সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হতে ২ মাস সুযোগ দিল আমিরাত

ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য চলমান সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। নতুন মেয়াদে এই সাধারণ ক্ষমা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ফলে অনেকেই জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এই সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। খবর খালিজ টাইমসের।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল আমিরাত সরকার। সাধারণ ক্ষমার পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও দুই মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এই সাধারণ ক্ষমার ফলে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধ হওয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছেন। এ সুবিধার আওতায় যারা পূর্বে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ, তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারছেন।

আইসিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুহেল সাঈদ আল খাইলি এ ব্যাপারে বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে মানবিক দিকটির প্রতিফলন রয়েছে, যা লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের স্ট্যাটাস নিয়মিত করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, এটি তাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার সুযোগও দেয় এবং লঙ্ঘনকারীদের তাদের পূর্ণ অধিকার পেতে সাহায্য করে।

তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্ধিত সময়সীমার পরও যারা বসবাসের নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাদের জন্য জরিমানা পুনর্বহাল করা হবে। আইসিপি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শন প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে এবং নো-এন্ট্রি তালিকায় লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

Header Ad
Header Ad

কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'উদ্যোক্তা মেলা- ২০২৪'

কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'উদ্যোক্তা মেলা- ২০২৪'। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'উদ্যোক্তা মেলা-২০২৪'। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী কেক কাটার মাধ্যমে উক্ত মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে তিনি মেলায় বসা স্টলগুলো ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন–কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম এবং মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মেহের নিগার।

জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের 'এন্টারপ্রেনার ডেভেলপমেন্ট' কোর্সের অংশ হিসেবে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শিক্ষার্থীরা ৬টি স্টল বসিয়েছে যেখানে প্রসাধনী, খাবার এবং কাপড়ের স্টল রয়েছে। এই স্টলগুলোতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হবে।

এ ব্যাপারে মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হেমন ভূঁইয়া বলেন, 'আমাদের এন্টারপ্রেনার ডেভেলপমেন্ট কোর্সের অংশ হিসেবে আজকের এই আয়োজন। বাংলাদেশে পড়াশোনার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি দিকে বেশি ঝোঁকে, উদ্যোক্তা হতে একটা ভয় কাজ করে। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বাস্তবিক একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে আসবে।'

মেলা ঘুরে উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'অনুষ্ঠানটি ঘুরে খুব ভালো লাগলো। শিক্ষার্থী হিসেবে সকলের ভিতরে নতুন নতুন আইডিয়া থাকা উচিত এবং এখানে তারা নতুন ভাবে চিন্তা করতে পেরেছে। যেমন, অনলাইন বেচা-কেনার ব্যবস্থা রাখা আবার অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি। সবমিলিয়ে স্টল গুলো ঘুরে খুব ভালো লেগেছে।'

Header Ad
Header Ad

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

জন্মসূত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্তির নিয়ম বাতিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী শিশুদের সহায়তায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভের পর এটি ছিল কোনো সম্প্রচার চ্যানেলে তার প্রথম সাক্ষাৎকার।

ট্রাম্প জানান, আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তিনি ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমা করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। তিনি বলেন, “এই মানুষগুলো ভয়ানক যন্ত্রণা ভোগ করছে। আমরা প্রতিটি মামলাকে স্বতন্ত্রভাবে দেখব, তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রচলিত নিয়ম বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে-কোনো শিশু, তার বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে।

ট্রাম্পের দাবি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়মটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী থেকে এসেছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকেই নাগরিকত্বের অধিকারী। তবে তিনি এই নিয়ম পরিবর্তনের জন্য নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে উদ্যোগ নেবেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অভিবাসন, জ্বালানি, এবং অর্থনীতি নিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।

এই পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বাতিল করা মার্কিন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Header Ad
Header Ad

দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিভিন্ন দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুদক তো ছিল, উচ্চ আদালতও ছিল... কোনো বিচার হয়েছে? বিচার কার হতো... বেগম খালেদা জিয়ার। তিন কোটি টাকা একটা জায়গায় রেখেছে... প্রক্রিয়াগত ভুলের জন্য... একটা টাকা সেখান থেকে কেউ আত্মসাৎ করে নাই... আত্মসাৎ করা মানে ভোগ করা। কেউ তা করেছিল? তিন কোটি টাকা ব্যাংকে ছিল ৬ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা কেউ স্পর্শ করে নাই, সেই জন্য এই দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়ে দিয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই দেশের দুদক আর বিচার বিভাগ মিলে। আর সেই চোর প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যার পুরো পরিবার ছিল চোর। সে সারা দেশে বলে বেড়াতো এতিমের টাকা নাকি বেগম খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেছে। এই চোরের মুখের সামনে কেউ কোনো কথা বলতে পারতো না। দুদক তার দাসে পরিণত হয়েছিল, বিচার বিভাগ তার দাসে পরিণত হয়েছিল।’

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায়, আড্ডায় শুনতাম শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার কে, রেহানার ক্যাশিয়ার কে, সালমান এফ রহমান কার ক্যাশিয়ার, জয়ের টাকা কার মাধ্যমে যায়, পলক কার টাকা রাখে। আপনার শুনতেন না এসব? এমন কেউ কি আছেন যে এগুলো শুনতেন না? আছেন?

বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা কাজ করতে পারেন নাই। এমন এক্সকিউজ দিতে পারেন। তার মধ্যেও কেউ কেউ কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এখন সেই পরিবেশ নাই। এখন কোনো উপদেষ্টার তরফ থেকে কেউ ফোন করেছে কোনদিন? কেউ আপনাদের কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। আপনারা প্রমাণ করেন যে, ভালো পরিবেশ পেলে আপনারা ভালো কাজ করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আমরা দোষ দেবো, সবাইকে দোষ দেবো। কিন্তু এই দোষ দিয়ে নিজের অন্যায় থেকে নিজে যেন পার পাওয়ার চেষ্টা না করি। নিজেকে জিজ্ঞেস করেন আমরা কী সৎ আছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'উদ্যোক্তা মেলা- ২০২৪'
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের
দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল
বাগআঁচড়ায় দুই মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু
শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সেরা ৭টি খাবার
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে ‘অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট’ বসাচ্ছে ভারত
ছাত্র আন্দোলনে অপেশাদারিত্বের জন্য ক্ষমা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
ই-মেইল বা রেজিস্টার্ড মোবাইল ছাড়াই ফেরত পেতে পারেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
ইইউ’র ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক চলছে প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশ ও ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে
বাশারের ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেল ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের লংমার্চ বুধবার
আইরিশদের সামনে ১২৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিল বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন বাশার আল-আসাদ
১৭ জানুয়ারি মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদন শুরু মঙ্গলবার
অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের তালিকায় ভারতীয়দের আধিপত্য, বছরে পাচার বিপুল অর্থ
গণভবনের মতো আসাদের বিলাসবহুল বাসভবনেও জনতার লুটপাট
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
বিজয় দিবস উপলক্ষে ৮ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় অনেক বাদী মামলা বাণিজ্য করছেন: ডিএমপি কমিশনার