শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার হলে যা করবেন

বিষাক্ত সাপ রাসেল ভাইপার। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে নতুন এক আঙ্কের নাম রাসেল ভাইপার। এই সাপের উপদ্রব এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে হরহামেশাই খবর মিলছে এই সাপে দংশনের। এমন পরিস্থিতিতে সাপ কামড় দিলে কি করনীয় তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সাপ কামড় দিলে কি করতে হবে আর কি করা যাবে না।

শুধু রাসেল ভাইপার নয়, যে কোনো সাপের কামড়ের শিকার হলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে দ্রুত। পরবর্তী করণীয় নিচে তুলে ধরা হলো:

কী করবেন-

* আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে, আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না।

* নির্বিষ সাপের কামড়েও আতঙ্কিত হয়ে মানসিক আঘাতে মারা যেতে পারে মানুষ। বাংলাদেশের অধিকাংশ সাপই বিষহীন, অল্প কিছুসা প বিষধর। আবার বিষধর সাপ পর্যাপ্ত বিষ ঢুকিয়ে দিতে ব্যর্থ হতে পারে। এসব জানানোর মাধ্যমে রোগীকে আশ্বস্ত করা যেতে পারে।

* আক্রান্ত অঙ্গ অবশ্যই স্থির রাখতে হবে। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ানো যাবে না। পায়ে কামড়ালে হাঁটাচলা করা যাবে না, স্থির হয়ে বসতে হবে।

* আক্রান্ত অঙ্গ ব্যান্ডেজের সাহায্যে একটুচাপ দিয়ে প্যাঁচাতে হবে। একে প্রেসার ইমোবিলাইজেশন বলে। ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কিছুব্যবহার করা যেতে পারে।

* আক্রান্ত স্থা ন সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে
হবে।

* ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি পড়ে থাকলে খুলে ফেলুন।

* যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

যেসব কাজ করা যাবে না:

* কোনো ধরনের শক্ত বাঁধন/গিঁট দেওয়া যাবে না। সাধারণত দেখা যায়, হাত বা পায়ে কামড় দিলে, কামড়ানো জায়গা থেকে ওপরের দিকে দড়ি বা এ জাতীয় কিছুদিয়ে শক্ত করে বাঁধা হয়, যাতে বিষ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক কো নো ভিত্তি নেই। বরং এতে হাত/পায়ে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে -রক্ত প্রবাহের অভাবে টিস্যুতে পচন (Necrosis) শুরু হতে পারে।

* চিকিৎসার জন্য ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

* কামড়ানোর স্থানে ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাকুটি করা যাবে না।

* অনেক মানুষের ধারণা, আক্রান্ত স্থানে মুখ লাগিয়ে চুষে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যাবেন। বিষ রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা এভাবে বের করা সম্ভব নয়। কো নো অবস্থাতেই আক্রান্ত স্থানে মুখ দেবেন না।

* কোনো ভেষজ ওষুধ, লালা, পাথর, উদ্ভিদের বীজ, গোবর, কাদা ইত্যাদি লাগানো যাবে না।

Header Ad

বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব

বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অতীতের স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত আওয়ামী খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজের আগে বয়ান করার সময় সাধারণ মুসল্লি তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করলে উপস্থিত পতিত সরকার পন্থী খতিবের কিছু লোক এর প্রতিবাদ করেন।

পরে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান। এ সময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ধর্ষণের অভিযুক্ত আওয়ামী খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করে পালিয়ে যান।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের আগে খতিব মুফতি রুহুল আমিনের বয়ানের সময় এ সংষর্ষ হয়।

জানা গেছে, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন।

মসজিদের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তা ছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।

অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হলে সোয়া একটার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

এরপর থমথমে পরিস্থিতিতে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা ‌‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশ তাদের মসজিদ এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।

পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৩ কর্মকর্তার পদে রদবদল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

 

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

 

বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই সময় সেখান থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকা-সংলগ্ন গহীন জঙ্গলে একটি আস্তানা স্থাপন করে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হকের নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া গহিন জঙ্গলে একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ২টি অটোমেটিক কারবাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, ১টি সেমি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩টি এসবিবিএল, ২১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিগন্যাল জ্যামার, ১টি অডিও/ভিডিও রেকর্ডার, ১টি ভিডিও ক্যামেরা, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বোতাম ক্যামেরা, ১টি কি-ডিভাইস হিডেন ভিডিও রেকর্ডার, ১টি দূরবীণ, ২টি ওয়াকিটকি, ১টি ল্যাপটপ, ২টি পাওয়ারফুল লাইট, ১টি সোলার সিস্টেম, ১টি আকাশ টিভি রিসিভার ও ১টি আমব্রেলা, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ২টি বাটন মোবাইল ফোন, দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, বাংলা মদ, ১টি হেলমেট, রান্না করার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া অভিযানস্থলে অবজারভেশন পোস্ট, পরিখা, অস্থায়ী অস্ত্রাগার, বিশ্রামাগার, কুক হাউজ ইত্যাদির সন্ধান পাওয়া যায়। যার সবকিছু সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব
পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল
বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ: রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
মা-বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল
লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
গরম কমে বৃষ্টি হবে কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
হাসানের ৫ উইকেট, ৩৭৬ রানে থামল ভারত
জাবিতে কোনো কমিটি নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে: ছাত্রদল
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জাদেজাকে ফেরালেন তাসকিন, সাকিবের ক্যাচ মিস
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় যে প্রশ্ন তুললেন জয়
নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা