শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. নাহিদ নামে ১১ বছরের এক শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চাদঁগাও খামারবন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাহিদ একই উপজেলার চাদঁগাও খামারবন এলাকার শাহাজ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) নালিতাবাড়ী থানায় ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, গত ১২ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিশুকে খেলার ছলে ডেকে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত মাটির ঘরে ধর্ষণ করে নাহিদ। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করে। পরে নাহিদ নিজেই শিশুটিকে তার বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে আসে।
সন্ধ্যায় শিশুটি তার স্বজনকে ঘটনাটি জানায়। পরে শিশুটির বাবা নালিতাবাড়ী থানায় এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অসুস্থ শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নাহিদকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, আলু, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসেবে এ সুবিধাগুলো দেয় তার জন্য বলব।
চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের বাইরেও আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন আলাপ করেছি। তিনি জানিয়েছেন আমের অনেক সম্ভাবনা আছে। পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে। এর বাইরে আরও পণ্য আছে। আমরা এরই মধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে যেতে পারি তবে সেটা হতে পারে বিশাল বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ফলে ওই সব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশিদার। চীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, পণ্য ছাড়াও সেবা এবং বিনিয়োগ খাতেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
প্রিয়ন্তী মন্ডল, অথৈ ধর, প্রতীক রসূল, বাঁধন তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং চারুকলা ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে ইউনিটগুলোতে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন খুলনার সরকারি এম এম সিটি কলেজের প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি পেয়েছেন ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর। বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন নটরডেম কলেজের প্রতীক রসূল। তিনি পেয়েছেন ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে প্রথম হওয়া চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর পেয়েছেন ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর। এ ছাড়া, চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের বাঁধন তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৯৮ দশমিক ১৬ নম্বর।
এবার বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসূল। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১১১.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১০০৭৩৭। তিনি নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান ইউনিটে অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। যা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে অংশ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। যা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন মো. বাঁধন তালুকদার। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.১৬। তার পরীক্ষার রোল নাম্বার ৫১০৬৩৮৯। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া, চারুকলা ইউনিটে অংশ নিয়েছেন ৪ হাজার ৫১০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩০ জন। যা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চার ইউনিটে গড়ে ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২ হাজার জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। যা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষারর্থীর ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
যেভাবে ফল জানা যাবে-
admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে। সেই সঙ্গে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।
বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন এই গায়ক।
এদিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।
মুহূর্তের মধ্যেই আতিফের এই পোস্ট ঝড় তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আতিফকে বাংলাদেশে দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছেন তার ভক্তরা, সেই মন্তব্যে ভরে ওঠে কমেন্টবক্স।
যদিও সেই পোস্টে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি এই তারকা। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন সেসবও পরিষ্কার করেননি। তবে আতিফের পোস্টের পর থেকেই এটা নিশ্চিত, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে পা রাখছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
এর আগে মাসখানেক আগে আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে সময় স্টার বক্স এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠান জানায়- ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন আতিফ আসলাম।
এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারও ঢাকায় পা রাখতে পারেন জনপ্রিয় এই তারকা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই সংগীত ক্যারিয়ারের ২০ বছর পূর্ণ করবেন আতিফ আসলাম। সুরের জাদুকর আতিফ আসলামের জনপ্রিয়তা দেশ ছাড়িয়ে। বলিউডেও তার খ্যাতি কম নয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে অগণিত ভক্ত আছে তার। ২০০৫ সালে ‘জহর’ ছবির হিট গান ‘ও লমহে’ দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের বলিউড জার্নি। পরবর্তী দেড় দশক মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গান দিয়ে মাতিয়েছেন ভারতবর্ষ। আতিফ আসলামের উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে: আদাত, ওহ লামহে ও বাতেইন, তেরে বিন, পেহলি নাজার মে, তেরা হনে লাগা হু, তেরে লিয়ে, তু মিলা, রাফতা রাফতা প্রভৃতি।