শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘ভারতের গানের পাপিয়া’র ১১টি অজানা

গানে লতা মঙ্গেশকরের ৭০ বছরেরও বেশি সুদীর্ঘ ক্যারিয়ার ছিল। তাকে বিবেচনা করা হয় সবচেয়ে সেরা ভারতীয় প্লেব্যাক গায়িকা। ৯২ বছর বয়সে চলে গেলেও তার সুরেলা কন্ঠগুলোর মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। অমর একক ও চিরস্থায়ী ডুয়েটগুলো-মোহাম্মেদ রাফি, কিশোর কুমার ও মুকেশের সঙ্গে; আরো বিপুল প্রতিশ্রুতিশীল ভারতীয় গায়কদের নিয়ে; বহু হিন্দি ছবির সবচেয়ে স্মরণীয় গানগুলোতে ছড়িয়ে, ছিটিয়ে আছে।

১. তিনি পারফরমারদের একটি পরিবার থেকে এসেছেন। লতা মঙ্গেশকরের বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর চালাতেন একটি থিয়েটার কম্পানি। ফলে তিনি বেড়ে উঠেছেন গানের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে। এই বোনরা (লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে) যখন গানকে তুলে নিলেন কন্ঠে, তাদের জীবনের লক্ষ্য ছিল, গানের মাধ্যমে বাবার উত্তরাধিকারকে বয়ে চলা।

২. কেন গানকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন? উত্তরটি এভাবেই দিয়েছেন লতা, ‘এটি তাই ঘটে গেল একদিন, যেদিন আমার বাবা তার সগেরেদকে একটি রাগ অনুশীলন করতে বললেন, এরপর তিনি কিছু কাজ শেষ করতে গেলেন। আমি তখন আশপাশে খেলছিলাম। হঠাৎ সাগরেদের সঙ্গে রাগটির একটি নোট বিনিময় করলাম। এরপর তিনি কর্কশ কণ্ঠে যেটি গাইছিলেন, পরের মিনিটে সেটি শুদ্ধ করে দিলাম। আমার বাবা ফিরে এলেন। আমার রাগ অনুশীলন করা দেখে একজন সাগরেদকে নিজের মেয়ের মধ্যে দেখলেন।’ এভাবেই গানের ভুবনে চলে এলেন ভারতের সবচেয়ে বড় গায়িকা।

৩. লতা মঙ্গেশকর সুদীর্ঘ ফিল্ম জীবনের প্রথম গানটি রেকর্ড করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি সেই ছবিটির নাম-‌‘কিটি হাসাল’। গানটি ছিল ‘নাচু ইয়া গেড, খেলু সারি মানি হাউস ভারি।’ তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছবির ফাইনাল কাটে গানটি মুছে ফেলা হয়েছে।

৪. গানের রেকর্ডিংয়ের সময় তিনি একবারই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক নওশাদের সঙ্গে গানটি রেকর্ডিং করছিলেন। বলেছেন, ‌'আমরা গানটির রেকডিং করছিলাম একটি দীর্ঘ, গরমের দুপুরে। আপনারা সবাই জানেন, গরমে মুম্বাইয়ের কেমন অবস্থা হয়। সেই দিনগুলোতে, তখন কোনো এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা ছিল না মুম্বাইয়ের সিনেমার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলোতে। ফাইনাল বা চূড়ান্ত রেকর্ডিংয়ের সময় সিলিং ফ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ব্যাস, গরমে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছি আমি।’

৫. একবার বলিউড হাঙ্গামাকে বলেছেন, তিনি তার নিজের গানগুলো শোনেন না। ভয় পান-তাহলে শত, শত ভুল পেতে পারেন নিজের গানে।

৬. তার ভাষায়, সেরা সঙ্গীত পরিচালক যার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং যার সঙ্গে তার একটি বিশেষ বন্ধন ছিল; তিনি মদন মোহন। কথাগুলো বলেছেন লতা ২০১১ সালে সংগ্রাহকদের জন্য প্রকাশিত তার একটি বিশেষ অ্যালবাম-‌‌‌ 'তেরি সুর আউর মেরি গীত’র প্রকাশনা উৎসবে। আরো বলেছেন, ‘আমি একটি বিশেষ সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছি মদন মোহনের সঙ্গে। এটি ছিল একজন শিল্পী ও একজন সঙ্গীত পরিচালকের ভাগ করে নেওয়া সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি। ছিল একজন ভাই ও বোনের মতো।’ ১৯৬৪ সালে বেরুনো ‘জাহান আরা’ ছবিতে তাদের কাজ ‘ওহ চুপ রাহো’ গানটি তার প্রিয়।


৭. ভারতের সংসদের সদস্য ছিলেন অনেকগুলো বছর-১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল। রাজ্যসভায় (উচ্চ কক্ষ) তিনি অসুখী মেয়াদকাল কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দাবী করেছেন, পরের বার নির্বাচিত হতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

৮. কেবল ভারতীয় গানের কিংবদন্তী ছিলেন না লতা মঙ্গেশকর। পুরো বিশ্বজুড়ে তার সুরেলা কন্ঠ, মেলোডির জাদুকে ভালোবাসা মানুষদের পাওয়া যায়। লন্ডনের মর্যাদাপূণ অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করা ইতিহাসের প্রথম ভারতীয় তিনি।

৯. ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডস লতা মঙ্গেশকরকে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করে ফেলা শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। তবে দাবীটিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মোহাম্মেদ রাফি। ফলে বিশ্বরেকর্ডের বইটি লতার নামটি তাদের পরের সংস্করণগুলোতে রেখেছে, মোহাম্মেদ রাফির নামও উল্লেখ করেছে। রেকর্ডটি তারা ১৯৯১ সাল পযন্ত টানা উল্লেখ করে বাদ দিয়েছে। ২০১১ সালে লতাই আপন বোন আশা ভোঁসলেকে বিশ্বের সবচেয়ে রেকর্ড করা শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে গিনেজ। এখন সম্মানটি পুলাপাকা সুশিলা বহন করছেন। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার প্রখ্যাত গায়িকা।

১০. সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে লতা মঙ্গেশকর ভারতের মহত্তম গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের সবার সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে কখনো ওপ নাইয়ারের সঙ্গে কোনোদিন কাজ করেননি।

১১. জীবনের শেষ গানটি রেকর্ড করেছেন ২০১৯ সালে। জাতি ও ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা, কম্পোজার ছিলেন ময়ুরেশ পাই। প্রথম কলি হলো-'সওগান্ধ মুজে এজ মেট্টি কী’। সে বছরের ৩০ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে শেষবারের মতো লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠ।

(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে)

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি