বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভ্যান প্লাজা

হতে পারে পোশাকের ব্র্যান্ড নেম ‘ভ্যান প্লাজা’। পোশাক নয় শুধু বহুবিধ পণ্যের এক ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্রের নামও হতে পারে। হতে পারে চা-কফি-রুটি-সবজির ব্র্যান্ড নেম। ঢাকা শহরের সবচেয়ে সহজ কেনাকাটার জায়গা ‘ভ্যান প্লাজা’। রিকশা ভ্যানে দোকান। বেশি চলে পোশাক আশাক। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের পোশাক ভ্যান প্লাজায় সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায়।

যদি বলা হয় ‘ঢাকা দ্য সিটি অব ভ্যান প্লাজা’ তাতে বিন্দুমাত্র ভুল হবে না। অনেক বহুত্বকে ছাপিয়ে ভ্যানের দোকান এখন সবচেয়ে এগিয়ে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে ভ্যানের দোকান। প্রতিদিন সকালে আমি যার কাছ থেকে সবজি কিনি, তার নাম সাজু। সাজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী। সকালে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ান। তার নিয়মিত গ্রাহক গোটা বিশেক পরিবার। নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে সবজি শেষ হয়ে যায়। সাজু এখন শুধু ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন না, গ্রাহকদের বাসায় বাসায় ছেলেকে পাঠিয়ে চাহিদা নিয়ে আসেন। বিকেলে সাজু হয়ে ওঠেন ব্যস্ত এক চটপটিঅলা। তার চটপটির দোকানটিও একটি ভ্যান। সুসজ্জিত। চারদিকে কাঁচে ঘেরা উপরে ছাউনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সাজু তার ভ্যান দিয়ে দোকানকে টেক্কা দিয়েছেন। যেখানে চটপটি বিক্রি করেন, তার সামনেই তার দুটি দোকান ভাড়া নেওয়া আছে। দোকানে চেয়ার টেবিল সাজানো আছে। কাস্টমার বসানোর জন্য। সাজুর হিসাব, ভ্যানই তার বাণিজ্যের কেন্দ্র। দোকানে এমন ব্যবসা সম্ভব নয়। দোকান দোকোনদারকে কখনো কখনো ঝিমিয়ে দেয়।

তেজগাঁও এলাকায় নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরির অপর পাশের বটতলার নীচে অনেকগুলো ভ্যানদোকান। যে দোকানগুলোতে চা-সিগারেট বিক্রি হয়, সেগুলো জড়ো জীবনের মতো হয়ে গেছে। ভ্যানগুলো সে অর্থে আর চলে না। অনেকটা স্থায়ী কাঠামোর মতো। এখানেই চালু এক ভ্যানে পোশাক বিক্রি করতেন রশিদ নামের এক তরুণ। টানা পাঁচ ছয় বছর দেখছি। তেমন বিক্রি হতে দেখতাম না। কিন্তু ওই ভ্যানের উপার্জনে রশিদ ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার যাপন করতেন অনায়াসে। করোনোকালে বিক্রি বাট্টা কমে গেলে রশিদ ফরিদপুরে চলে গেছেন। সেখানে ব্যবসা জমিয়ে নিয়েছেন।

ভ্যানের ব্যবসায়ীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। শারীরিক শ্রম থাকে। চাঞ্চল্য থাকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অভ্যস্থতা তৈরি হয়ে যায়। শ্রমের ভেতর দিয়ে নিষ্ঠা চলে আসে। নাখালপাড়া ব্যাংকার্স রো’র সামনে এক তরুণ বহুদিন ধরে ভ্যানে ডাব বিক্রি করছে। দোকান ভাড়া নেই, কিন্তু কিছু জায়গা সে দখল করছে। যদি কেউ বাঁধা দেয়, সে যখন তখন সরে যেতে পারবে। চালু ভ্যান হলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরের সুযোগ থেকে যায়।

জনবহুল ঢাকা শহরে ভ্যানের ব্যবসায়ীরা একেকটি জায়গায় কিছুটা থিতু হওয়ার অনুমতিও পায়। শোনা যায়, নেতা ও পুলিশে কিছু টাকা দিলে এই সুযোগ চলে আসে। ঢাকা সিটি করপোরেশনেরও ভ্যানের ব্যবসা বিষয়ক একটি কর্মসূচি আছে। যারা সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ভ্যানের ব্যবসায়ী, তারা এক ধরনের স্থায়ী ব্যবসায়ীর শক্তি সংরক্ষণ করেন।

ঢাকা শহরের অনেক বাজারের সামনে ভ্যান প্লাজার এক স্থায়ী অবস্থান দেখা যায়। একসময় চালু ভ্যান দিয়ে শুরু হলেও পরে ভ্যানের অস্তিত্ব থাকে না। একটি টেবিলের মতো বসানো হয়। সেটিই হয়ে ওঠে দোকান। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য দোকান। জুতা, শার্ট, প্যান্ট থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিসের পসরা বসে এসব দোকানে। ভালো বেচা-কেনা হয়। ভ্যানে তাৎক্ষণিক ডিম পিঠা বানানোর কয়েকটি দোকানও থাকে এখানে। দোকানগুলো বিক্রির অবস্থা বুঝে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়।

অসাধারণ এক ‘ভ্যান প্লাজা’র শহর এই ঢাকা। ভ্যানে আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। মোবাইলের নানা উপকরণ থেকে শুরু করে পোশাক সামগ্রী, জুতা, অফিস স্টেশনারি, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য সবই। এলইডি আলোর যুগে সন্ধ্যা নামলে এক স্বপ্নিল আলো জ্বেলে জামা কাপড়ের পসরা সাজান কেউ কেউ। জনসমাগম হলে কয়েকঘন্টায় মাল শেষ হয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় ভ্যানের পোশাক পরেন না কে। ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে যে কোনো পেশাজীবন অপেক্ষাকৃত সস্তায় শার্ট প্যান্ট পেয়ে যান ভ্যানে। এটি এক আশীর্বাদের মতো ব্যাপার। তৃণমূল জীবন-জীবিকার এক গভীর পর্যবেক্ষক কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মানুষ এখন পোশাক পরে তার রুচি ও পছন্দ বিবেচনা করে। শুধু প্রয়োজন বা চাহিদার ব্যাপার নয় এটি। সবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক আছে।’ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য এই সত্য মিলে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ভ্যান প্লাজার।

বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। এই কারণেই ভ্যানে ভ্যানে পাওয়া যায় পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক। কেউ বলেন, এগুলো বাতিল শিপমেন্টের মাল। কেউ বলেন, এক্সপোর্টের কপি। তবে বাস্তবতা হলো–পোশাকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। একটু দেখে-শুনে নিলে নিখুঁত মাল পাওয়া যায়। অনেক বড় বড় মানুষ ভ্যানের পোশাক পরেন। একই মানের পোশাক নিয়ে ঢাকা শহরে অনেকগুলো পোশাক ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভ্যানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি করে। একই পোশাক।

যারা গ্রাম ছেড়ে নানা যৌক্তিক কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি জমায়, তাদের সবাই নিশ্চিত কাজের সন্ধান পান না। যারা রিক্ত হাতে আসেন তারা রিক্সা চালান। শ্রমিকের কাজ খুঁজে নেন। যাদের সামান্য টাকা থাকে তারা ব্যবসা খুঁজে বেড়ান। এই জনবহুল শহরে যে কোনো পণ্য নিয়ে যে কোনো জায়গায় বসলেই বিক্রি হয়। ব্যবসা জমে উঠে। যে কোনো ফুটপাত থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সবখানেই ব্যবসায়ীর ভীড় থাকে। এর ভেতরে বহু সফল ব্যবসায়ী রয়েছে। বহু সাফল্যের গল্প রয়েছে। যারা বিন্দু বিন্দু শিশির জমিয়ে অর্থবিত্ত করেছেন। এসব জায়গায় হতাশ চোখে তাকাত অনেকেই; কিন্তু ভেতরের আশার জায়গাটি দেখতে পেলে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠবে।

