সোলার সেচ পাম্পে সবুজ হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকের স্বপ্ন
ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কমাতে বিকল্প পদ্ধতি সোলার সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা অনেক বেশি জনপ্রিয় এখন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকের কাছে। ভালো ফলন পেতে জমি পরিচর্যায় ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে কৃষকেরা। ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি মাত্র ২ হাজার টাকায় ইচ্ছে মতো সেচ সুবিধা ছাড়াও মাঠ থেকে মেশিন চুরির ভয় কেটেছে কৃষকের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ১৪১টি সোলার সেচ পাম্পের সুবিধা নিচ্ছেন কৃষকরা।
বাজারে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিসহ জমিতে সার ও কিটনাশক প্রয়োগে উৎপাদন ব্যয় কমাতে এখন সোলারে সেচ সুবিধায় অকেটাই স্বস্তি মিলেছে কৃষকের। বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ডিজেল চালিত মেশিনে একবিঘা জমির ধান উৎপাদনে সেচ নিতে ৪ হাজার টাকা খরচ হলেও সোলারে ব্যয় কমেছে অর্ধেক।
কৃষকরা জানান, তারা সোলারের মাধ্যমে জমিতে সেচ নিচ্ছে। এতে তাদের বোরো উৎপাদন খরচ অনেক কমে গেছে। বর্তমানে ১ বিঘা জমিতে সোলার পাম্প দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকা। আবার এ টাকা পরিশোধ করতে হবে ধান কেটে বিক্রি করার পর।
আরেক কৃষক মুনসুর আলী জানান, বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি। সার, বিষ, ডিজেল, দৈনিক হাজিরা সব কিছু বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো আবাদের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে পরে ধান বিক্রয় করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে না। আর এ সোলারের মাধ্যমে সেচ দেওয়ায় খরচ অনেকটা কমে আসে। এর কারণে কিছুটা হলেও লাভবান হওয়া সম্ভব।
সোলার পাম্প তৈরি ও ভাড়া দেন কৃষক সোলেয়মান আলী। তিনি জানান, সোলারের কারণে বর্তমানে অল্প খরচে বোরো ধান রোপণ করা যাচ্ছে। শ্যালো মেশিনে তেল, মেশিন চুরি, নষ্টের ভয় ছিল ও শব্দদূষণ হতো। সোলারের কারণে এখন আর এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, বাজারে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে জেলার প্রায় সাত হাজার কৃষক এখন সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিচ্ছেন। সোলার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। সেই সাথে তাদের উৎপাদন খরচ কমে আসছে। যার ফলে বোরো ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন এই জেলার কৃষকেরা।
এমএসপি