২৫ থেকে ৮২ বছর বয়সী সাড়ে ৪ হাজার পুরুষ-নারী অংশগ্রহণ করেছিলেন, এবং তারা এক ধরনের ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এ অংশ নেন, যার মানে হল যে, তারা প্রথমে একে অপরকে জানতেন না এবং শুধু সাক্ষাৎ করার পরই একে অপরকে পছন্দ করেছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা এবং পুরুষেরা মোটামুটি সমানভাবে তাদের থেকে কম বয়সী সঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। বিশেষ করে, নারীরা বেশি বয়সী পুরুষের তুলনায় তরুণ পুরুষদের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী ছিলেন। অধ্যাপক পল ইস্টউইক, যিনি এই গবেষণার প্রধান গবেষক, তিনি উল্লেখ করেছেন যে সাধারণত সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত থাকে যে নারীরা বেশি বয়সী পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হন, কিন্তু এই গবেষণা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষের পছন্দের পার্থক্য থাকতে পারে। অর্থাৎ, প্রথম দিকে কোন ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণ হলেও, সম্পর্কের গভীরতা এবং স্থায়িত্বের জন্য অন্য ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে পারে।

এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, প্রেমের ক্ষেত্রে বয়সের চেয়ে আরও অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ—যেমন, সম্পর্কের মান, ব্যক্তিত্ব, এবং অন্য মানসিকতা। তবে, এই সমীক্ষা একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষের প্রথম আকর্ষণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পাসে পুলিশে চাকরি, আবেদন ফি ৪০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বাহিনীটিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে জেলা পর্যায়ে একাধিক জনবল নেবে। আগ্রহী চাকরি প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ পুলিশ

পদের নাম: ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)

পদসংখ্যা: জেলাভিত্তিক শূন্য পদ অনুসারে

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে)।

বয়সসীমা: ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

জাতীয়তা: বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক

বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়।

শারীরিক যোগ্যতা: মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

বুকের মাপ: মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি।

ওজন: বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে।

দৃষ্টিশক্তি: ৬/৬

আবেদন ফি: আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী চাকরি প্রার্থী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: ১৮ মার্চ ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে সর্বোচ্চ দায়িত্বপালনে প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে সর্বোচ্চ দায়িত্বপালনে প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে সপ্তম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ১৯৭১-এর পর থেকেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামীতে এই রেজিমেন্টেকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে।’

রেজিমেন্টের সব সদস্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেকে।

এর আগে, রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয়। এরপর সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘কর্নেল র‍্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কোন বয়সী পুরুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন নারীরা?
এসএসসি পাসে পুলিশে চাকরি, আবেদন ফি ৪০ টাকা
সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে সর্বোচ্চ দায়িত্বপালনে প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
দেশ ও জাতির স্বার্থে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া
নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না: মির্জা ফখরুল  
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে লাগবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা
অবশেষে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরাইল  
চবি ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিল স্থানীয় জনতা
তারেক রহমানের নাম উচ্চারণে ওজু করা নিয়ে বক্তব্যে বুলুর দুঃখ প্রকাশ  
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই আজ, বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি  
বিএনপির বর্ধিত সভা আজ    
ভোরে ৪ থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, এসআই-কনস্টেবল বরখাস্ত
মিঠাপুকুরে তিন পেট্রোল পাম্পকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
হার নিয়েই নতুন অধ্যায় শুরু বাংলাদেশের নারী ফুটবলে
৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট
মধুর ক্যান্টিনে হামলায় আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা
হাঁসের মাংস ও রুটি খেয়ে ১২ জন অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ক্যাম্প শুরুর আগেই বাদ ৮ ফুটবলার, ১৮ মার্চ ঢাকায় যোগ দেবেন হামজা
শিবিরের গুপ্ত রাজনীতির কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে: ছাত্রদল সভাপতি