অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্ত করবে মাউশি
রাজশাহীর এক কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এ কথা জানিয়েছেন, মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন উইং) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়িতে রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করার জন্য মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ জলাই রাতে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ি-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী নগরীতে নিজ কার্যালয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি ও হকিস্টিক দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গত ১৩ জুলাই।
এরপর পরই ঘটনা তদন্তে গত ১৩ জুলাই ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার প্রধান করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে।
এদিকে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে স্পিকারের স্বরণাপন্ন হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৭ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যদি কোনো সংসদ সদস্য এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকেন সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় হিসেবে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। তবে আমরা ম্পিকারের শরণাপন্ন হতে পারি এবং তার কাছে একটি সমাধান চাইতে পারি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে যেই পথ অনুসরণ করব।
ওই ঘটনার পর অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বিষয়টি নিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একপর্যায়ে তিনি মুখ বন্ধ করে ফেলেন। অনেকটা গা-ঢাকা দেন।
গত ১৪ জুলাই ফারুক চৌধুরীর সঙ্গেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজায় নিজের কার্যালয়ে। যেখানে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সেলিম রেজাকে দিয়ে লিখিত বক্তব্যও পাঠ করানো হয়।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে যেভাবে বলা হচ্ছে যে সংসদ সদস্য আমাকে মারধর করেছেন তা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন এবং অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এমপি মহোদয় আমাদেরকে নিবৃত্ত করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এনএইচবি/এমএমএ/