এই ভাসমান ও ভ্যানের ব্যবসায়ী ও তাদের অর্থনীতি নিয়ে অনেক কিছু করা যেতে পারে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। প্রতিটি এলাকার সকল ভ্যান ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা যেতে পারে। সপ্তাহের একেকটি দিন বড় কোনো খোলা জায়গা দেখে জমানো যেতে পারে ‘ভ্যান প্লাজা’। সেখানে পণ্যের মান নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে ক্রেতার জন্য দেওয়া যেতে পারে বিশেষ অফার। পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য পুরস্কৃত করা যেতে পারে ব্যবসায়ীকে। তাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পৃথিবীর বড় বড় ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা তৈরির জন্য তাদের প্রশিক্ষণসহ নানারকম কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

জনসংখ্যা, আবাসন আর রাস্তা অবকাঠামোর চাপে দ্রুত জায়গা ফুরিয়ে আসছে এই শহরের। শহরবাসীর সবকিছুর জন্য জায়গা ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কথা ভাবা অসম্ভব নয় যে, একসময় মানুষের চাপ সামলাতে শপিং মল ছেড়ে দিতে হবে আবাসনে। বন্ধ করে দিতে হবে দোকান। তখন ভ্রাম্যমান দোকান ও মার্কেটই হতে পারে ভরসার জায়গা। অনলাইনের পাশাপাশি ভ্যানের বাজারই তখন সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। রিক্সা ভ্যানের জায়গাতে বড় বড় কার্গো ট্রাকগুলো হয়ে উঠবে একেকটি দোকান। পণ্যে ঠাসা দোকান। টিসিবির ট্রাকের মতো একেকটি পণ্য বোঝাই ট্রাক নির্দিষ্ট সময়ে একেকটি জায়গায় দাঁড়াবে। তারপর চলে যাবে। এমন দোকান চালু করা গেলে বহু ফাঁকা জায়গা বের হবে। জনাকীর্ণ মোড়গুলোতে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসা দোকান তুলে দেওয়া যাবে। শহরকে আরও সুন্দর করে সাজানো যাবে। ভ্যানের দোকানকে ঘিরে নগর পরিকল্পনাবিদরা দেখুক অনেক বড় স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখুক রাষ্ট্র ও সরকার।

লেখক: সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণার পর ক্ষোভে বাসে আগুন দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চলা বিক্ষোভের ৪ দিনের মাথায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চুয়েট উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রোর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে জব্দ থাকা দুটি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে শাহ আমানত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১)। এ সময় জাকারিয়া হিমু (২১) নামে আরও এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর থেকেই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে প্রভাব খাটাচ্ছে তীব্র গরম। তাপমাত্রা অত্যধিক হওয়ায় জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে। স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিস্ট স্ট্রোকের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে হিস্ট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তীব্র তাপমাত্রার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। সেখানকার তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের (১২৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট) ওপরে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাংককে বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবারও একই তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ভয়াবহ তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু দেশের তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফিলিপাইনে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তীব্র গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হচ্ছে।

শহরের পরিবেশ বিভাগ সতর্ক করেছে যে, আর্দ্রতা, বাতাসের গতি এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ব্যাংককের বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ পর্যায়ে রয়েছে। উদোন থানি প্রদেশেও বৃহস্পতিবার তীব্র তাপমাত্রার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

বুধবার রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের পুরো বছরে এই সংখ্যা ছিল ৩৭ জন।

থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন বলেন, বয়স্ক এবং যাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে তাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়া এবং প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এপ্রিল মাসে সাধারণত বেশ গরম পড়ে। তবে চলতি বছর আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গত বছর বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রার রেকর্ড লক্ষ্য করা গেছে। সে সময়ই জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ু সংস্থা সতর্ক করেছিল যে, এশিয়া দ্রুত গতিতে আরও উষ্ণ হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত

অবাধে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে অনুমতি ছাড়াই ঢুকতে পারলেও গত এক মাস যাবৎ সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর